ময়মনসিংহে মুমূ-র্ষু রোগীকে অধিগ্রহণের চেক দেওয়ায় এডিসির বিরু-দ্ধে অ-পপ্রচার , বইছে স-মালোচনার ঝ-ড়

আরিফ রববানী ময়মনসিংহ।।
এ কে এম বজলুল আউয়াল চান মিয়া। একজন
স্ট্রোকের রোগী। চলাফেরা করতে পারেনা। স্ত্রী ও ছেলের সহযোগীতায় ভূমি অধিগ্রহণের ক্ষতিপুরণ চেক পেতে উপস্থিত হন ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে। কিন্তু অসুস্থ মানুষ, জেলা প্রশাসনের দুতলায় উঠে চেক গ্রহণ করা তার পক্ষে সম্ভব না হওয়ায় অপেক্ষা করেন জেলা প্রশাসনের ভূমি অধিগ্রহণ শাখা কার্যালয়ে। সকলের চেক বিতরণ করে সন্ধ্যা হয়ে যায়। যে কারণে জেলা প্রশাসকের অনুমতি ক্রমে সন্ধ্যার পরেই নিচে নেমে তার হাতে ভূমি অধিগ্রহণ চেক তুলে দিয়ে মানবিকতার পরিচয় দেন জেলা প্রশাসনের উন্নয়ন ও মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা শাখার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আসাদুজ্জামান। তবে তার এই মানবিক কাজটাকেও আপত্তি থাকার পরেও শুনানি ছাড়া চেক প্রদান করা হয়েছে বলে ভিন্ন খাতে নিয়ে তাদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার ও মিথ্যাচারে লিপ্ত হলো একটা কুচক্রী মহল। অপরদিকে এমন মিথ্যা বানোয়াট ভিত্তিহীন তথ্য প্রচার করায় বিভিন্ন পেশাশ্রেণীর মানুষের মাঝে শুরু হয়েছে ব্যাপক সমালোচনা। অনেকেই বলছে সমাজে ভালো কাজেরও মুল্য নাই। একটা রোগীকে মানবিকতা দেখানো যদি অন্যায় হয় তাহলে ভালো কাজ কোনটা এমন প্রশ্ন উঠেছে বিভিন্ন মহলে।

অথচ চেক গ্রহীতা এ কে এম বজলুল আউয়াল চান মিয়ার ছেলে তার ব্যবহৃত ফেইসবুক আইডিতে একটি পোস্টে উল্লেখ করেন-এল এ শাখার একজন মানবিক এডিসি আসাদুজ্জামান স্যারকে নিয়ে সাংবাদিক যে মিথ্যা বানোয়াট কথা বলেছে, তা ভিত্তিহীন। তিনি জানান- আপত্তি থাকার পরেও শুনানি ছাড়া চেক প্রদান করা হয়েছে তথ্যটি সম্পূর্ন মিথ্যা এবং বানোয়াট। তিনটি শুনানির পর আমার বাবার ক্রয়কৃত দলিল নামজারি খতিয়ান ও ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধ থাকায় এবং ভূমি অধিগ্রহণের প্রত্যেকটি এওয়ার্ড আমার বাবা এ কে এম বজলুল আওয়াল চান মিয়ার দখলিও সম্পত্তির সত্যতা প্রমানিত হওয়ায় ডিসি অফিসের এল এ শাখা থেকে চেকটি প্রধান করা হয়।

তিনি আরো জানান-তার বাবা একজন স্ট্রোকের রোগী। বিগত অনেক দিন যাবত সাংবাদিকতার পরিচয় নিয়ে সেই সাংবাদিক তাদের প্রতিপক্ষ মনোয়ারা বেগম ও তার ছেলে এবাদুল ইসলামের পক্ষ নিয়ে তার বাবা ও পরিবারকে বিভিন্নভাবে চাপ প্রদান করে আসছিলেন। তার বাবা এইসবের টেনশনে গত ২২ তারিখ আবার স্ট্রোক করেন। যার কারণে তার বাবার পক্ষ থেকে চেক গ্রহন করতে তিনি ও তার বড় ভাই চেক গ্রহনের জন্য ডিসি অফিসে যান। জমির মালিক ব্যতীত কাউকে চেক দেওয়া হয় না বিধায় তার অসুস্থ বাবাকে নিয়ে চেক গ্রহণের জন্য যেতে হয়। অসুস্থ বাবাকে আবার বাসা থেকে আনতে এর মধ্যে আমাদের অনেক সময় চলে যায়। তিনি হেটে উপরে উঠতে পারেন না বিধায় ডিসি মহোদয় এবং এল এ শাখা বিশেষ বিবেচনায় তার বাবার চেকটি নিচে হস্তান্তর করার ব্যবস্থা করেন। তার অসুস্থ বাবাকে নিয়ে মিথ্যাচার করা হয়েছে বলেও দাবী করেন
বজলুল আওয়াল চান মিয়ার পুত্র। সে জানায় আমার বাবার এই জমিতে সত্যতা আছে এটা আমি প্রমাণ করতে পারছি এবং ভবিষ্যতেও পারবো। এই পোস্টে তিনি ভুল তথ্য দিয়ে মানুষকে ক্ষতিগ্রস্ত না করারও অনুরোধ জানিয়ে এল এ শাখার মানবিক এডিসি আসাদুজ্জামান কে নিয়ে মিথ্যাচার ও বানোয়াট সংবাদের প্রতিবাদ ও নিন্দা জানান।

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আসাদুজ্জামান, যিনি ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসনের উন্নয়ন ও মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগে কর্মরত থেকে ময়মনসিংহ জেলার সামগ্রিক উন্নয়নের জন্য প্রকল্প পরিকল্পনা, বাস্তবায়ন এবং তত্ত্বাবধান, স্থানীয় সরকার ও এনজিওগুলোর কার্যক্রম সমন্বয়, ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প স্থাপনে সহায়তা, এবং মানব সম্পদ উন্নয়নে বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করার দায়িত্ব পালনে সুনাম অর্জন করছেন। জেলা পর্যায়ের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড ও মানব সম্পদ বিষয়ক কাজগুলোতেও তার বলিষ্ঠ নেতৃত্ব জেলাবাসীর কাছে প্রশংসার দাবীদার হয়ে উঠেছে।

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (উন্নয়ন ও মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা) এর মূল দায়িত্ব হলো জেলার উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড তত্ত্বাবধান, মানব সম্পদ উন্নয়ন, এবং বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের সুষ্ঠু বাস্তবায়ন নিশ্চিত করার মাধ্যামে তিনি জেলা প্রশাসকের পক্ষে মানব সম্পদ সংক্রান্ত প্রশাসনিক ও উন্নয়নমূলক বিষয়গুলো দেখাশোনা করে স্থানীয় পর্যায়ে সরকারের নীতি বাস্তবায়নে সহায়তা করছেন। তার মেধাবী দায়িত্বে
উন্নয়নমূলক কার্যক্রমে জেলার বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্প ও কর্মসূচির পরিকল্পনা, বাস্তবায়ন, ও তত্ত্বাবধান করা, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রশিক্ষণ, নিয়োগ, বদলি এবং অন্যান্য মানব সম্পদ সংক্রান্ত প্রশাসনিক কাজ পরিচালনা,বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের কার্যক্রম তদারকি এবং প্রকল্পের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য অর্জিত হচ্ছে কিনা তা নিশ্চিত করা,কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন আইন ও নীতিমালা জেলা পর্যায়ে কার্যকরভাবে প্রয়োগ করা এবং জনগণের সেবা নিশ্চিত করা,:জেলা পর্যায়ের বিভিন্ন সরকারি দপ্তর ও সংস্থার মধ্যে সমন্বয় সাধন এবং তাদের কার্যক্রম তত্ত্বাবধান করা জেলা প্রশাসকের সহায়তা:জেলা প্রশাসকের নির্দেশনায় বিভিন্ন প্রশাসনিক ও উন্নয়নমূলক কাজে সহায়তা করে
জেলার সামগ্রিক উন্নয়ন ও মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনায় একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *