যে বয়সে বই-খাতা হাতে স্কুলে থাকার কথা, সেই বয়সে অটো-রিকশার স্টি-য়ারিং হাতে শি-শুদের

কুমিল্লা জেলা প্রতিনিধি দঃ তরিকুল ইসলাম তরুন, কুমিল্লা অঞ্চলে ট্রাফিক পুলিশ লাইন দূর্বল হওয়ার কারনে প্রাইমারী শিক্ষা ঝড়ে যাচ্ছে।
যে বয়সে বই-খাতা হাতে নিয়ে স্কুলে যাওয়ার কথা, সেই বয়সে ব্যাটারি চালিত অটোরিকশার স্টিয়ারিং ধরে রাস্তায় নামছে শিশুরা। মুরাদনগর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় এখন প্রায়শই দেখা যায়, কোমলমতি স্কুলগামী শিশুদের একাংশ জীবিকার তাগিদে ঝুঁকিপূর্ণ যানবাহন চালাচ্ছে।

শিশু শ্রমিকের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় অভিভাবক, শিক্ষক ও সমাজ সচেতন মহল উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তাদের আশঙ্কা, এভাবে শিশুদের শিক্ষা জীবন ব্যাহত হলে ভবিষ্যতে তারা হয়ে পড়বে অশিক্ষিত ও দক্ষতাহীন প্রজন্ম।

সংশ্লিষ্টরা জানান, এসব ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা চালাতে শিশুদের কোনো প্রশিক্ষণ নেই বা ট্রাফিক পুলিশ আইন সম্পর্কে ধারনা নেই। ফলে যেকোনো সময় ঘটতে পারে দুর্ঘটনা। একই সঙ্গে শিশুরা পড়াশোনা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাচ্ছে, যা সমাজ ও দেশের জন্য বড় হুমকি।

উপজেলার ২২টি ইউনিয়ন পরিষদ থেকে এসব ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা চালকদের কোনো লাইসেন্স প্রদান করা হয়নি। তবুও অবাধে রাস্তায় চলছে হাজারো ব্যাটারি চালিত রিকশা। শিশু চালকদের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। ফলে তারা নিজেরা যেমন ঝুঁকির মধ্যে থাকছে, তেমনি যাত্রী ও পথচারীর জন্যও দুর্ঘটনার আশঙ্কা বাড়াচ্ছে। নবীপুরের হানিফ, সাইফুল বলেন, পরিবার চালাতে হিমশিম খাচ্ছি। তাই ছেলে রিকশা চালায়, না হলে সংসার চলবে না। তবে এভাবে শিশুদের কাজে লাগানোকে দুঃখজনক বলে উল্লেখ করেছেন অনেকেই।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, স্থানীয় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিরা শিশু শ্রম ও অবৈধ যান চলাচল রোধে কার্যকর ব্যবস্থা নিচ্ছেন না। তারা দ্রুত অভিযান চালিয়ে শিশু শ্রম বন্ধ এবং এসব শিশুদের বিদ্যালয়ে ফেরানোর উদ্যোগ চান।

শিক্ষকরা বলছেন, শিশুদের স্কুল থেকে ঝরে পড়া শিক্ষাব্যবস্থার জন্য বড় ক্ষতি। তাই তাদের আবারো বিদ্যালয়ে ফিরিয়ে আনতে সরকার ও সমাজের সমন্বিত উদ্যোগ নেওয়া জরুরি।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *