ক্ষেতলালে নি-খোঁজের পর শিশু শিক্ষার্থীর ব-স্তাবন্দি লা-শ উ-দ্ধার, দুই নারী আ-টক

স্টাফ রিপোর্টার:- নিরেন দাস

জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলায় নিখোঁজের তিন দিন পর তাসনিয়া (১০) নামে এক শিশু শিক্ষার্থীর বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এঘটনায় প্রতিবেশী একরামুল হকের স্ত্রীসহ দু’নারীকে আটক করেছে পুলিশ। শুক্রবার রাতে উপজেলার বরতারা ইউনিয়নের শালবন গ্রামের পশ্চিমপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় ছয়জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা আসামী করে ক্ষেতলাল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন তাসনিয়ার বাবা এরশাদ৷

মুহূর্তে গ্রামবাসীরা অভিযুক্ত একরামুলের বাড়িটি ঘিরে রাখে। পরে লাশ ও আটক ব্যক্তিদের উদ্ধারে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) পুলিশ এবং অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। উত্তেজিত জনতাকে দ্রুত বিচারের আশ্বাস দিয়ে তারা লাশ ও আটক ব্যক্তিদের উদ্ধার করেন৷

নিহত তাসনিয়া ওই গ্রামের এরশাদ হোসেনের মেয়ে ও স্থানীয় বটতলী বাজারের সানরাইজ মডেল স্কুলের তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী বলে জানাগেছে।

আটককৃতরা হলেন, উপজেলার বরতারা ইউনিয়নের শালবন গ্রামের পশ্চিমপাড়ার একরামুল হকের স্ত্রী হাবিবা আক্তার কুমকুম( ৩০) (২৫) ও একই এলাকার রাজ্জাকের স্ত্রী আজুয়ারা (৬০) খোকন (২৫) নািম (২৪)

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সন্ধা ৬টা ২০ মিনিটে বসতবাড়ীর সামনে খেলাধুলা করাকালীন সময়ে বাড়ীতে না আসিয়া নিখোঁজ হয় শিশু শিক্ষার্থী তাসনিয়া। অনেক খোঁজাখুঁজির পরও তার কোনো খোঁজ মেলেনি। তিনদিন পর শুক্রবার সন্ধ্যায় প্রতিবেশী একরামুল ইসলামের বাড়ী থেকে দুর্গন্ধ পেয়ে স্থানীয়রা খোঁজতে থাকেন। পরে ওই বাড়ীর গোয়ালঘরে তল্লাশির সময় একটি বস্তার ভেতর শিশুটির মরদেহ দেখতে পান তারা। খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জয়পুরহাট জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। ঘটনার সময় কৌশলে পালিয়ে যায় একরামুল হক। তবে স্থানীয়রা একরামুল হকের স্ত্রী হাবিবাকে অবরুদ্ধ করে রাখে। পরে সেখান থেকে পুলিশ ওই নারীকে উদ্ধার করে নিয়ে আসেন। পরে একরামুলের স্ত্রীর তথ্যমতে অপর এক প্রতিবেশী এক নারীকেও আটক করে পুলিশ।

এদিকে, মর্মান্তিক এ হত্যাকাণ্ডে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী ঘাতকদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনায় আজ ভোরে বিক্ষুব্ধ জনতা খুনি একরামুলের বাড়িতে ভাঙচুর চালিয়েছেন৷

এ বিষয়ে ক্ষেতলাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল করিম বলেন, শিশুর লাশ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ইতিমধ্যে এঘটনায় দু’জন নারীকে আটক করা হয়েছে। তবে এখনও তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *