August 28, 2025, 6:32 pm
।।এ কে খান ও গোলাম মোস্তফা রাঙ্গা।।
দেশব্যাপী উপজেলা ও থানা আনসার কোম্পানিগুলোকে ঢেলে সাজাতে এবং এর সদস্যদের সক্ষমতা বাড়াতে একটি নতুন মৌলিক প্রশিক্ষণ কার্যক্রম শুরু করেছে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী। ঢাকার ধানমন্ডির বিসিএসআইআর স্কুল এন্ড কলেজে ঢাকা মেট্রোপলিটন আনসার-দক্ষিণ জোন আয়োজিত ২৭ আগষ্ট বুধবার এই প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিদর্শন করেন বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবদুল মোতালেব সাজ্জাদ মাহমুদ, এসজিপি, বিএএম, এনডিইউ, এএফডব্লিউসি, পিএসসি। এই উদ্যোগের মূল লক্ষ্য হলো তারুণ্য, দেশসেবা, সক্ষমতা, নৈতিকতা এবং শৃঙ্খলার এক নতুন সমন্বয় ঘটিয়ে বাহিনীকে একটি জাতীয় নিরাপত্তা প্ল্যাটফর্মে উন্নীত করা, যেখানে তারা অন্যান্য বাহিনীর সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে গণপ্রতিরক্ষা ও জাতীয় প্রয়োজনে কাজ করতে সক্ষম হবে। বাহিনীর মহাপরিচালক তাঁর বক্তব্যে বলেন, উপজেলা ও থানা আনসার কোম্পানি একসময় সামাজিক অপরাধ দমন ও অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখলেও, সাধারণ আনসার সদস্যদের যথাযথ প্রশিক্ষণ সম্পৃক্ততা ও ধারাবাহিকতার অভাবে দীর্ঘদিন এর কাঠামো দুর্বল হয়ে পড়েছিল। চলমান সংস্কারের আওতায় অঙ্গীভূত আনসারদের সুনির্দিষ্টকরণের মাধ্যমে এই প্রশিক্ষণ ধারণাকে ঢেলে সাজিয়ে একটি নতুন রূপ দেওয়া হয়েছে। তিনি আরও বলেন, প্রতিটি আনসার সদস্য যদি এই মৌলিক প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দায়িত্ব সম্পর্কে অবগত হন, তবে তারা বাংলাদেশ আনসার ও ভিডিপি’র যোগ্য দেশপ্রেমিক প্রতিনিধি হয়ে উঠবে। আনসার বাহিনী প্রচলিত ধারা থেকে বেরিয়ে এসে অধিকতর তারুণ্য নির্ভর, নৈতিকতা ও মূল্যবোধ সম্পন্ন এবং রাষ্ট্রীয় নিয়ম-কানুনে শ্রদ্ধাশীল সদস্যদের নিয়ে উপজেলা আনসার কোম্পানি গঠনে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। এই লক্ষ্য পূরণের জন্য শারীরিকভাবে সক্ষম ও উত্তম চরিত্রের অধিকারী সদস্যদের এই প্রশিক্ষণের জন্য বাছাই করা হয়েছে। এই প্রশিক্ষণে আধুনিক নিরাপত্তা ও মনস্তাত্ত্বিক যুদ্ধ বিষয়ক ধারণা অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, যা বাহিনীর সক্ষমতাকে একটি নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে।
সংস্কারকৃত আনসার সদস্যরা এখন থেকে রাষ্ট্রের নিরাপত্তা, দুর্যোগকালীন কার্যক্রম, সামাজিক শৃঙ্খলা রক্ষা এবং পূজা ও নির্বাচনসহ জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালনে সরাসরি ভূমিকা পালন করবে। তাদের দায়িত্বপরিধি সুনির্দিষ্ট করা, সামাজিক ও আর্থসামাজিক উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত করা এবং বাহিনীর বৃহত্তর সংস্কারমূলক কর্মপরিকল্পনার সাথে সমন্বিত করতে এই প্রশিক্ষণ কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে। প্রশিক্ষণ শেষে যোগ্য সদস্যরা উন্নত প্রশিক্ষণের সুযোগ পাবেন এবং বিভিন্ন প্রকল্পভিত্তিক কর্মকাণ্ডে যুক্ত হয়ে কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে অবদান রাখতে পারবেন। একইসাথে, আনসার ভিডিপি উন্নয়ন ব্যাংক তাদের আর্থিক সহযোগিতা প্রদান করবে। এই ব্যাপক প্রশিক্ষণ কার্যক্রমটি ধাপে ধাপে সম্পন্ন করা হবে। ২৬ আগস্ট থেকে শুরু হওয়া এ প্রশিক্ষণ ৮ ধাপে সারাদেশে অনুষ্ঠিত হয়ে ১০ জানুয়ারি ২০২৬ তারিখে সমাপ্ত হবে। প্রতিটি ধাপ ১৪ দিনব্যাপী এবং এতে ধাপে ধাপে সারাদেশের মোট ৫২,১৮৩ জন সদস্য অংশ নেবেন