September 13, 2025, 11:37 pm

বিজ্ঞপ্তি :
বিশেষ সতর্কীকরন - "নতুন বাজার পত্রিকায়" প্রকাশিত সকল সংবাদের দ্বায়ভার সম্পুর্ন প্রতিনিধি ও লেখকের। আমরা আমাদের প্রতিনিধি ও লেখকের চিন্তা মতামতের প্রতি সম্পুর্ন শ্রদ্ধাশীল। অনেক সময় প্রকাশিত সংবাদের সাথে মাধ্যমটির সম্পাদকীয় নীতির মিল নাও থাকতে পারে। তাই যেকোনো প্রকাশিত সংবাদের জন্য অত্র পত্রিকা দায়ী নহে। নতুন বাজার পত্রিকা- বাংলাদেশের সমস্ত জেলা, উপজেলা, ক্যাম্পাস ও প্রবাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! বিস্তারিত: ০১৭১২৯০৪৫২৬/০১৯১১১৬১৩৯৩
শিরোনাম :
যুব সমাজকে মা-দক থেকে দূরে রাখতে সুজানগরে প্রীতি ফুটবল ম্যাচ অ-নুষ্ঠিত পাবনা-২ আসন থেকে বিএনপির মনোনয়ন চেয়ে আজম আলী বিশ্বাসের বিশাল মোটরসাইকেল শো-ডাউন রাজশাহীর দুর্গাপুর, বাগমারার পর এবার গোদাগাড়ী খাদ্য গুদামে পচা চাল মিলছে গরি-বের ভাগ্যে বাবুগঞ্জে জামেনা খাতুন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে অবস-রপ্রাপ্ত শিক্ষকদের সং-বর্ধনা অ-নুষ্ঠান র‌্যাব-১২ সিরাজগঞ্জ এর অভিযানে হ-ত্যা মাম-লার যা-বজ্জীবন সাজা-প্রাপ্ত পলা-তক আ-সামি গ্রে-ফতার অ-বৈধভাবে কাঠ পো-ড়ানো ব-ন্ধের দাবি এলাকাবাসীর পবিত্র মীলাদুন্নবী উপলক্ষে খায়রুন মুজিব আহলুস সুন্নাহ মাদ্রাসার উদ্যোগে আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণ নড়াইলে আসন্ন শার-দীয় দুর্গোৎসব উপলক্ষ্যে আই-ন-শৃঙ্খলা বিষয়ক মতবিনিময় সভায় অ-নুষ্ঠিত বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামীর দরজা সবার জন্য খোলা- শামীম সাঈদী খুলনায় ডেঙ্গু প্র-তিরোধে টিডিপির প্র-শংসনীয় উদ্যোগ: স্বেচ্ছাশ্রমে সুই-জগেট খাল প-রিষ্কার
জরুরি বিভাগে ডাক্তার অ-নুপস্থিত, সেলাই করলেন ও-য়ার্ড বয়

জরুরি বিভাগে ডাক্তার অ-নুপস্থিত, সেলাই করলেন ও-য়ার্ড বয়

মোঃ বাবুল হোসেন পঞ্চগড় প্রতিনিধি :
পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে স্বাস্থ্যসেবার চরম অব্যবস্থাপনা প্রকাশ পেয়েছে। জরুরি বিভাগে চিকিৎসক না পেয়ে রোগীরা ঘণ্টার পর ঘণ্টা ভোগান্তিতে পড়ছেন। এমনকি গুরুতর আহত এক শিশুর হাতে সেলাই দিয়েছেন হাসপাতালের ওয়ার্ড বয়!

ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) বিকেলে। আটোয়ারী উপজেলার ধামোর ইউনিয়নের জুগিকাটা গ্রামের ফরহাদ হোসেন স্ত্রী-সন্তান নিয়ে বেড়াতে যান বোদা উপজেলার ময়দানদিঘী ইউনিয়নের লতাপাড়া গ্রামে। এসময় তার ছেলে মেহেদি হাসান খেলতে গিয়ে কার্তি দিয়ে হাত কেটে ফেলেন। পরে গুরুতর অবস্থায় তাকে দ্রুত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনা হলে জরুরি বিভাগে কোনো চিকিৎসক না থাকায় কর্তব্যরত ওয়ার্ড বয় শহিদুল ইসলাম শিশুর আঙুলে দুইটি সেলাই দেন। প্রায় বিশ মিনিট পর স্বজনদের অভিযোগে সিভিল সার্জনকে জানানো হলে তড়িঘড়ি করে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. রোমেনা বেগম জনি হাসপাতালে পৌঁছান।

এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন রোগী ও স্বজনরা।
কালিবাড়ি এলাকার রোগী রঞ্জন বলেন, “গলা ব্যথা নিয়ে জরুরি বিভাগে এসেছি। প্রায় এক ঘণ্টা অপেক্ষা করেও ডাক্তার পেলাম না। জরুরি বিভাগে যদি চিকিৎসকই না থাকেন, তবে এখানে এসে লাভ কী?”

অন্যদিকে সানজানা ইসলাম নামে এক অভিভাবক জানান, তার ছেলে হঠাৎ বুকে ব্যথা অনুভব করলে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে আসেন। কিন্তু ৪০ মিনিট অপেক্ষার পরও কোনো চিকিৎসক পাননি। মমতা নামে আরেক রোগী বলেন, “২০ মিনিট ধরে বসে আছি। ডাক্তার নেই। রোগীরা চিকিৎসা না পেয়ে একের পর এক ফিরে যাচ্ছে। এটা কেমন স্বাস্থ্যসেবা?”

অভিযোগের বিষয়ে চিকিৎসক ডা. রোমেনা বেগম জনি বলেন, “আমরা সেবা দিচ্ছি না তা নয়। আমার ছোট বাচ্চা থাকায় আধা ঘণ্টা দেরি হতে পারে। সাধারণত জরুরি রোগী এলে আমাকে জানানো হয়। কিন্তু সেদিন আমাকে কেউ ইনফর্ম করেনি।”

এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. লুৎফুল কবীর বলেন, “জরুরি বিভাগে ডাক্তার অনুপস্থিত ছিল—এটা আমার জানা নেই। কোন চিকিৎসক ডিউটিতে ছিলেন তা খোঁজখবর নিয়ে দেখা হবে। তবে ২৪ ঘণ্টা ডাক্তার থাকার কথা।”

Please Share This Post in Your Social Media






© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Design & Developed BY AMS IT BD