কুমিল্লার ঐতিহাসিক ধর্ম সাগর আর শিশুপার্ক যেন বিনোদনের এক-মাত্র প্রাণকেন্দ্র

তরিকুল ইসলাম তরুন, কুমিল্লা থেকে,

কুমিল্লার ঐতিহ্য ধর্মসাগর আর শিশু পার্ক যেন কুমিল্লা নগরীর নিশ্বাস ফেলার আর বিনোদনের একমাত্র স্থান হিসেবে গড়ে উঠেছে ।ধর্মসাগরের পূর্ব পাড়ে কুমিল্লার আরেক ঐতিহ্য কুমিল্লা স্টেডিয়াম,তার পাশে ঐতিহ্যবাহী কুমিল্লা জিলা স্কুল। ধর্মসাগরের উত্তর পাশে নজরুল ইনস্টিটিউট আর শিশু পার্ক সাথে রয়েছে আনন্দ নেওয়ার মতো অসংখ্য রাইডার,পাশে রয়েছে ফুট কাট, একটু রাস্তা পারহলেই রেসক্রিসেন্ট, বিআরটিএ অফিস, প্রতিবন্ধি স্কুল, আর্ট স্কুল,গুলবাগিচা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়,স্টেশনক্লাব,কেন্দ্রীয় ঈদ গা,সার্কিট হাউজ,পোষ্ট অফিসসহ নানান অফিস।
পশ্চিম উত্তর নিয়ে গড়ে উঠেছে পুলিশ সুপারের কার্যালয় ও ফৌজদারি কোর্ট আর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়।

দক্ষিণ পাশে আবাসিক বাড়ি ও একটি স্বাস্থ্য সেবা প্রতিষ্ঠান সিডি প্যাথ এন্ড হসপিটাল সাথেই রয়েছে পরিবার পরিকল্পনার রাজদেবি নামে পরিচিত হসপিটাল।

প্রাইমারী স্কুল আওয়ার লেডি অব ফাতিমা গার্লস স্কুল বা মিশনারি স্কুলে যাওয়ার পথে আবার কুমিল্লা জিলা স্কুল পড়া অবস্থায় এই ধর্মসাগরের নির্মল হাওয়া নগরবাসীর জন্য যেন অক্সিজেন।
কুমিল্লার স্বাস্থ্য সচেতন মানুষেরা প্রতিদিন সকাল বিকাল এখানে হাঁটতে ও ব্যায়াম করতে আসেন। ধর্মসাগরের নির্মল ও সকালের হিমেল হাওয়া পথচারীদের আকৃষ্ট করলেও কুমিল্লার ঐতিহ্যবাহী এই নগর উদ্যানটিতে যত্নের অভাব পরিলক্ষিত হয়।

ভিতরে প্রচুর মশা রয়েছে। বিভিন্ন স্থানে আবর্জনার স্তূপ দেখা যায়। ধর্মসাগরের উত্তর পশ্চিম কোনে ময়লার বাগার।
স্কুল পড়ুয়া ছাত্র ছাত্রীরা ক্লাস ফাঁকি দিয়ে এখানে ঘন্টার পর ঘন্টা আড্ডা দেয়।এর পশ্চিমে পুলিশ সুপারের কার্যালয় থাকলেও এসব ব্যাপারে কোন পদক্ষেপ নিতে দেখা যায় না।

মনে হয় সব কিছুই না দেখার নিয়মে পরিণত হয়েছে।

সকালে হাঁটার সময় পার্কটিতে ঝাড়ু দেয়ার ফলে হাঁটতে সমস্যা হয়। পথচারীদের জন্য ভিতরে টয়লেটের ব্যবস্থা রয়েছে । মসজিদ রয়েছে। সকালে ভাসমান কিছু স্বাস্থ্য সহায়ক কেন্দ্র থাকে। স্বাস্থ্য সচেতন মানুষেরা ব্লাড সুগার,প্রেশার, নিজেদের ওজন ও চিকিৎসা টিপস নিয়ে থাকে। যদিও এসবের জন্য টাকা দিতে হয়। কুমিল্লার হসপিটালের কতৃপক্ষগণ ইচ্ছে করলে বিনা পয়সায় এই সেবা গুলো নগরবাসীর জন্য উৎসর্গ করতে পারেন।

অথবা সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকেও পদক্ষেপ নিতে পারেন সমস্যা সমাধানের দ এই উদ্যানে আসা নগরবাসীদের সেবা দেয়ার জন্য নাগরিকদের সংশ্লিষ্টদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছে।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *