September 2, 2025, 6:00 pm
শহিদুল ইসলাম,
বিশেষ প্রতিনিধি
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)-এর ৪৭তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির উদ্যোগে আয়োজিত বর্ণাঢ্য আনন্দ মিছিল ও সমাবেশে প্রকম্পিত হলো পুরো নগরী।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য, সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী ও অভিজ্ঞ রাজনীতিক আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন— “গত ১৬ বছরের দমন-নিপীড়ন, মামলা-হামলা ও আগুন-রক্তের ভেতর দিয়ে বিএনপির নেতা-কর্মীরা খাঁটি সোনার মানুষে পরিণত হয়েছেন। এই ত্যাগই আগামী দিনের রাজনীতির আসল শক্তি।”
তিনি আরও বলেন, “সামনে জাতীয় নির্বাচনকে ঘিরে দেশে নতুন করে ষড়যন্ত্র ও সংঘর্ষের কালো ছায়া দেখা দিচ্ছে। তাই আমাদের সবাইকে সতর্ক ও প্রস্তুত থাকতে হবে।”
১৯৭৮ সালের ১লা সেপ্টেম্বর রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বিএনপির জন্ম দেন। একদলীয় শাসনের গণ্ডি ভেঙে বহুদলীয় গণতন্ত্রের পথ উন্মুক্ত করার অঙ্গীকার থেকেই এই দল আত্মপ্রকাশ করে। প্রতিষ্ঠার মাত্র দুই বছরের মাথায় ১৯৭৯ সালের নির্বাচনে বিএনপি বিপুল বিজয় অর্জন করে জাতীয় রাজনীতিতে শক্ত অবস্থান তৈরি করে।
জিয়াউর রহমানের মৃত্যুর পর তাঁর সহধর্মিণী বেগম খালেদা জিয়া নেতৃত্বের দায়িত্ব নেন। ১৯৯১ সালে তিনি দেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এরপর দীর্ঘ যাত্রায় বিএনপি কখনও ক্ষমতায়, কখনও রাজপথে থেকেছে।
গত ১৬ বছর ধরে দলটি প্রায় অবরুদ্ধ রাজনীতি, মামলা-গ্রেফতার ও দমননীতির মধ্য দিয়েও সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে। বিএনপির নেতাদের ভাষায়—এই নির্যাতনের আগুনেই আজকের কর্মীরা “খাঁটি সোনা”।
বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে চট্টগ্রাম সবসময় বিএনপির শক্ত ঘাঁটি। ১৯৯০ সালের স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন, ২০০৬-০৭ সালের রাজনৈতিক অস্থিরতা কিংবা সাম্প্রতিক গণআন্দোলন—সবক্ষেত্রেই এ শহরের নেতা-কর্মীরা অগ্রভাগে মাঠে ছিলেন।
নেতারা বলেন, “চট্টগ্রামের সাহসী কর্মীরা শুধু দলকে বাঁচিয়েই রাখেননি, বরং আন্দোলনের প্রাণও যুগিয়েছেন।”
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব নাজিমুর রহমান চৌধুরীর সভাপতিত্বে আয়োজিত সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন—কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম,
সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সাইফুল আলম,যুগ্ম আহ্বায়ক এম এ আজিজ,,শ্রমিক নেতা নাজিম উদ্দিন চৌধুরী,,যুবদলের মোশাররফ হোসেন দীপ্তি,,ছাত্রদলের সাইফুল আলম,,মহিলা দলের সভানেত্রী মনোয়ারা বেগম মনি,,স্বেচ্ছাসেবক দলের বেলায়েত হোসেন ভুলু।
নগরীর প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে হাজারো নেতা-কর্মী মিছিলে যোগ দেন। পতাকা, ব্যানার আর স্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে চারপাশ।
নেতারা বক্তব্যে স্পষ্ট বার্তা দেন—“গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার পুনরুদ্ধারই এখন বিএনপির প্রধান লক্ষ্য। এই লড়াইয়ে চট্টগ্রাম থাকবে অগ্রভাগে।”