August 28, 2025, 5:34 pm
খলিলুর রহমান খলিল, নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের ভিএফএ মো. ফিরোজ হোসেন এর ভুল চিকিৎসায় একটি গর্ভবতী গাভীর বাছুরের মৃত্যু ঘটে এবং গাভীটি আশঙ্কাজনক রয়েছে। বুধবার (২৭ আগস্ট)২০২৫ইং উপজেলার দোলাপাড়া গ্রামের আল-আমিন ইসলাম নামের খামারীর বাড়ীতে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, তারাগঞ্জ উপজেলার কুর্শা ইউনিয়নের দোলাপাড়া গ্রামের খামারী আল আমিনের ৪ মাসের গর্ভবতী গাভীটিকে উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের ভিএফএ ভুল চিকিৎসার মাধ্যমে পূনঃকৃত্রিম প্রজনন করেন। ফলে ভেটেরিনারি ফিল্ড এসিস্ট্যান্ট (ভিএফএ) ফিরোজ হোসেন ও বিলোজিক এ্যাগ্রোভেট ঔষধ কোম্পানির সেলস্ কর্মী ফারুক হোসেন(এআই কর্মী) কর্তৃক এ ঘটনার শিকার হয় খামারী আল-আমিন।
খামারী আল-আমিন বলেন, গত ৪ মাস আগে তার গাভীকে কৃত্রিম প্রজনন করান। আজ (১৫ আগস্ট) হঠাৎ গাভীটির প্রসাবের রাস্তা দিয়ে লালা বের হতে দেখলে উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের ফিরোজ (ভিএফএ)কে মোবাইল ফোনে জানাই। পরে ভিএফএ ফিরোজ ও প্রাণিসম্পদ দপ্তর সম্পৃক্ত নয় (ভেটেরিনারি ঔষধ কোম্পানির কর্মী) ফারুক হোসেন নামের এমন একজন সহযোগীকে (এআই কর্মী) সাজিয়ে ঘটনাস্থলে নিয়ে গাভিটিকে ভুল চিকিৎসার মাধ্যমে (গাভীটি হিটে এসেছে বলে) একই সময়ে পরপর দুটো বীজ (পূণঃ কৃত্রিম প্রজনন) দেন। উল্লেখ্য যে- প্রতিটি পশু হাসপাতালে সরকারি ভাবে কৃত্রিম প্রজনন কর্মী (এআই কর্মী) নিযুক্ত রয়েছে।
এ ঘটনার পরপরই গাভীটির যৌন পথ দিয়ে চারদিন ধরে রক্ত পড়তে থাকে এবং পেটে থাকা বাছুরটি মৃত. অবস্থায় ১৩ দিনে বেরিয়ে আসে। বর্তমান গাভীটির অবস্থাও আশঙ্কাজনক। আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি এবং উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে জানিয়েছি। ভুল চিকিৎসায় বাছুরের মৃত্যু এবং গাভীটির আশঙ্কাজনক হওয়ায় এর ক্ষতিপূরণ ও দৃষ্টান্তমুলক বিচার চাই।
ভুল চিকিৎসার বিষয়ে অভিযুক্ত ফিরোজ (ভিএফএ) ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, স্যারের কাছে (উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা) খামারী আল-আমিন অভিযোগ দিয়েছে। তিনি তদন্ত করে যা ব্যবস্থা নেওয়ার নেবে।
এ ঘটনায় উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা কেএম ইফতেখারুল ইসলামকে একাধিকবার মুঠোফোনে কল করলেও তিনি ফোন রিসিভি করেননি। ফলে ভুক্তভোগীর করা অভিযোগের বিষয়ে দাপ্তরিক ব্যবস্থার কোন তথ্য পাওয়া সম্ভব হয়নি।