August 25, 2025, 6:00 pm

বিজ্ঞপ্তি :
বিশেষ সতর্কীকরন - "নতুন বাজার পত্রিকায়" প্রকাশিত সকল সংবাদের দ্বায়ভার সম্পুর্ন প্রতিনিধি ও লেখকের। আমরা আমাদের প্রতিনিধি ও লেখকের চিন্তা মতামতের প্রতি সম্পুর্ন শ্রদ্ধাশীল। অনেক সময় প্রকাশিত সংবাদের সাথে মাধ্যমটির সম্পাদকীয় নীতির মিল নাও থাকতে পারে। তাই যেকোনো প্রকাশিত সংবাদের জন্য অত্র পত্রিকা দায়ী নহে। নতুন বাজার পত্রিকা- বাংলাদেশের সমস্ত জেলা, উপজেলা, ক্যাম্পাস ও প্রবাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! বিস্তারিত: ০১৭১২৯০৪৫২৬/০১৯১১১৬১৩৯৩
শিরোনাম :
দু-র্ভোগে পখিরা মোল্লা কান্দির মানুষ: রাস্তার উন্ন-য়নের দাবিতে মা-নববন্ধন পরিবেশের ভার-সাম্য র-ক্ষায় বরিশালে আনসার ভিডিপি’র বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি উদ্বোধন জুলাই স্মৃ-তি ও শহী-দদের গ্রা-ফিতি মু-ছে ফেলায় সুজানগরে বিক্ষো-ভ “আমার ছেলে জাহিদ হ-ত্যার সঠিক ত-দন্ত ও বি-চার চাই” – আ-র্তনাদ রহিমা খাতুন ১৪৯ জন কর্মকর্তা পেনশন না পেয়ে মা-নবেতর জীবণ যাপ-ন করছেন দোয়ারাবাজারে লেনাদেনের সমা-ধানের নামে টাকা আ-ত্মসাৎ ফেরত চাওয়াতে হুম-কি” থানায় অ-ভিযোগ কলাইয়ের রুটি বা-সাবাড়ী, ফু-টপাত হয়ে এখন হোটেল রেস্তোঁরায় ভূঞাপুরে সাবেক কাউন্সিলরের বাড়ি থেকে মা-দক উ-দ্ধার: বিপা-কে চার কর্মকর্তা পাইকগাছার কপোতাক্ষ নদের বে-ড়িবাঁধে ভ-য়াবহ ভা-ঙন হু-মকির মুখে জনপদ খাগড়াছড়িতে আনসার-ভিডিপি’র হিল ভিডিপি অ্যাডভান্সড কোর্সের স-মাপনী অনুষ্ঠিত
১৪৯ জন কর্মকর্তা পেনশন না পেয়ে মা-নবেতর জীবণ যাপ-ন করছেন

১৪৯ জন কর্মকর্তা পেনশন না পেয়ে মা-নবেতর জীবণ যাপ-ন করছেন

রাজশাহী থেকে মোঃ হায়দার আলীঃ
মোঃ আলাউদ্দীন সরকারী বিধিমোতাবেক গত ২০২৩ ইং সালের ২৯ জুন রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলা হিসাব রক্ষন অফিসার হিসেবে পূর্ণ অবসর গ্রহণ করেছেন। ৩ বছরের বেশী সময় পেরিয়েছে কিন্তু পেনশন পাননি। শুধু আলাউদ্দীন নয় দেশের ১৪৯ জন কর্মকর্তার কর্মকর্তার পেনশন না পেয়ে মানেতর জীবণ যাপন করছেন।

বর্তমার সরকারের বৈষম্যহীন সমাজ গড়ার লক্ষ্য অর্জনের প্রচেষ্টাকালে আমলাতন্ত্রের জটিলতা সৃষ্টি করে সিএজি (সাবেক) নুরুল ইসলাম ও বর্তমান সিজিএ এস.এম. রেজভীর সিদ্ধান্তহীনতা, স্বেচ্ছাচারীতা, অনিয়ম এবং দায়িত্বে অবহেলার কারণে একই আর্দেশে ধারণাগত জ্যেষ্টতা প্রাপ্ত ৭৮২ জনের মধ্যে ৫৫৫ জন কর্মকর্তা/কর্মচারীকে পেনশন ও আনুতোষিক পরিশোধ করা হয়েছে। ৭৮ জনের পদোন্নতি, পিআরএল পরিশোধ চলমান মুঞ্জরি আছে। রহস্যেজনক কারণে শুধুমাত্র ১৪৯ জনের পেনশন ও আনুতোষিক পরিশোধের কার্যক্রম প্রায় ৩ বছরের অধিক সময় পর্যন্ত বন্ধ হয়েছে। এ যেন এক চোখে লবণ অন্য চোখে তেল দেয়ার মত অবস্থা।

ভুক্তভোগি মোঃ আলাউদ্দীন এ প্রতিবেদককে জানান, ৭৮২ জন কর্মকর্তা নিকট হতে সিজিএ অফিসের সুপার আব্দুর রউফকে বিভিন্ন ভাবে জনপ্রতি প্রথম বার ৩৫ হাজার দ্বিতীয় বার ২৫ হাজার টাকা করে কয়েক কোটি কোটি টাকা উৎকোচ গ্রহন করেছেন তারপরেও বছরের পর বছর অপেক্ষা করে পেনশন পাচ্ছি না। ওই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুদকে অভিযোগ করার কথা জানান তিনি।

শতাধিক পৃষ্ঠার ডকুমেন্টস, বিভিন্ন দপ্তরের আর্দেশ, কোটের রায় ধরিয়ে দিয়ে বলেন, সাংবাদিক সাহেব এর মধ্যে সব কিছু আছে আমরা অর্থাভাবে মরে যাচ্ছি, খাদ্য পাচ্ছি না, চিকিৎসা পাচ্ছিনা মৌলিক অধিকার থেকে বছরের পর বছর বঞ্চিত হচ্ছি। আমাদের জন্য কিছু একটা লিখেন।

ডকুমেন্টগুলি উল্টিয়ে পাল্টিয়ে আমাকে বুঝিয়ে দেয়ার সময় উচ্চুস্বরে কাঁদতে থাকেন। চোখের পানিতে তার রুমাল যেন ভিজে গিয়েছিল। এ করুন দৃশ্য দেখে আমিও চোখের পানি ধরে রাখতে পারি নাই।

বেঞ্জামিন ফ্রাঙ্কলিন বলেছিলেন, ‘উন্নয়ন হলো চেষ্টা এবং ভুলের একটি সমন্বিত প্রক্রিয়া। ‘বিজনেস গুরু রিচার্ড ব্রানসনের মতে, ‘নিয়ম মেনে কেউ হাঁটা শিখতে পারে না বরং চেষ্টা এবং বার বার ভুল পদক্ষেপের মধ্য দিয়ে হাঁটা শিখতে হয়।’

ক্রিস্টোফার কলম্বাস একটি নেভিগেশন ভুল করেছেন যা তাকে আমেরিকা আবিষ্কার করতে বাধ্য করেছে। আলেকজান্ডার ফ্লেমিং এর ভুল তাকে পেনিসিলিন আবিষ্কার করতে বাধ্য করেছে।

সর্বশেষ ১৪৯ জুনিয়র অডিটারের পেনশন না দিয়ে সাবেক সিএজি (হিসাব মহা নিয়ন্ত্রক) নুরুল ইসলাম ও বর্তমান সিজিএ এস এম রেজভী কি বার বার ভুল করছেন, না ক্ষমতার অপব্যবহার করছেন? কাঁক কাঁকের মাংশ খায় না কিন্তু
হিসাব মহানিয়ন্ত্রকের উচ্চু পর্যায়ের কর্তাব্যক্তিরা নীচু কর্মচারীদের মাংশ ঠিকই খাচ্ছেন।

জানা গেছে, দেশের বিভাগের বিভিন্ন জেলায় হিসাব মহানিয়ন্ত্রক ( সিজিএ) কার্যালয় থেকে ১৯৮৫, ১৯৮৬, ১৯৮৭ ও ১৯৯০ ইং সালে জুনিয়র অডিটর, মুদ্রাক্ষরিক পদে লোক নিয়োগ করা হয়। তাদের অনেকে অবসর গ্রহন করেছেন, কেউ চাকুরীরত আছেন, ২৫ জন মারা গেছেন, পেনশনের টাকা না পেয়ে নানা কষ্টে জীবন যাপন করছেন।

পতিত প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতাচ্যুত হয়ে দেশ থেকে পালিয়ে ভারতে অবস্থান করছেন বিভিন্ন সময়ে দেশ বিরোধী ষড়যন্ত্র করছেন। এদিকে দেশে তার দোসরগণ ক্ষমতার দাপটে ব্যাপক অনিয়ম, দুর্নীতি, স্বেচ্ছাচারিতা করে নিজেদের অধীনাস্ত কর্মচারীদের বুকে শেষ পেরেক ডুকাচ্ছেন।

গভীর অনুসন্ধানে জানা গেছে, ৭৮২ জন নন-পটিশিনার র্কমচারীকে অনুরূপ সুবধিা প্রদান করা যাবে কিনা সে বিষয়ে
মতামত চেয়ে আইন, বিচার ও সংসদ বিষায়ক মন্ত্রণালয়ে পত্র লিখা হয়। উপসচিব মোহম্মদ ইকতিদার আলম গত ১৩ আগষ্ট, ২০২৪ সিজিএ কার্যালয়ের স্মারক নম্বর- ০৭.০৩.০০০০.০০২.১৮.৭১২.১০.৬৭৪ ০৩.১০.২০১৮ আইন ও বিচার বিভাগের স্মারক নং ১০.০০.০০০.১২৯.০৪.৮০.১৮.১২৪, তারিখ ০৩.১০.২০১৮ রিট পিটিশন নং- ৫৯১৩/২০১০ এর রায়ের আলোকে সিজিএ কার্যালয়ের ২১৮ জন পিটিশনারকে ধারণাগত জ্যেষ্ঠতা প্রদানপূর্বক সিজিএ কার্যালয় কতৃক আর্থিক সুবিধা প্রদান করা হয়েছে। উক্ত কার্যালয়ের ৭৮২ জন নন-পিটিশনার কর্মচারী একই সুবিধা প্রপ্তির জন্য আবেদন করেছেন। বর্ণিত রায়ের আলোকে একই কার্যালয়ের অধীন নন-পিটিশনার ৭৮২ জন কর্মচারীকে অনুরুপ সুবিধা প্রদান করা যাবে কি না সে বিষয়ে মতামত প্রদানের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হয়। আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় স্মারক নং ২০৮,তারখি: ২৭.১১.২০২৪ (সংলাগ-২৭) এর মাধ্যমে ‘‘যহেতেু রিট পটিশিন নং-৫৯১৩/২০১০ এর ধারাবাহকিতা ২১৮ জন জুনয়ির অডিটরকে ধারণাগত জ্যেষ্ঠোতা প্রদানর্পূবক তাদরেকে সকল প্রকার আর্থিক সুবধিাদি প্রদান করা হয়েছে এবং যেহেতু আইন ও বিচার বিভাগের মতামতের ভিক্তিতে সিজিএ কার্যালয়ের ০৯/০৮/২০২০ তারখিরে ৬৪০ নং আর্দশের মাধ্যমে নন-পিটিশিনার ৭৮২ জন জুনয়ির অডিটারদের আর্থিক সুবিধাদিসহ ধারণাগত জ্যেষ্ঠেতা প্রদান করা হয়েছে সেহেতু উক্ত জুনয়ির অডিটারদের আর্থিক সুবধিাসহ ধারণাগত
জ্যেষ্ঠেতা প্রদান স্থগতি রাখা সমীচীন হবে না । এমতাবস্থায়, নন-পটিশিনার ৭৮২ জন
জুনয়ির অডিটারদের আর্থিক সুবধিাসহ ধারণাগত জ্যষ্ঠেতা প্রদান বহাল রাখা যেতে
পারে ’’ মর্মে মতামত প্রদান করেন।
বহাল রাখার বিষয়ে সিদ্ধান্ত না পাওয়ায় সিজিএ র্কাযালয় হতে স্মারক নং-
২৪২৭,তারখি: ০১.০১.২০২৫ এর মাধ্যমে অর্থ বিভাগ, অর্থ মন্ত্রণালয়ে পুনরায়
পত্র লিখা হয় (সংলাগ-২৮) । প্রশাসন ট্রাইব্যুনাল -১, ঢাকা র্কতৃক এটি মামলা নং-
৪৭৯/২০২২ ও এটি মামলা নং-৫২৭/২০২২ এ অর্থ মন্ত্রণালয়রের ২৯/০৯/২০২২
তারিখের ৫০০ নং স্মারক উপর স্থাগিতার্দেশ এবং আইন,বিচার ও সংসদ
বিষয়ক মন্ত্রণালয় কতৃক ধারণাগত জ্যেষ্ঠেতাপ্রাপ্ত র্কমচারীদরে পক্ষে ০২
(দুই) বার মতামত প্রদান সত্বেও তা আমলে না নিয়ে র্দীঘ ৩০ মাস ধরে শুনানী চলছে।

স্মারক নং-১৬৪,তারখিঃ১৬/০৩/২০২৫ এর মাধ্যমে এটি মামলা নং-৪৭৯/২০২২ ও এটি
মামলা নং-৫২৭/২০২২ এ র্অথ মন্ত্রণালয়রে ২৯/০৯/২০২২ তারখিরে ৫০০ নং
স্মারকের উপর স্থগিতাদশে প্রত্যাহারসহ অর্ন্তর্বতীকালীন আর্দশে
পরর্বতী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণরে জন্য সিজিএকে নির্দেশ প্রদান করেন কিন্তু কতৃপক্ষ বাস্তবায়ন করছেন না (সংলাগ-২৯)

বিভিন্ন সময়ে আন্দোলন ঘিরে ক্যাডার ও নন–ক্যাডার দ্বন্দ্ব প্রকট হয়ে সরকারের হিসাব ও নিরীক্ষা কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছিল। গত বছর ২২ সেপ্টেম্বর আন্দোলন ব্যাপক আকার ধারণ করে।

মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রকের (সিএজি) পদত্যাগ দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন। ওই সময় ক্যাডার কর্মকর্তারা কাকরাইলে অডিট ভবনের ভেতরে এবং নন–ক্যাডার কর্মচারীরা (অডিটর) ভবনের সামনের সড়ক প্রায় তিন ঘণ্টা অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছিলেন। নন–ক্যাডার কর্মচারীরা কয়েক দফায় অডিট ভবনের ভেতরে ঢুকে পড়ার চেষ্টা করেন। পরে ভবনের ফটকে সেনাবাহিনী ও পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিল।

তিন ঘণ্টা ধরে কাকরাইলে এই সড়কটি অবরোধ করে রাখায় আশপাশের সড়কে তীব্র যানজট তৈরি হয়েছিল। পুলিশের পক্ষ থেকে দফায় দফায় তাঁদের সড়কের এক পাশে অবস্থান নিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক করার অনুরোধ জানানো হলেও তাঁরা সড়কে অবস্থান থেকে সরেন নি। পরে এক পর্যায়ে লাঠিচার্জ ও জলকামান ব্যবহার করে তাঁদের সরিয়ে দিয়েছিল পুলিশ।

সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর অডিটররা আন্দোলনে নামেন। একাদশতম গ্রেডে কর্মরত অডিটররা দশম গ্রেডে পদোন্নতি চান। তাঁদের দাবি, হাইকোর্টের নির্দেশনা থাকার পরও ৩ হাজার ৩৮২ জন অডিটরের মধ্যে অন্তত ৬৩৬ জনকে দশম গ্রেডে উন্নীত করা হয়। বাকিদের একাদশতম গ্রেডে রেখে বৈষম্য করা হচ্ছে।

নন–ক্যাডার কর্মচারীরা (অডিটর) অডিট ভবনের সামনের সড়ক প্রায় তিন ঘণ্টা অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন।
অডিটরদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সরকার পতনের পর প্রথম সপ্তাহে ক্যাডার কর্মকর্তাদের একটি অংশ সিএজি নূরুল ইসলামকে ‘আওয়ামী লীগের দোসর’ উল্লেখ করে তাঁর পদত্যাগ দাবিতে বিক্ষোভ করে। তখন অডিটররা (নন–ক্যাডার) সিএজির পক্ষে অবস্থান নেন। তখন সিএজি অডিটরদের দশম গ্রেডে উন্নীত করতে যা যা প্রয়োজন, তা–ই করবেন বলে প্রতিশ্রুতি দেন। এ নিয়ে তিনি অডিটরদের সঙ্গে একাধিক বৈঠকও করেন। পরে এই গ্রেড পরিবর্তনের সিএজি অর্থ মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাবও পাঠান। সিএজি কার্যালয় সূত্র জানায়, এই প্রস্তাব অর্থ বিভাগে গিয়ে আটকে যায়। এরপর অডিটররা প্রথমে অর্থসচিবের পদত্যাগ দাবি করেন। সিএজির বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামেন।

অন্যদিকে গ্রেড পরিবর্তনের প্রস্তাব পাঠানোর ঘটনায় আগে থেকেই সিএজির বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ ছিলেন ক্যাডার কর্মকর্তারা। তাঁদের দাবি, নন–ক্যাডার কর্মচারীদের ভয়ে কর্মকর্তারা নিজ নিজ কার্যালয়ে যেতে পারেন নি দুই সপ্তাহ ধরে। তাঁরা সিএজি কার্যালয়ের ভেতরে বিক্ষোভ করেন। আর কার্যালয়ের বাইরে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন অডিটারগণ।

জলকামান ব্যবহার ও লাঠিপেটা করে অডিট ভবনের সামনে থেকে বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দিয়েছিল পুলিশ।

আন্দোলনকারী অডিটারগণর জানিয়েছেন, তাঁরা দীর্ঘদিন ধরে দশম গ্রেডে উন্নীত হওয়ার জন্য আন্দোলন করছিলেন। এ নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হলে হাইকোর্ট তাঁদের দশম গ্রেডে উন্নীত করার নির্দেশ দেন। কিন্তু প্রথম দফায় রিটকারী ৬১ জনকে কেবল দশম গ্রেড প্রদান করা হয়। কিছুদিন পর আবার আবেদন করা আরও ৫৭৫ জনকে দশম গ্রেডে উন্নীত করা হয়। আরেকটি সূত্র বলছে, এই ৬৩৬ জনের বাইরে আরও ২৭৭ জনকেও দশম গ্রেড দেওয়া হয়েছে। ফলে একই পদে দুই ধরনের বেতন গ্রেড থাকায় ব্যাপক বৈষম্য তৈরি হয়েছে।

অন্যদিকে ক্যাডার কর্মকর্তারা বলছেন, সিএজি নূরুল ইসলাম স্বপদে থাকতে সমর্থনের বিনিময়ে একাদশতম গ্রেডের অডিটরদের দশম গ্রেড, দশম গ্রেডের সুপারদের নবম গ্রেড এবং নবম গ্রেডের নিরীক্ষা ও হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তাদের সপ্তম গ্রেড উন্নীতকরণের প্রতিশ্রতি দেন। আর বিসিএস নিরীক্ষা ও হিসাব ক্যাডারের কর্মকর্তারা অন্যান্য ক্যাডারের মতো নবম গ্রেডে কর্মজীবন শুরু করেন। এতে কর্মস্থলে বিশৃঙ্খলা তৈরি হবে দাবি করে ক্যাডার কর্মকর্তাদের বড় একটা অংশও সিএজির পদত্যাগ দাবি করেছিলেন।

রাজশাহী জেলাতে সুপার পদে কর্মরত বৈষম্যের স্বীকার মোঃ ফতে আলীসহ কয়েকজন জানান, ৭৮২ কর্মকর্তা কর্মচারীর নিকট হতে হাসিনার দোসর
সিজিএ ভবনের সুপার আব্দুর রউফ ৫ কোটি টাকা উৎকোচ গ্রহন করেছেন। এক ছেলেকে ৫০ লাখ টাকা খরচ করে আস্টোলিয়া পাঠিয়েছেন। কি সমস্যার করণে দেশে ফেরত এসেছেন। অন্য এক ছেলেকে মোটা অঙ্কের অর্থের বিনিময়ে অন্য একটি দেশে পাঠিয়েছেন বলে জানান তারা। শুধু ব্যারিষ্টারের নাম করে ৩৪ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন তিনি। আইন মন্ত্রণালয়ের যাচিত ২ টি সুস্পষ্ট সিদ্ধান্ত, অর্থ মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তকে উপেক্ষা করে কতৃপক্ষের স্বেচ্ছাচারীতা, স্বজনপ্রীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার করে আমাদের পেনসন বন্ধ করে রেখেছেন। অবিলম্বে এ চরম বৈষম্যের অবসান চাই।

এ ব্যপারে সিএজি ভবনের সুপার আব্দুর রউফ যিনি ভুক্তভোগী কর্মকর্তা কর্মচারী নিকট হতে দু দফায় জনপ্রতি প্রতি ৩৫ হাজার ও ২৫ হাজার করে কোটি কোটি টাকা উৎকোচ গ্রহন করেছেন তার মোবাইলে একাধিকবার চেষ্টা করা হয় কিন্তু মোবাইল রিসিভ করেন নি। পরবতীতে ক্ষুদে বার্তা পাঠানো হয়। তারপর মোবাইল করলে তিনি রিসিভ করেন এবং বলেন, আমি ২০২২ ইং ২৯ ফেব্রুয়ারী অবসর গ্রহন করেছি। তারা আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার করছেন, আমার দুই ছেলেকে বিদেশে পাঠিয়েছি, আমার নামে ২ কোটি ৫০ লাখ সঞ্চয় পত্র ক্রয় করেছি। আমি চাকুরী জীবনে ১ পয়সা ঘুষ খায় নি। আমি সৎ ছিলাম বলে তারা আমাকে দায়িত্ব দিয়েছিলেন। পরে আমি দায়িত্ব ছেড়ে দিয়েছি। টাকার লোভ থাকলে তো ছাড়তাম না। আমার সাথে কোন ঘুষের টাকা লেনদেন হয় নি। তবে কেস চালানোর জন্য ব্যারিষ্টার ফি বাবদ মোটা অঙ্কের টাকা খরচ হয়ে। আগামী ২৬/০৮/২০২৫ ইং মামলার দিন ধার্য্য আছে আমি যাব। আগামী ২৫/০৮/২৯২৫ ইং জাতীয় প্রেসক্লাবে প্রতিবাদ সমাবেশে আমাকে ডাকলে যাব।

এই বিষয়ে সাবেক সিএজি নূরুল ইসলামের সাথে মোবাইল করা হলে তিনি রিসিভ না করাই বক্তব্য পাওয়া সম্ভাব হয় নি।

ভুক্তভোগিদের ১৪৯ জনের বিষয়ে সিজিএ এস.এম রিজভীকে প্রশ্ন করা হয় একই আর্দেশে ৭৮২ জনের মধ্যে ৫৫৫ জন কর্মকর্তা/কর্মচারীকে পেনশন ও আনুতোষিক পরিশোধ করা হয়েছে। ৭৮ জনের পদোন্নতি, পিআরএল পরিশোধ চলমান মুঞ্জরি আছে। শুধুমাত্র ১৪৯ জনের পেনশন ও আনুতোষিক পরিশোধের কার্যক্রম প্রায় ৩ বছরের অধিক সময় পর্যন্ত বন্ধ হয়েছে কেন? এর উত্তর তিনি বলেন একটি মামলা বিচারাধীন থাকায় ভুক্তভোগীদের পেনশন বন্ধ রয়েছে।
আপনি সাংবাদিক হিসেবে জানেন মামলা বিচারাধীন থাকলে আমাদের কিছু করার থাকে না। তিনি বলেন, ভুক্তভোগিদের নিকট হতে কোটি কোটি লেনদেনের বিষয়ে আমার জানা নেই। সুপার আব্দুর রউফকে আমি চিনি না।

রাজশাহীর ভুক্তভোগী অবসর প্রাপ্ত হিসাব রক্ষণ অফিসার মোঃ আলাউদ্দীন জানান,
আগামী ২৭ আগষ্ট জাতীয় প্রেসক্লাবে প্রতিবাদ সমাবেশ করা হবে। তিনি আরও বলেন, বৈষম্যহীন সমাজ বাস্তবায়নে সরকারি ব্যবস্থাপনায় বৈষম্য কেন? সিজিএ প্রশাসন জবাব চাই? বর্তমার সরকারের বৈষম্যহীন সমাজ গড়ার লক্ষ্য অর্জনের প্রচেষ্টাকালে আমলাতন্ত্রের জটিলতা সৃষ্টি করে সিজিএ (সাবেক) নুরুল ইসলাম ও বর্তমান সিজিএ এসএম রেজভীর সিদ্ধান্তহীনতা, স্বেচ্ছাচারীতা, অনিয়ম এবং দায়িত্বে অবহেলার কারণে একই আর্দেশে ধারণাগত জ্যেষ্টতা প্রাপ্ত ৭৮২ জনের মধ্যে ৫৫৫ জন কর্মকর্তা/কর্মচারীকে পেনশন ও আনুতোষিক পরিশোধ করা হয়েছে। ৭৮ জনের পদোন্নতি, পিআরএল পরিশোধ চলমান মুঞ্জরি আছে। শুধুমাত্র ১৪৯ জনের পেনশন ও আনুতোষিক পরিশোধের কার্যক্রম প্রায় ৩ বছরের অধিক সময় পর্যন্ত বন্ধ হয়েছে। আইন মন্ত্রণালয়ের যাচিত ২ টি সুস্পষ্ট সিদ্ধান্তকে বিবেচনায় না নিয়ে চরম বৈষম্য সৃষ্টি করা হয়েছে।

সিজিএ কার্যালয় কতৃক নিয়োগকৃত ১৪৯ ভুক্তভোগি, তাদের পরিবারের সদস্যগণ, সচেতনমহল জরুরীভিক্তিতে বৈষম্য নিরসনসহ আনুতোষিক পেনশন প্রাপ্তির ব্যবস্থা, আমলাতান্ত্রের জটিলতা পরিহার, স্বেচ্ছাচারীতা, অনিয়ম, দুর্নীতি বিরুদ্ধে প্রতিরোধমূলক ব্যবন্থা গ্রহনের জন্য মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের সরাসরি হস্তক্ষেপ একান্তভাবে কামনা করেছেন।

মোঃ হায়দার আলী
নিজস্ব প্রতিবেদক,
রাজশাহী

Please Share This Post in Your Social Media






© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Design & Developed BY AMS IT BD