September 1, 2025, 7:57 pm
শহিদুল ইসলাম,
বিশেষ প্রতিনিধিঃ
চট্টগ্রাম নগরীতে নিরবিচ্ছিন্ন পানি সরবরাহ নিশ্চিত করতে চট্টগ্রাম ওয়াসাকে দ্রুত, কার্যকর ও সমন্বিত উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। তিনি বলেন, “ওয়াসার মূল দায়িত্ব হলো নগরবাসীকে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করা। এখন পানি পাওয়া যেন ভাগ্যের ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই দেরি না করে কাজের গতি বাড়াতে হবে। জনগণের কষ্ট কোনোভাবেই সহনীয় নয়।”
নগরীর টাইগারপাসস্থ সিটি কর্পোরেশন কার্যালয়ে ওয়াসার সঙ্গে অনুষ্ঠিত এক সমন্বয় সভায় মেয়র এ মন্তব্য করেন।
সভায় উপস্থিত ছিলেন,চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম, সচিব মো. আশরাফুল আমিন, প্রধান প্রকৌশলী আনিসুর রহমান, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ফরহাদুল আলম, নির্বাহী প্রকৌশলী আশিকুল ইসলাম, তাসমিয়া তাহসিন, মাহমুদ শাফকাত আমিনসহ অন্যান্য প্রকৌশলী। ওয়াসার পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন প্রধান প্রকৌশলী মাকসুদ আলম, প্রকল্প পরিচালক মোহাম্মদ আরিফুল ইসলাম, ডি.পি.ডি আব্দুর রউফসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
চসিক প্রকৌশলীরা জানান, ওয়াসার সুয়ারেজ প্রকল্পের কারণে নগরের বিভিন্ন এলাকায় অপরিকল্পিতভাবে রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ি করা হচ্ছে। এতে যানবাহন চলাচল ব্যাহত হচ্ছে, পথচারীরাও পড়ছেন চরম দুর্ভোগে। তারা মনে করেন, ওয়াসা ও সিটি কর্পোরেশনের মধ্যে নিয়মিত সমন্বয় থাকলে এই দুর্ভোগ অনেকটাই কমানো সম্ভব।
ওয়াসার কর্মকর্তারা বলেন, চলমান সুয়ারেজ প্রকল্পটি নগরের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রকল্প শেষ হলে পানির সংকট অনেকাংশে কমে আসবে। তবে সাময়িক অসুবিধার পর নগরবাসী দীর্ঘমেয়াদে এর সুফল পাবেন।
মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, “ওয়াসা ও সিটি কর্পোরেশন উভয় প্রতিষ্ঠানই জনসেবামুখী। তাই দ্বন্দ্ব নয়, সমন্বয় দরকার। রাস্তা খননের আগে সিটি কর্পোরেশনকে জানাতে হবে। অন্যথায় আগে করা রাস্তা পরে আবার খোঁড়াখুঁড়ি করলে জনরোষ বাড়বে।”
তিনি আরও বলেন, “ঠিকাদারদের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে। কাজের মান খারাপ হলে শুধু অর্থ নয়, জনবিশ্বাসও নষ্ট হয়। পরিকল্পিত কাজ হলে নগরবাসীও স্বস্তি পাবে।”
সভায় মেয়র ওয়াসা ও সিটি কর্পোরেশনের যৌথ উদ্যোগে ৭–৮ সদস্যের একটি সমন্বয় কমিটি গঠনের প্রস্তাব দেন। তিনি জানান, মাসিক ভিত্তিতে এই কমিটি সভা করে কাজের অগ্রগতি পর্যালোচনা করবে।
মেয়র আরও দাবি করেন, সিটি কর্পোরেশনের চলমান উদ্যোগে নগরের জলাবদ্ধতা ৫০ শতাংশ হ্রাস করা সম্ভব হয়েছে। ভবিষ্যতেও ওয়াসা-চসিক একসাথে কাজ করলে নাগরিক সমস্যার বড় একটি অংশ সমাধান হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।