September 9, 2025, 9:33 pm
তরিকুল ইসলাম তরুন,
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রী এবং তার মায়ের মর্মস্পর্শী বিদায় পুরো কুমিল্লা শহরকে স্তব্ধ করে দিয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের পাবলিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন বিভাগের মেধাবী শিক্ষার্থী সুমাইয়া আফরিনের আগামীকালই ছিল তার সেমিস্টার ফাইনাল পরিক্ষা, কিন্তু সেই স্বপ্নভরা সকালে তাকে আর দেখা গেল না বইখাতা হাতে—তার পাশে নেই মমতাময়ী মা তাহমিনা বেগম (৪৫)কে।
তাদের নিথর দেহ পাওয়া গেছে শহরের কালিয়াজুরী পাক্কার মাথা সংলগ্ন ভাড়া বাসা হাতেখড়ি পাঠশালা ভবনের দ্বিতীয় তলায় ভিন্ন ভিন্ন কক্ষে।
মা মেয়ে একসঙ্গে থাকলেও শেষ বিদায়ে তারা রয়ে গেলেন দুই কক্ষে—কিন্তু একই শোকের আবরণে।
হারিয়ে গেল একটি স্বপ্নময় জীবন। রিন্তির
বন্ধুদের ভাষ্য অনুযায়ী, সুমাইয়া ছিলেন সবার প্রাণের মানুষ। পড়াশোনায় মনোযোগী, হাসিখুশি আর স্বপ্নে ভরা। পরীক্ষার আগের রাতেও তিনি বই নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন—কেউ ভাবতেও পারেনি, সেটিই হবে তার জীবনের শেষ প্রস্তুতি।
চিরশান্তিতে থাকুন সুমাইয়া আফরিন ও তাহমিনা বেগম এমন মনোভাব জানিয়েন একাধিক শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।এদিকে দিনভর চলছে প্রশাসনের তদন্ত, কেউ কেউ বলছে কথিত কবিরাজ বা তার কোন বন্ধুর সাথে তর্কবির্তকের এক পর্যায ঘটতে পারে মা মেয়ের মৃত্যু। স্থানীয় দের ও রিন্তির বড় ভাই আল আমিন দাবি করেন ঘাতকরা কুমিল্লা শহরেই আছে, প্রশাসন চেষ্টা করলে দ্রুত ধরা সম্ভব। এবিষয়ে কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানা ইনচার্জ মহিনুল ইসলাম বলেন পুলিশ, ডিবি, সিআইডি যৌথ ভাবে কাজ করছে অপরাধী দের শনাক্ত করতে।মামলা প্রক্রিয়াধিন আসামি ধরা পড়বে আশাবাদ।