‎রংপুরে আঞ্চলিক নির্বাচন অফিস ঘে-রাও, রংপুর-৩ আসনের পুনর্বি-ন্যাসে প্র-তিবাদ


খলিলুর রহমান খলিল, ‎নিজস্ব প্রতিনিধি:

‎আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে রংপুর-৩ (সদর ও সিটি করপোরেশন) আসনের সীট বিন্যাস নিয়ে তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও জনগণ। বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সংসদীয় আসন রক্ষা কমিটি রংপুর আঞ্চলিক নির্বাচন অফিসের ফটকে ঘেরাও বিক্ষোভ ও সমাবেশ করেছে। তারা বিনা গণশুনানি ও পরামর্শ ছাড়াই আসন পুনর্বিন্যাসের সিদ্ধান্তের কঠোর প্রতিবাদ জানান।

‎বুধবার দুপুরে রংপুর আঞ্চলিক নির্বাচন অফিসের সামনে শতাধিক মানুষ একত্রিত হয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। তারা স্লোগান ও প্ল্যাকার্ড বহন করেন, যাতে স্পষ্টভাবে তাদের চাওয়া প্রকাশ পায়। সমাবেশে বক্তারা অভিযোগ করেন, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে রংপুর-৩ আসনের সঙ্গে সংযুক্ত সিটি করপোরেশনের ৯ নং ওয়ার্ডকে রংপুর-১ আসনের সাথে যুক্ত করা হয়েছে, যা স্থানীয়দের জন্য বিরূপ প্রভাব ফেলবে।বক্তারা বলেন, রংপুর-৩ আসনের বর্তমান ভোটাররা অনিশ্চয়তায় পড়বে। জনগণের মতামত বা গণশুনানি না নিয়েই এই পরিবর্তন করা হয়েছে।এই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করে নাগরিকদের দূর্ভোগ রোধ করতে হবে। সমাবেশে আন্দোলনকারীরা পুনরায় ৯ নং ওয়ার্ডকে রংপুর-৩ আসনের সঙ্গে যুক্ত করার দাবি জানান।

‎বিক্ষোভের সময় সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা, কো-চেয়ারম্যান, জাতীয় পার্টি ও রংপুর সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র। তিনি বলেন, নাগরিকদের মতামত না নিয়ে এমন আসন পুনর্বিন্যাস করা কখনো গ্রহণযোগ্য নয়। রংপুর-৩ আসনের জনগণ দীর্ঘদিন ধরে পরিচিত। তাদের ভোটার অধিকার ও সাংসদ নির্বাচনের স্বাধীনতা রক্ষার জন্য এই ৯ নং ওয়ার্ডকে পুনরায় রংপুর-৩ আসনের সঙ্গে যুক্ত করতে হবে। আমরা এই পুনর্বিন্যাসের ফলে ভোটের অধিকার হারাবো না, এমন আশ্বাস চাই। প্রশাসন যদি জনগণের কথা না শোনে, পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হতে পারে। স্থানীয়রা মনে করছেন, ৯ নং ওয়ার্ডের ভোটাররা রংপুর-৩ আসনের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে পরিচিত। এই সংযুক্তি তাদের ভোটাধিকারে প্রভাব ফেলতে পারে। ফলে সমাবেশে দাবি করা হয়, প্রশাসন দ্রুত সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করুক, যাতে জনগণকে দূর্ভোগে পড়তে না হয়।

‎বিক্ষোভ ও সমাবেশ শান্তিপূর্ণভাবে পরিচালিত হয়। আন্দোলনকারীরা জানান, যদি এই আসন পুনর্বিন্যাসের সিদ্ধান্ত অবিলম্বে সংশোধন না হয়, তারা আরও বৃহৎ কর্মসূচি এবং ধারাবাহিক আন্দোলনে নামবেন। স্থানীয় রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, নির্বাচনী আসন পুনর্বিন্যাস সংক্রান্ত এই ধরনের সিদ্ধান্তে যদি জনগণের মতামত না নেয়া হয়, তাহলে তা স্থানীয় রাজনৈতিক অস্থিরতা ও অসন্তোষের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। স্থানীয় রাজনৈতিক ও সামাজিক মহল মনে করছেন, রংপুর-৩ আসনের ভোটারদের অধিকারের প্রতি শ্রদ্ধা ও গণশুনানি ছাড়াই নেওয়া এ ধরনের সিদ্ধান্ত রাজনৈতিক অস্থিরতা বাড়াবে। তাই জনগণ আশা করছে প্রশাসন দ্রুত পদক্ষেপ নেবে।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *