September 3, 2025, 8:28 pm
উজ্জ্বল রায়, নড়াইল জেলা প্রতিনিধি:
নড়াইলে সেপটিক ট্যাংক থেকে শিশুর মরদেহ উদ্ধার ও অর্ধগলিত সেই মরদেহের পরিচয় মিলেছে। নড়াইলের কালিয়া উপজেলায় সেপটিক ট্যাংক থেকে জুনায়েদ সর্দার (৫) নামের এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। উজ্জ্বল রায়, নড়াইল জেলা প্রতিনিধি জানান, মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে উপজেলার বাবরা-হাচলা ইউনিয়নের কাঞ্চনপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত জুনায়েদ কালিয়া উপজেলার পুরুলিয়া ইউনিয়নের দেওয়াডাঙ্গা গ্রামের আলমগীর সর্দারের ছেলে।
স্বজন ও স্থানীয়দের বরাতে জানা যায়, সেদিন মা–এর সঙ্গে খালাবাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিল জুনায়েদ। দুপুরে তার মা বাজারে গেলে নানার সঙ্গে বাড়িতে ছিল সে। খেলার ছলে ফড়িং ধরতে গিয়ে হঠাৎ নিখোঁজ হয়ে যায় শিশুটি। অনেক খোঁজাখুঁজির পর বাড়ির পেছনে সেপটিক ট্যাংকের ভাঙা ঢাকনা দেখা যায়। সেখানে জুনায়েদের জুতা দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা ট্যাংকের ভেতর থেকে মরদেহ উদ্ধার করেন।
কালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এ ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ করা হয়নি। আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে এবং থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
অপরদিকে
নড়াইলে অর্ধগলিত সেই মরদেহের পরিচয় মিলেছে। নড়াইলের কালিয়া উপজেলায় অর্ধগলিত অজ্ঞাত সেই মরদেহটির পরিচয় মিলেছে। তার নাম মুন্নি খানম (২০)। তিনি নড়াগাতী থানার বাঐসোনা ইউনিয়নের নলামারা গ্রামের প্রবাসী শিমুল মিনার মেয়ে।উজ্জ্বল রায়, জেলা প্রতিনিধি নড়াইল জানান, মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) রাতে নড়াগতী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশিকুর রহমান ঢাকা মেইলকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে এদিন বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার থানা এলাকার যোগানিয়া-নলামারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পেছনের এক ডোবা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
নিহতের স্বজন সূত্রে জানা গেছে, প্রায় এক বছর আগে খুলনা জেলার তেরখাদা উপজেলার কুশলা গ্রামের হৃদয়ের সঙ্গে পারিবারিকভাবে মুন্নির বিবাহ হয়। গত শুক্রবার (২৯ আগস্ট) সকালে শ্বশুর বাড়ি থেকে বাবার বাড়ি নলামারা গ্রামে বেড়াতে যান মুন্নি। সেখানে গিয়ে ওইদিন রাতে বাড়ির উঠান থেকে নিখোঁজ হন তিনি। পরে স্বজনরা বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুজি করেও তার সন্ধান পাননি। পরে সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) নড়াগাতী থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়।
নিখোঁজের তিনদিন পর মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টার দিকে নড়াগাতী থানার যোগানিয়া-নলামারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পেছনের এক ডোবার পাশ থেকে দুর্গন্ধ ছড়ালে স্থানীয় লোকজন ডোবায় থাকা কচুড়িপানার মধ্যে অর্ধ গলিত একটি মরদেহ দেখতে পায়। পরে স্থানীয়রা নড়াগাতী থানা পুলিশকে খবর দেয়। খবর পেয়ে থানা পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থল গিয়ে ডোবার কচুড়িপানার ভেতর থেকে অজ্ঞাত অর্ধগলিত মরদেহটি উদ্ধার করেন। মরদেহটি উদ্ধারের পর নিহতের স্বজনরা পরিচয় শনাক্ত করেন।
নড়াগাতী থানা পুলিশের ওসি আশিকুর রহমান বলেন, মরদেহটির পরিচয় শনাক্ত হয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নড়াইল জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে এবং পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। উজ্জ্বল রায়, জেলা প্রতিনিধি নড়াইল।