মোরেলগঞ্জে দ্বিতীয় বিয়ে ঘিরে পারিবারিক দ্ব-ন্দ্ব, বৃদ্ধ পিতার বি-রুদ্ধে প্রথম স্ত্রী সন্তানদের ঘ-রছাড়া করার অ-ভিযোগ

শেখ সাইফুল ইসলাম কবির, বিশেষ প্রতিনিধি :সুন্দরবনের উপকূলের বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম বারইখালী গ্রামে প্রথম স্ত্রীকে তালাক না দিয়েই দ্বিতীয় বিয়ে করায় পারিবারিক অশান্তি চরমে পৌঁছেছে। এ ঘটনায় প্রতিবাদ করায় পরিবারের কর্তা শেখ আবদুল হক (৭০) তিন ছেলে ও তাদের পরিবারকে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘিরে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সকালে মোরেলগঞ্জ উপজেলা প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী পরিবার অভিযোগ তুলে ধরে এবং বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত মিথ্যা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত সংবাদের তীব্র প্রতিবাদ জানায়।

লিখিত বক্তব্যে আবদুল হকের ছেলে মানিক শেখ অভিযোগ করেন, তাদের পিতা প্রথম স্ত্রী কোহিনুর বেগমকে সংসারে রেখেই দ্বিতীয় স্ত্রী জাহানুর বেগমকে ঘরে তোলেন। এ ঘটনায় প্রতিবাদ করলে তিনি মা ও সন্তানদের স্বপরিবারে বাড়ি থেকে জোরপূর্বক বের করে দেন।

মানিক শেখ বলেন, “আমরা তিন ভাই ও দুই বোন সবাই বিবাহিত। বোনেরা নিজেদের সংসারে থাকলেও আমরা ভাইয়েরা মাকে নিয়ে সুখে বসবাস করছিলাম। কিন্তু দ্বিতীয় বিয়ের পর থেকেই পিতা আমাদের স্ত্রী ও মায়ের উপর নির্যাতন শুরু করেন। প্রতিবাদ করলে ক্ষিপ্ত হয়ে বাড়ি থেকে বের করে দেন।”

তিনি আরও অভিযোগ করেন, স্থানীয় কিছু গণমাধ্যমে তাদের নামে প্রকাশিত সংবাদ সম্পূর্ণ মিথ্যা। প্রকৃতপক্ষে তাদের পিতাই নিজে আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে উল্টো তাদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছেন, যাতে আইনি জটিলতা এড়াতে পারেন।

সংবাদ সম্মেলনে প্রথম স্ত্রী কোহিনুর বেগম কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, “আমি এখনও তালাকপ্রাপ্ত নই। আমাকে সংসারে রেখেই তিনি দ্বিতীয় বিয়ে করেছেন। বিষয়টি মেনে না নেওয়ায় আমাকে ও সন্তানদের বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছেন। এখন আবার আমাদের নামে মিথ্যা অভিযোগ এনে সমাজে হেয় করার চেষ্টা করছেন।”

পরিবারের অন্য সদস্যরা জানান, দ্বিতীয় স্ত্রীকে ঘরে আনার পর থেকেই আবদুল হক তাদের উপর মানসিক ও শারীরিক চাপ সৃষ্টি করে আসছেন। এ নিয়ে স্থানীয়ভাবে একাধিকবার সালিশ বৈঠক হলেও তিনি সমাধানে রাজি হননি।

সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগীরা আরও বলেন, প্রকাশিত সংবাদ একতরফা, আক্রমণাত্মক ও বিভ্রান্তিকর। এতে তাদের নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়েছে। তারা প্রশাসনের কাছে দ্রুত হস্তক্ষেপ ও ন্যায়বিচার দাবি করেন।

এ বিষয়ে শেখ আবদুল হকের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।#### ছবি সংযুক্ত আছে।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *