রফিকুল ইসলাম,
অবৈধভাবে সরকারি সুবিধা ও চাঁদা না দেওয়ায় পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার ছোটবাইশদিয়া ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয় ভাঙচুর করেছেন উপজেলা যুবদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক মো. বায়েজিদ আহম্মেদ কালু। শুক্রবার সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এ দিন ওই ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন বঙ্গ বাজারে মানববন্ধন করেন বায়েজিদ কালুর লোকজন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ওই দিন উপজেলা যুবদল নেতা বায়েজিদ আহম্মেদ কালু তার অনুসারীদের নিয়ে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে মিছিলসহ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) কামাল পাশার বাসভবনের সামনে যান। পরে চেয়ারম্যানকে না পেয়ে ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে প্রবেশ করে প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও ইউডিসি উদ্যোক্তার কক্ষে ভাঙচুর চালান তারা। এতে পরিষদের চেয়ার-টেবিল, কক্ষের দরজা ও কম্পিউটার ভাঙা হয়। এছাড়াও গুরুত্বপূর্ণ নথি হস্তগত করার অভিযোগ তোলেন চেয়ারম্যান। দেশের পট পরিবর্তনের পর থেকেই ইউনিয়ন পরিষদ কব্জায় নেয়ার জন্য বেপরোয়া হয়ে ওঠেন বায়েজিদ ও তার অনুসারীরা।
এর আগে ইউপি চেয়ারম্যান কামাল পাশাকে একাধিকবার প্রাণনাশের হুমকি দেন বায়েজিদ কালু। এ কারণে নিরাপত্তা চেয়ে রাঙ্গাবালী থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন চেয়ারম্যান।
ইউপি চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) কামাল পাশা বলেন, “উপজেলা যুবদল নেতা বায়েজিদ কালু দীর্ঘদিন ধরে ইউনিয়ন পরিষদের কার্যক্রমে বাধা দিয়ে আসছেন। সরকারি প্রকল্প এবং জেলেদেও সহায়তার চালসহ অবৈধভাবে চাঁদা দাবি করেছেন। আমি না দেওয়ায় তিনি ক্ষিপ্ত হন। শুক্রবার আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে লোকজন নিয়ে বাসার সামনে এসে গালাগালি করেন। আমাকে না পেয়ে পরিষদ ভাঙচুর করেন।”
অভিযোগের বিষয়ে উপজেলা যুবদলের যুগ্ম- আহ্বায়ক মো. বায়েজিদ আহম্মেদ কালু বলেন, লোকজন মানববন্ধন করে যে যার মতো চলে গেছে। চেয়ারম্যানের লোকজন ইউনিয়ন পরিষদ ভাঙচুর করে দায় এখন মানববন্ধন করা লোকজনের উপরে দিতে চাচ্ছে।
রাঙ্গাবালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. শামীম হাওলাদার বলেন, “সকাল ১১টার দিকে ছোটবাইশদিয়া ইউনিয়নে বায়েজিদ কালুর লোকজন মানববন্ধন করেছে। পরে ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে বলে শুনেছি। এর আগে প্রাণনাশের হুমকির বিষয়ে চেয়ারম্যান থানায় জিডি করেছিলেন।”
Leave a Reply