শহিদুল ইসলাম,
বিশেষ প্রতিনিধিঃ
“ন্যায্য জ্বালানির অঙ্গীকার, নির্মল বায়ু সবার অধিকার”—এই স্লোগানকে সামনে রেখে চট্টগ্রামে পালিত হলো নীল আকাশের জন্য আন্তর্জাতিক নির্মল বায়ু দিবস-২০২৫। এ উপলক্ষে স্বপ্নীল ব্রাইট ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে র্যালি ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ আলী শিকদার। প্রধান অতিথি ছিলেন সংশপ্তকের প্রধান নির্বাহী লিটন চৌধুরী। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পার্ক সংস্থার নির্বাহী পরিচালক মো. নজরুল ইসলাম মান্না, উপকূল সমাজ উন্নয়ন সংস্থার নির্বাহী পরিচালক জোবায়ের ফারুক লিটন, কৃষিবিদ রফিকুল ইসলাম, পরিবেশকর্মী অগ্রদূত দাশগুপ্ত, জনাব মাজেদুল হক এবং সাংবাদিক মোসলেহউদ্দিন বাহার।
বক্তারা বলেন, জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ কর্তৃক ঘোষিত এই দিনটির মূল উদ্দেশ্য হলো বিশ্বব্যাপী বায়ুর মানোন্নয়ন ও দূষণ রোধে সমন্বিত উদ্যোগ নিশ্চিত করা। বিশ্বের প্রায় ৯৯ শতাংশ মানুষ আজ দূষিত বায়ুতে শ্বাস নিচ্ছে, যা প্রধানত ধোঁয়া, সালফার ও বিষাক্ত কেমিক্যাল দ্বারা ভরপুর। এই দূষণের কারণে প্রতি বছর প্রায় ৭০ লাখ মানুষ অকালমৃত্যুর শিকার হচ্ছে।
তারা আরও বলেন, উন্নয়নশীল ও স্বল্প আয়ের দেশগুলো সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত। বায়ুদূষণ এখন আর কেবল স্বাস্থ্যঝুঁকি নয়, বরং বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তন ও উষ্ণায়নের মূল সহায়ক। বাংলাদেশে এর প্রভাব ইতোমধ্যেই ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। জনস্বাস্থ্য হুমকির মুখে, শিশু ও বয়স্করা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
পরিবেশ কর্মীদের মতে, সরকারকে এখনই কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। নগরায়ণ, শিল্পায়ন, ইটভাটা, যানবাহনের কালো ধোঁয়া ও অপরিকল্পিত উন্নয়ন—সবকিছুই দূষণের প্রধান উৎস। আগামী প্রজন্মকে রক্ষা করতে হলে আইন প্রয়োগ, জনসচেতনতা এবং আন্তর্জাতিক সহযোগিতা অপরিহার্য। সভায় উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন, এনজিও প্রতিনিধি, শিক্ষার্থী, সাধারণ মানুষ ও পরিবেশকর্মীরা।
সভাপতি তার সমাপনী বক্তব্যে বলেন—“দূষিত বায়ু আমাদের জীবনের জন্য সরাসরি হুমকি। এখনই যদি আমরা সজাগ না হই, আগামী প্রজন্মকে বিষাক্ত পৃথিবী উপহার দিতে হবে। তাই নিজে সচেতন হন, অন্যকে সচেতন করুন।”এর মধ্য দিয়ে র্যালি ও আলোচনা সভার সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।
Leave a Reply