আরিফ রববানী ময়মনসিংহ।।
ময়মনসিংহের ত্রিশালে বাজারে মরা মুরগির মাংস বিক্রির সময় দুই ব্যক্তিকে আটক করে ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছে সহকারী কমিশনার ভূমি এসিল্যান্ড এর নেতৃত্বাধীন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
শনিবার (২০সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ৮টায় ত্রিশাল বাজারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুল্লাহ আল বাকিউল বারীর নির্দেশে ভ্রাম্যমাণ আদালতের এই অভিযান পরিচালনা করেন সহকারী কমিশনার ভূমি এসিল্যান্ড মাহবুবুর রহমান।
জানা যায়,দীর্ঘদিন যাবৎ ময়মনসিংহের ত্রিশালে বাজারে বাজারে মরা ব্রয়লার মুরগির মাংস বিক্রি করছে দুই ব্যবসায়ী। খবর পেয়ে শনিবার রাত সাড়ে আটটার দিকে থানা থেকে পুলিশ ও উপজেলা প্রাণিসম্পদ হাসপাতালের ভেটেরিনারি সার্জন বাজারে এসে মুরগির মাংস মানুষের খাওয়ার অনুপযোগী বলে নিশ্চিত করেন। এরপর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুবুর রহমান হাটে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে বিক্রেতা দুই বিক্রেতাকে বিশ হাজার অর্থদণ্ড দেন।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে বাজারে বিক্রির সময় তাদের নিকট নিকট উদ্ধারকৃত মরা মুরগির মাংস জব্দ করা হয়েছে। জব্দকরা মাংস মাটিতে পুঁতে ফেলা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা গেছে, শনিবার ব্রয়লার মুরগির মাংস কেটে পাত্রে সাজিয়ে বিক্রি করছিলেন দুজন বিক্রেতা। এ সময় মাংস থেকে দুর্গন্ধ বের হতে থাকলে ক্রেতাদের মনে সন্দেহ জাগে। এক পর্যায়ে হাটের লোকজন বিক্রেতা দুজনকে আটক করেন। এরা দীর্ঘদিন যাবৎ বাজারে মরা মুরগির মাংস বিক্রি আসছিলেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
হাটে আসা কয়েক ব্যক্তি বলেন, ব্রয়লার মুরগির দাম বেড়ে যাওয়ায় একশ্রেণির বিক্রেতা এসব মুরগির মাংস কেটে পাত্রে সাজিয়ে বিভিন্ন হাটবাজারে বিক্রি করছেন। কিন্তু মুরগিগুলো কখন কাটা হয়েছে বা আদৌ জীবিত মুরগি কাটা হয়েছে কি না, তা কেউ জানেন না।
এ বিষয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, মাংস বিক্রেতার স্বীকারোক্তি পাওয়ার পর ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে তাকে কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল বাকিউল বারী বলেন, ‘মরা মুরগি বিক্রির সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে। অভিযুক্ত পোল্ট্রির বিরুদ্ধেও খোঁজখবর নেয়া হচ্ছে এবং যিনি বা যারা মুরগিগুলো কিনে নিতেন তাদেরকেও বের করা হবে।’
Leave a Reply