মি-থ্যা ধ-র্ষন মা-মলা সাজিয়ে ঘরবাড়ি ভাং-চুর ও পরিবারকে গ্রামছাড়া করার অ-ভিযোগ

ঝিনাইদহ জেলা সংবাদদাতাঃ
ঝিনাইদহের শৈলকপুা উপজেলার দেবতলা মিথ্যা ধর্ষন মামলা সাজিয়ে রিপন কাজী নামে এক যুবককে ফাঁসিয়ে তার ঘরবাড়ি ভাংচুর ও পরিবারসহ গ্রাম ছাড়ার অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার দুপুরে ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এমন লিখিত অভিযোগ করেন ওই গ্রামের আহাতাব কাজীর ছেলে রিপন কাজী।অভিযোগে দাবী করা হয়, ২০২৪ সালের ২৮ জুন দেবতলা গ্রামের রবিউল কাজীর বড় মেয়ে প্রেমের সম্পর্কের সুবাদে বগুড়ার শিহাব নামে এক ছেলেকে নিজ বাড়ি দেবতলা গ্রামে নিয়ে আসে। তারা বিবাহ বহির্ভুত সম্পর্ক গড়ে তুলে স্বামী স্ত্রীর মতো বসবাস করতে থাকেন।

বিষয়টি গ্রামে জানাজানি হয়ে পড়লে স্থানীয় মসজিদের ইমাম নুরুল ইসলামসহ গ্রামের গন্যমান্য ব্যক্তিরা রবিউল কাজীর বাড়িতে গিয়ে যুবক শিহাব সম্পর্কে জানতে চান। শিহাব প্রথমে নিজেকে সেনাবাহিনীর সদস্য বলে পরিচয় দেন। এ সময় পরিচয়পত্র দেখতে চাইলে তিনি মার্কেটিংয়ে কাজ করেন বলে জানায়।শিহাব মিথ্যা তথ্য দেওয়ায় গ্রামের লোকজন ক্ষুদ্ধ হয়ে দু’জনকে বিয়ে পড়ানোর সিদ্ধন্ত নিলে ছেলেটি বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানায়। এ সময় রিপন কাজী শিহাবকে থাপ্পড় মারেন।

রবিউল কাজীর মেয়ের প্রেমিকাকে থাপ্পড় মারার কারণে ওই পরিবারটি রিপন কাজীর উপর ক্ষুদ্ধ হয়ে প্রতিশোধ নেওয়ার হুমকী দেয়। পুর্ব শত্রুতার জের ধরে ২০২৫ সালের ৩ মার্চ রবিউল কাজীর ১১ বছর মেয়েকে দিয়ে মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমুলক ভাবে ধর্ষনকান্ড সাজিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া হয়। এতে উত্তল হয়ে পড়ে দেবতলা গ্রাম। পরিস্থিতি সামাল দিতে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়। এ ঘটনায় রবিউল তার সামাজিক দলকে সঙ্ঘবদ্ধ করে রিপন কাজীর বাড়ি ভাংচুর ও লুটপাট করে।এ ঘটনার পর থেকে রিপন কাজী, তার স্ত্রী ও দুই শিশু সন্তান ঘরবাড়ি ছাড়া হয়েছেন। মিথ্যা ধর্ষন মামলায় এই পরিবারটি পথে বসেছেন। তারা বাড়ি ফিরতে পারছেন না। মিথ্যা ধর্ষন মামলার বাদী রবিউল ও তার ভাতিজা শিমুল কাজী প্রতিনিয়ত হত্যার হুমকী দিচ্ছেন বলেও সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে রিপন কাজী জানান, ইতিমধ্যে পুলিশী তদন্তে মামলাটি মিথ্যা বলে প্রমানিত হয়েছে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা অমিত কুমার ঘোষ ২৫ জুলাই আদালতে চুড়ান্ত রিপোর্ট প্রদান করেছেন। রিপোর্টে বলা হয় মামলাটি মিথ্যা প্রমানিত হয়েছে। এছাড়া ডাক্তারী পরীক্ষায় ধর্ষনের কোন আলামত মেলেনি বলে পরীক্ষাকারী চিকিৎসক ডাঃ সুলতানা মেফতাহুল জান্নাত গত ১৫ মার্চ তারিখে আদালতে পাঠানো এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করেন।
মিথ্যা ধর্ষন মামলার বিষয়ে বাদী রবিউল কাজী জানান, ধর্ষন মামলাটি মিথ্যা নয়। ঘটনাটি সত্য ছিল। কিন্তু ধর্ষনের ১১দিন পর মামলা ও ১২দিন পর ডাক্তারী পরীক্ষা করায় রিপোর্টটা হয়তো পক্ষে আসেনি। তিনি বলেন, টাকা দিয়ে মেডিকেল রিপোর্ট আসামী পক্ষে নিতে পাে রন। এ বিষয়ে তিনি ডিএনএ টেষ্ট করবেন বলে জানান।

আতিকুর রহমান
ঝিনাইদহ।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *