গোদাগাড়ীতে একটি স্কুল মাঠের গ-র্ত নিয়ে কার স্বার্থে অ-পপ্রচার

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহীঃ রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার চর আষাড়িয়াদহ প্রাথমিক বিদ্যালয় ও আষাড়িয়াদহ
কানাপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের পাশে খেলার মাঠ থেকে মাটি খুড়ে গর্ত করায় বিদ্যালয়ের দুটি ভবন ঝুঁকির মুখে রয়েছে। ভবনের পাশে খনন করা গর্তে পানি জমেছে। কিন্তু গর্তটি আজকে ভরাট করার পরে কার স্বার্থে, কেন এত অপপ্রচার ?

ভাল কাজ করলে মানুষ, কিছু মানুষ বাঁকা চোখে দেখবে এটা স্বাভাবিক। তাই বলে কি ভাল বন্ধ করে জনগনকে সেবা বঞ্চিত করবেন। দশের চক্রে ভগমান মানকে ভুত হয়ে যায়।

বেঞ্জামিন ফ্রাঙ্কলিন বলেছিলেন, ‘উন্নয়ন হলো চেষ্টা এবং ভুলের একটি সমন্বিত প্রক্রিয়া। ‘বিজনেস গুরু রিচার্ড ব্রানসনের মতে, ‘নিয়ম মেনে কেউ হাঁটা শিখতে পারে না বরং চেষ্টা এবং বার বার ভুল পদক্ষেপের মধ্য দিয়ে হাঁটা শিখতে হয়।’
তেমনটি ঘটেছে চর আষাড়িয়াদহ কাঁনাপাড়া উচ্চ বিদ্যালয় ও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে একটি গর্ত করে মাটি উত্তোলন করে কয়েক ফুট দূরে ছাত্রছাত্রী এলাকার শিশুদের একটি মিনি পার্ক তৈরী করার জন্য অন্য একটি গর্তে নিয়ে যাওয়া হয়। দুই স্কুল কতৃপক্ষ, চর আষাড়িয়াদহ ইউনিয়ন পরিষদ, সরকারী কর্মকর্তা এবং এলাকাবাসীর সাথে বসে মতামতে ভিক্তিতে সর্বসম্মতিক্রমে কাজটি করা হয়।

বন্যা ও বৃষ্টি কমে গেলে ওই গর্তটি পুনরায় মাটি ও বালু ভরাট করা হবে। প্রচুর বৃষ্টির কারণে খালটি পানিতে ভর্তি হয়ে যায়। জরুরী ভিক্তিতে আজকে খালটি ভরাট করা হযেছে বলে নিশ্চিত করেছেন সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান আশরাফুল হক ভোলা। তিনি আরও জানান, কোন ভালকাজ সৎ উদ্দেশ্য নিয়ে করতে গেলে প্রতিবন্ধকতা আসবেই। দুটি স্কুল কমিটির সদস্য, শিক্ষক, ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য, সরকারী কর্মকর্তা, এলাকার সুধিজনদের মিনি শিশু পার্কের ব্যপারে সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে বন্যা ও বৃষ্টির কারণে মাটি না পাওয়ায় এবং পরবর্তীতে দ্রুত ভরাট করে দেয়া শর্তে ওই স্থান থেকে মাটি উত্তোলন করে পার্কের গর্ত ভারাট করা হয়। পার্কে জন্য আমাকে সকল মালামাল বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে কার্যক্রম দূতগতিতে চলছে। আমি আজকেই স্কুলে ওই গর্ত ভরাট করেদিয়েছি।
কিছু মহল আমাকে উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের নিকট খারাপ করতে, উন্নয়ন কার্যক্রম বাধাগ্রস্থ করতে ইমন, কবিরসহ কয়েকজন ফেসবুক সহ বিভিন্ন মাধমে অপপ্রচার চালাচ্ছেন যাদের ভালকাজ দেখলে গায়ে জ্বর আসে।

চর আষাড়িয়াদহ কাঁনাপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আসগর আলী জানান, সকলের সাথে আলোচনা করে মাটি উত্তোলন করে মাটি নিয়ে পার্কের কাজে ব্যবহার করা হয় এবং আজকে স্কুলের ওই গর্তটি ভরাট করা হয়েছে, কোন প্রকার সমস্যা হয় নি। সবাইকে অপপ্রচার থেকে বিরত থাকার অনুরোধ করচ্ছি। সহকারী প্রধান শিক্ষক আব্দুল কুদ্দুস একই মন্তব্য করেন। চর আষাড়িয়াদহ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মিন্টুর সাথে যোগাযোগ করা হলে রিসিভ না করায় তার বক্তব্য পাওয়া যায় নি।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফয়সাল আহমেদ বলেন, এলাকায় ভাল কাজ করা কষ্টকর। বিদ্যালয় কতৃপক্ষ, ইউনিয়ন পরিষদ, এলাকার সুধিজন নিয়ে মতামতের ভিক্তিতে আমরা মিনি পার্ক করছি, পার্কের সকল মালামাল চরে চলে গেছে, কার্যক্রম পুরোদমে চলছে।বন্যা ও বৃষ্টির কারনে মাটি না পাওয়ায় ওই স্থানে গর্তটি করা হয়েছিল সেটি আজকে ভরা করা হয়েছে। এলাকার শিশু-কিশোরদের মাদক থেকে দূরে থাকতে বিভিন্ন লেখাধুলার ব্যবস্থা করা হয়েছে, বিনোদনের জন্য পার্ক করা হচ্ছে। সবার সহযোগিতা নিয়ে উপজেলাকে একটি মডেল উপজেলা করতে চাই। চর আষাড়িয়াদহ ইউনিয়নে তাড়াতাড়ি পৌছানোর জন্য স্পিডবোটের ব্যবস্থা করা হয়েছে। বিনামূল্যে রোগি, গর্ভবতী মা, দুস্থদের সেবা দেয়া হবে যা উদ্বোধন পর্য়ায়ে রয়েছে।

মোঃ হায়দার আলী
নিজস্ব প্রতিবেদক,
রাজশাহী।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *