আরিফ রববানী ময়মনসিংহ।।
শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে ময়মনসিংহ সদর উপজেলার বিভিন্ন পূজা মণ্ডপ পরিদর্শন করেছেন উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা নাসিমা খাতুন এবং তার দপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ।
এই পরিদর্শনের মাধ্যমে তারা পূজা উদযাপনকারীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন এবং উৎসবের সার্বিক পরিবেশ ও নিরাপত্তা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেন।
এই উদ্যোগ মূলত সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি এবং নারী ও শিশুর নিরাপত্তা নিশ্চিত করার বার্তা বহন করে।
উপজেলা প্রশাসনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার এই পূজা মণ্ডপ পরিদর্শন বিশেষ তাৎপর্য বহন করে। এই পরিদর্শনের মূল লক্ষ্য ছিল:শুভেচ্ছা ও কুশল বিনিময়: পূজা উদযাপন কমিটির সদস্য, স্বেচ্ছাসেবক এবং দর্শনার্থীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করা এবং উৎসবের আনন্দ ভাগ করে নেওয়া।
সার্বিক নিরাপত্তা পর্যবেক্ষণ:মণ্ডপগুলোতে দর্শনার্থী বিশেষ করে নারী ও শিশুদের জন্য পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা এবং ভিড় নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থাপনা খতিয়ে দেখা।
নারী ও শিশুর প্রতি সংবেদনশীলতা:
উৎসবের পরিবেশে নারী ও শিশুরা যেন কোনো প্রকার হয়রানির শিকার না হয়, সে বিষয়ে পূজা কমিটিগুলোকে সচেতন করা এবং প্রয়োজনে আইনি সহায়তার বিষয়ে অবগত করা।
সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখা:
হিন্দু সম্প্রদায়ের এই প্রধান উৎসবে প্রশাসনের পক্ষ থেকে অংশগ্রহণ ও সমর্থন জানিয়ে স্থানীয় জনগণের মধ্যে ঐক্য ও সংহতির বার্তা পৌঁছে দেওয়া।
উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা নাসিমা খাতুন -এর নেতৃত্বে পরিদর্শক দলে আরও উপস্থিত ছিলেন: অফিস সহকারি কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক প্রশিক্ষক,
কিশোর কিশোরী ক্লাবের জেন্ডার প্রমোটার,
সঙ্গীত প্রশিক্ষক এছাড়াও দপ্তরের আরও অনেকে এই পরিদর্শনে অংশ নেন।
পরিদর্শক দলটি মণ্ডপে মণ্ডপে ঘুরে দেখেন। তারা প্রতিমা দর্শন করেন এবং মণ্ডপের সাজসজ্জার প্রশংসা করেন।
কর্মকর্তারা পূজা কমিটির সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন এবং তাদের প্রয়োজনের বিষয়ে খোঁজ নেন। এ সময় মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা নাসিমা খাতুন বলেন, “দুর্গাপূজা শুধু একটি ধর্মীয় উৎসব নয়, এটি আমাদের দেশের সাংস্কৃতিক মিলনক্ষেত্র।
আমরা চাই সবাই মিলেমিশে এই উৎসবকে আরও সুন্দর ও নিরাপদভাবে উদযাপন করুক। বিশেষ করে নারী ও শিশুর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আমরা সবাইকে সজাগ থাকতে বলেছি।”
তিনি মণ্ডপে উপস্থিত তরুণ-তরুণীদের সঙ্গে কথা বলেন এবং নারী নির্যাতন, বাল্যবিবাহ, এবং ইভটিজিং-এর মতো সামাজিক সমস্যাগুলো সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে কিশোর কিশোরী ক্লাবের কার্যক্রমের বিষয়ে জানান।
উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার এই উদ্যোগকে পূজা উদযাপন কমিটির সদস্য ও স্থানীয়রা সাধুবাদ জানিয়েছেন এবং প্রশাসনের এমন অংশগ্রহণকে সাম্প্রদায়িক বন্ধন সুদৃঢ় করার একটি উদাহরণ হিসেবে গণ্য করেছেন।
শান্তিপূর্ণ ও আনন্দমুখর পরিবেশে দুর্গাপূজা উদযাপনের জন্য প্রশাসন সর্বদা সজাগ রয়েছে বলে কর্মকর্তারা আশ্বস্ত করেন।
Leave a Reply