September 5, 2025, 7:20 pm
নেছারাবাদ উপজেলা প্রতিনিধি //
নেছারাবাদে মানষিক ভারসাম্যহীন গৃহবধূর নিজের গায়ে আগুন দিয়ে আত্মহত্যা খবর পাওয়া গেছে। উপজেলার ৬ নং দৈহারী ইউনিয়নের বাঁশতলা গ্রামের ০৭ নং ওয়ার্ডে ঐ ঘটনা ঘটে। এ বিষয়ে নেছারাবাদ থানায় একটি ইউডি মামলা হয়েছে।
৪সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার বিকাল পাঁচটার সময় মলিনা হালদার নিজ ঘরের পাশে একটি কাঠের বক্সের ভিতর কেরসিন তৈল ঢালে সবার অগোচরে বক্সের ভেতর মলিনা হালদার ঢুকে পড়ে এবং নিজেই কাঁঠের বাক্সে আগুন ধরিয়ে দিয়ে আত্মহত্যা করেছে এলাকাবাসী সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।
তার পরিবার সূত্রে জানা যায়, মলিনা অনেক দিন পর্যন্ত মানষিক ভারসাম্যহীনতায় ভুগতে ছিলেন। বাড়ীর পাশেই পানের বড়জে কাজ করেত ছিলেন মলিনার দেবর সুজন হালদার প্রতিবেশী নিখিল মন্ডল তারা দেখতে পায় পাকের ঘরের কাছে আগুন জলছে। তারা ছুটে এসে দেখতে পায় আগুন জলছে এবং বক্সের ভিতর চিৎকারের শব্দ শুনতে পায়। তখন দ্রুত পানি দিয়ে আগুন নিভান । আগুনে পোড়া কাঠের বাক্সের ভিতর থেকে মলিনাকে অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় বের করে নেছরাবাদ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে মলিনাকে বরিশাল শেরে-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল উন্নত চিকিৎসার জন্য রেফার করেন, সেখানে ভিকটিমের অবস্থার অবনতি হলে তাকে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসক জন্য রাত ১০টার দিকে ঢাকা মেডিকেলে প্রেরন করেন। মলিনাকে ঢাকা মেডিকেলে নেওয়ার পথে ফরিদপুর জেলার ভাংঙ্গা নামক স্থানে এ্যামবুলেন্সের ভিতর মৃত বরন করেন।
এ বিষয়ে মলিনার আপন ভাই সুবাস কির্তনিয়ার সাথে কথা বলে জানা যায় তার বোন কিছুটা মানুষিক ভারসম্যহীন ছিল, গত মাসেও সে ভিকটিমকে ফরিদপুর হাসপাতালে নিয়ে মানসিক ডাক্তারের কাছে চিকিৎসা দিয়ে এনেছে। মানুসিক ভারষম্যহীন হওয়ার কারনে মলিনা আত্মহত্যা করতে পারেন বলে ধারণা করছে।
এবিষয়ে ৭নং ওয়ার্ড মেম্বার প্রবির জানান, চার পাঁচ বছর আগে থেকেই মাথায় সমস্যা ছিলো। এমন কি মলিনার স্বামী কাজ করে এসেও ভাত রান্না করে স্ত্রীকে খাইয়ে দিতো। তবে মলিনার ভাইর রেফারেন্স দিয়ে বলেন, মলিনা বেড়াতে গিয়ে মাঝে মাঝে বলতো তাকে কে বা কারা মেরে ফেলবে এমন কথা ভাইদের সাথে শেয়ার করতো। মলিনার এক ছেলে এক মেয়ে।
এ বিষয়ে নেছারাবাদ থানার অফিসার ইনচার্জ বনি আমিন জানান, ঘটনা স্থলে অফিসার গিয়ে ছিলো তদন্ত চলমান রয়েছে লাশ পোস্ট করার জন্য পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে একটি ইউডি মামলা করা হয়েছে।
আনোয়ার হোসেন ।