চাচা ভাতিজা ধ-ন্দে বাড়ির গাছ কাটা-কে কেন্দ্র করে আদালতে মাম-লা

দোয়ারাবাজার (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি: সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারে চাচা ও ভাতিজার মধ্যে গাছ কাটার ঘটনাকে কেন্দ্র করে জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে সিআর নং ৩২৬/২০২৫ মামলা দায়ের করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে জেলার দোয়ারাবাজার উপজেলার মান্নারগাও ইউনিয়নের কাটাখালী আহমদ নগর গ্রামে। মৃত কমর আলীর পুত্র শামসুদ্দিন তার আপন বড় ভাই চান্দ আলীর পুত্র মোঃ জয়নাল ওরূপে মনাই, তার স্ত্রী তাছলিমা বেগম, শশুর আসকর আলীর বিরুদ্ধে নাশকতা সহ বাড়ির গাছ কাটার অভিযোগ এনে সুনামগঞ্জ আদালতে একটি মামলা দায়ের করেছেন।রবিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) কাটাখালী আহমেদ নগর গ্রামে সরেজমিনে উপস্থিত হয়ে স্থানীয় সূত্র ও মামলার বিবরণে জানা যায়, আসামিদের অত্যাচারে বাদী তার মূল ভিটা বাড়ী ফেলে অন্যবাড়িতে বসবাস করছে। বর্তমানে বাড়ি দখল নেওয়ার উদ্দেশ্যে ভাতিজা ও তার বউ মিলে বাদীর লাগানো বিভিন্ন জাতের ফলজ ও বনজ বৃক্ষ কেটে লাখ টাকার ক্ষতি করে। এসব বিষয়ে বাধা নিশেধ করলে ২ নং বিবাদী অশ্লীল ও অশ্রাব্য ভাষায় গালি গালাজ করে প্রাণে মারার হুমকি দেয়। পরবর্তীতে চাচা শামসুদ্দিন বিষয়টি গ্রাম পঞ্চাত কে জানালেও সমাধান না হওয়ায় আইনগতভাবে সমাধানের জন্য সুনামগঞ্জ আদালতে মামলা দায়ের করা হয়।

এব্যাপারে বাদী শামসুদ্দিন বলেন, আমার ভাতিজা জয়নাল ওরূপে মনাই তার স্ত্রী তাছলিমা তার শশুর আসকর আলী আমার বাড়িতে দখলের পায়তারা সরূপ বাড়ির সব গাছপালা কেটে ফেলছে। এতে আমার লাখ টাকা ক্ষতি করেও আমাকে হত্যার হুমকি দিয়ে আসছে।

বিবাদী জয়নাল ওরূপে মনাই অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন,আমি রাজ মিস্ত্রী কাজ করি গাছ কাটার সময় কোথায়, একদিন আমার স্ত্রী তাছলিমা জানায় আমার প্রতিবন্ধী শিশু পুত্র দুটি গাছ কেটে ফেলে। পরে মামলার বাদী আমার চাচা অন্যান্য বাপ চাচাকে নিয়ে আসে। পরবর্তীতে রাতের আঁধারে আমার চাচা নিজেই গাছ কেটে আমার বিরুদ্ধে মামলা করেছে।

এ ব্যাপারে মামলার আইনজীবী জানিয়েছেন, এটি সম্পত্তি সংক্রান্ত একটি বিরোধ, যা আদালতে বিচারের মাধ্যমে সমাধান হবে। আদালত ইতিমধ্যে ঘটনাটি খতিয়ে দেখতে দোয়ারাবাজার থানাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

মামলার তদন্ত কারী কর্মকর্তা দোয়ারাবাজার থানার এসআই মিজানুর রহমান কে মামলার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান দূর্গা-পুজায় অতিরিক্ত দায়িত্ব থাকায় পুজা শেষে তদন্ত করা হবে।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *