August 27, 2025, 10:04 pm
নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
শ্রেণিকক্ষে চলছিল পাঠদান। এরই মধ্যে ছাত্রছাত্রীদের নাকে আসে তীব্র দুর্গন্ধ, যা কিনা অবিকল কীটনাশকের গন্ধের মতো। আর এতে অসুস্থ হয়ে পড়েন ২০ শিক্ষার্থী। অবস্থা বেগতিক হওয়ায় তাৎক্ষনিক ছুটি দেয় বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
স্থানীয় বাজারের পল্লী চিকিৎসক প্রাথমিকভাবে ১০/১২ জন শিক্ষার্থীকে চিকিৎসা দেয়। এছাড়া অসুস্থ হয়ে ৮ শিক্ষার্থীকে ভর্তি করা হয়েছে স্থানীয় হাসপাতালে।
আজ বুধবার (২৭ আগস্ট) সকাল আনুমানিক ৯ টা ৪৫ মিনিটের দিকে এ ঘটনা ঘটে গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার নারকেল বাড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ে। এ ঘটনায় অসুস্থ হয়ে পড়া ৮ শিক্ষার্থীকে ১০০ শয্যা বিশিষ্ট কোটালীপাড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এ ঘটনায় আতংকিত হয়ে পড়েন শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা।
হাসপাতালে ভর্তিকৃত শিক্ষার্থীরা হলেন, নারকেল বাড়ি গ্রামের রিপন বৈদ্যের মেয়ে ৮ম শ্রেণির ছাত্রী ঝিলিক বৈদ্য (১৪), রফিকুল ইসলামের ছেলে ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র আব্দুল্লাহ খন্দকার (১২), সুরঞ্জন বৈদ্যের মেয়ে ৩য় শ্রেণির ছাত্রী স্মৃতি (৯), বদরতলা গ্রামের অবির বাড়ৈর মেয়ে ৮ম শ্রেণির ছাত্রী ঝুমা বাড়ৈ (১৩), হাজরাবাড়ি গ্রামের মাখন লালের মেয়ে ৮ম শ্রেণির ছাত্রী রোদেলা (১৪), ভূতের বাড়ি গ্রামের লুৎফর মীরের মেয়ে ৮ম শ্রেণির ছাত্রী রিয়ান্তা মীর (১৬) ও ৮ম শ্রেণির ছাত্রী রিতা হালদার (১৪)।
৮ম শ্রেণিতে পড়ুয়া সুপ্রিয়া খানম (১২) নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, নতুন ভবনের দ্বিতীয় তলায় ১ম পিরিয়ড শেষে আমাদের তখন ২য় পিড়িয়ডে গণিত ক্লাস চলছিলো। ক্লাস শুরুর ১০ থেকে ১৫ মিনিট পর হঠাৎ করে জানালা দিয়ে একটা বিষাক্ত গন্ধ আসে। মনে হচ্ছিল দম বন্ধ হয়ে যাচ্ছিল। দ্রুত সবাই ২য় তলা থেকে নিচে নেমে স্কুল মাঠে চলে আসি। এরই মধ্যে কয়েকজন অসুস্থ হয়ে পড়ে।
নারকেল বাড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মেরী দেরাবতী বলেন, আমি পাশের ভবনে রাউন্ডে ছিলাম হঠাৎ হৈ চৈ শুনে ছুটে আসি। দেখি সবাই ছোটাছুটি করছে। সহকারী প্রধান শিক্ষক দুলাল মধু জানালে ক্লাসে কীটনাশকের মতো গন্ধ আসায় সবাই বাহিরে চলে এসেছে। তাৎক্ষণিক বিদ্যালয়ের চারিদিকে অনুসন্ধান করে গন্ধের উৎস খুঁজেও কোন কিছু পাওয়া যায় নাই। সাথে সাথে বিদ্যালয় ছুটি ঘোষণা করা হয়। তবে কয়েকজন শিক্ষার্থী অসুস্থ বোধ করায় তাদেরকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়।
কোটালীপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা কুমার মৃদুল দাস বলেন শিক্ষার্থীরা শ্বাসকষ্ট নিয়ে হাসপাতালে আসে। আমরা প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাদের অবজারবেশনে রেখেছি। দুর্গদ্ধে হয়তোবা আতংকিত হয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ে। তবে ভয়ের কোন কারন নেই।