রাইস মিলের ব-র্জ্যে ভূগ-র্ভস্থ পানি দূ-ষণ

   

 
বাবুল হোসেন,
পঞ্চগড় প্রতিনিধি : শহরের জালাসী এলাকায় মিলের বর্জ্য নির্গত করে ভূগর্ভস্থ পানি দূষণের অভিযোগ উঠেছে তানিম অটো রাইস মিলের বিরুদ্ধে। ইতোমধ্যে ওই এলাকার নলকূপের পানি ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এ ঘটনায় মিল কর্তৃপক্ষকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে পরিবেশ অধিদপ্তর।

গত ২৫ আগস্ট রাইস মিলটির স্বত্বাধিকারী মো. জিন্নাহ বরাবর কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠান পরিবেশ অধিদপ্তরের পঞ্চগড় জেলা কার্যালয়।নোটিশ পাঠানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন, জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. ইউসুফ আলী।

মো. ইউসুফ আলী স্বাক্ষরিত ওই নোটিশে বলা হয়েছে, রাইস মিল থেকে নির্গত তরল বর্জ্য সরাসরি ভূগর্ভস্থ পানিতে নির্গত করার মাধ্যমে ভূগর্ভস্থ পানি দূষণ করা হচ্ছে। এতে স্থানীয়দের নলকূপের পানি দূষিত হয়ে পড়েছে, যা স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়াচ্ছে – এমন অভিযোগ পাওয়া গেছে। নোটিশে মিল মালিকের কাছে ৭ দিনের মধ্যে সন্তোষজনক জবাব চাওয়া হয়েছে। অন্যথায়, আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে উল্লেখ করা হয়।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মিল সংলগ্ন প্রায় প্রতিটি বাড়িতেই এখন বিশুদ্ধ পানির সঙ্কট। ৮০-৯০ ফিট গভীরের নলকূপ থেকেও দুষিত পানি বের হচ্ছে। মিল কর্তৃপক্ষ প্রভাবশালী হওয়ায় চুপ রয়েছেন স্থানীয়রা। অনেকেই বাধ্য হয়ে নতুন করে আরো গভীর বোড়িং-এর নলকূপ বসাচ্ছেন। তবে এই বর্জ্য নির্গত দমন না করলে দ্রুতই আরো গভীরে পৌঁছাবে বলে দাবি স্থানীয়দের।

রাইস মিলের পাশেই আইনজীবী মাহমুদ আল মামুন হিমুর বাড়ি। তিনি বলেন, তরল বর্জ্য সরাসরি ভূগর্ভস্থ পানিতে নির্গত হওয়ায় আশপাশের নলকূপ গুলোর পানি থেকে দুর্গন্ধ বের হচ্ছে। আগে আমরা যে পানি খেতাম, এখন সেটা খাওয়ার অযোগ্য হয়ে গেছে। বাধ্য হয়ে দূরের এলাকা থেকে পানি আনতে হচ্ছে। তিনি বলেন, পানি দুষনের কারণে স্বাচ্ছন্দে গোসল করা যায় না, ত্বকের সমস্যা হবার আশঙ্কা থাকে। রান্নার জন্যও এখন আর নলকূপের পানি ব্যবহার করা যায় না। এই সমস্যার দ্রুত সমাধান না হলে এখানকার মানুষ স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়বে।

এ বিষয়ে তানিম অটো রাইস মিলের স্বত্বাধিকারী মো. জিন্নাহ বলেন, এটা পরীক্ষা-নিরীক্ষার ব্যাপার। আমি চিঠি পেয়েছি, জবাব দিবো।

পরিবেশ অধিদপ্তর পঞ্চগড় জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. ইউসুফ আলী বলেন, মিল থেকে নির্গত বর্জ্যে পানি দূষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এজন্য মিল কর্তৃপক্ষকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। 

তারা যদি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সন্তোষজনক জবাব না দেয়, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *