বিয়ের দাবি-তে প্রেমিকের বাড়িতে প্রেমিকার অ-নশন

পঞ্চগড় প্রতিনিধি :

পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলায় বিয়ের দাবিতে প্রেমিক আকাশের বাড়িতে অনশন ও অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেছেন এক কলেজপড়ুয়া তরুণী। বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে উপজেলার বুড়াবুড়ি ইউনিয়নের সরকারপাড়া গ্রামের আমিনারের ছেলে আকাশের বাড়িতে উপস্থিত হয়ে ওই তরুণী এ কর্মসূচি শুরু করেন।

 

তরুণী জানান, স্থানীয় এক মাদরাসায় পড়ালেখার পাশাপাশি দুইজনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এরপর মোবাইল ফোনে তাদের প্রেমের সম্পর্ক হয়ে আসছে। সাত বছর আট মাস ধরে প্রেমিক আকাশের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক। একপর্যায়ে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে আকাশ তাকে বিভিন্ন জায়গায় থেকে দেখতে আসা পাত্রের পিঁড়িতে বসতে নিষেধ করেন। বিষয়টি জানাজানি হলে আকাশ যোগাযোগ বন্ধ করে দেন।

 

তবে আকাশ বাড়িতে না থাকায় বক্তব্য না মিললেও তার বাবা আমিনার রহমান বলেন, ‘আমার ছেলে বাড়িতে নেই। আমার ছেলে কট(বন্ধকনামা) নেওয়া জমির টাকা দিতে গেলে বাড়িতে ফিরে আসেনি সে নাকি বাংলাবান্ধায় গেছেন। তার মোবাইল ফোন বন্ধ যোগাযোগ করতে পারছিনা।’

 

তরুণীর মা আছমা বেগম বলেন, ‘আমার মেয়ে যে বাড়িতে গেছে তার সঙ্গেই বিয়ে দিতে চাচ্ছি।’

 

সংরক্ষিত মহিলা ইউপি সদস্য আনোয়ারা পারভীন বলেন, সন্ধ্যার দিকে ওই তরুণী যখন ছেলের বাড়িতে অবস্থান করছিলেন। তরুণীকে হেফাজতে রাখতে ছেলের ওখান থেকে তার বাড়িতে নিয়ে যান তিনি। এরপর সেখানেও ওই তরুণী থাকতে না চাওয়ায় পড়ে ছেলের বাড়িতেই অবস্থান নেয়।

 

ইউপি সদস্য আইবুল হক বলেন, বিকেলের দিকে যখন ওই মেয়ে ছেলের বাড়িতে অবস্থান নেয় তখন মিমাংসা করার উদ্দেশ্যে মেয়েকে বুঝিয়ে তার বাবার কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়। পরে মেয়ের বাড়িতে যাওয়ার জন্য শিলাইকুঠি বাজারে চা খাওয়ার সময় জানতে পারি আবারো ওই মেয়ে ছেলের বাড়িতে চলে গেছে। রাতে বিষয়টির কোনো সুরাহা না হওয়ায় তিনি থানায় অবগত করেন।

 

ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. তারেক হোসেন বলেন, ‘তিনি এ বিষয়ে অবগত নন। কেউ তাকে এ বিষয়ে অবগত করেননি। তিনি এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিবেন জানিয়েছেন।’

 

তেঁতুলিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুসা মিয়া বলেন, বিষয়টি শুনেছি। এ বিষয়ে কেউ কোনো অভিযোগ করেননি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত জানা যায়, ‘ইউপি সদস্য আইবুল হক মিমাংসা হওয়ার কথা জানালেও ওই তরুণীর দাদা জয়নাল আবেদীন ও স্থানীয় এক ব্যক্তি বলেন, ছেলের বাবা মেনে নিচ্ছেননা এখনো মিমাংসা হয়নি।’

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *