August 25, 2025, 6:49 pm

বিজ্ঞপ্তি :
বিশেষ সতর্কীকরন - "নতুন বাজার পত্রিকায়" প্রকাশিত সকল সংবাদের দ্বায়ভার সম্পুর্ন প্রতিনিধি ও লেখকের। আমরা আমাদের প্রতিনিধি ও লেখকের চিন্তা মতামতের প্রতি সম্পুর্ন শ্রদ্ধাশীল। অনেক সময় প্রকাশিত সংবাদের সাথে মাধ্যমটির সম্পাদকীয় নীতির মিল নাও থাকতে পারে। তাই যেকোনো প্রকাশিত সংবাদের জন্য অত্র পত্রিকা দায়ী নহে। নতুন বাজার পত্রিকা- বাংলাদেশের সমস্ত জেলা, উপজেলা, ক্যাম্পাস ও প্রবাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! বিস্তারিত: ০১৭১২৯০৪৫২৬/০১৯১১১৬১৩৯৩
শিরোনাম :
দু-র্ভোগে পখিরা মোল্লা কান্দির মানুষ: রাস্তার উন্ন-য়নের দাবিতে মা-নববন্ধন পরিবেশের ভার-সাম্য র-ক্ষায় বরিশালে আনসার ভিডিপি’র বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি উদ্বোধন জুলাই স্মৃ-তি ও শহী-দদের গ্রা-ফিতি মু-ছে ফেলায় সুজানগরে বিক্ষো-ভ “আমার ছেলে জাহিদ হ-ত্যার সঠিক ত-দন্ত ও বি-চার চাই” – আ-র্তনাদ রহিমা খাতুন ১৪৯ জন কর্মকর্তা পেনশন না পেয়ে মা-নবেতর জীবণ যাপ-ন করছেন দোয়ারাবাজারে লেনাদেনের সমা-ধানের নামে টাকা আ-ত্মসাৎ ফেরত চাওয়াতে হুম-কি” থানায় অ-ভিযোগ কলাইয়ের রুটি বা-সাবাড়ী, ফু-টপাত হয়ে এখন হোটেল রেস্তোঁরায় ভূঞাপুরে সাবেক কাউন্সিলরের বাড়ি থেকে মা-দক উ-দ্ধার: বিপা-কে চার কর্মকর্তা পাইকগাছার কপোতাক্ষ নদের বে-ড়িবাঁধে ভ-য়াবহ ভা-ঙন হু-মকির মুখে জনপদ খাগড়াছড়িতে আনসার-ভিডিপি’র হিল ভিডিপি অ্যাডভান্সড কোর্সের স-মাপনী অনুষ্ঠিত
“আমার ছেলে জাহিদ হ-ত্যার সঠিক ত-দন্ত ও বি-চার চাই” – আ-র্তনাদ রহিমা খাতুন

“আমার ছেলে জাহিদ হ-ত্যার সঠিক ত-দন্ত ও বি-চার চাই” – আ-র্তনাদ রহিমা খাতুন

সুমন খান:

ঢাকা জেলার নবাবগঞ্জ উপজেলার কৈলাইল ইউনিয়নের নয়াকান্দা গ্রামে ঘটে যাওয়া নৃশংস হত্যাকাণ্ড এখনো আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু। দিনমজুর জাহিদকে জীবন্ত আগুনে পুড়িয়ে হত্যার এক বছর পার হলেও আজও প্রধান আসামি শাওন গ্রেপ্তার হয়নি। অথচ, শাওন দেশেই অবস্থান করছে এবং নিয়মিত সামাজিক মাধ্যমে সক্রিয়।
কীভাবে ঘটলো ভয়াবহ হত্যাকাণ্ড? ঘটনা ঘটেছে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক সংবাদ সম্মেলন করেন সেখানে,
বর্ণনা দেন জাহিদের মা রহিমা খাতুন!

২০২৪ সালের ৮ সেপ্টেম্বর রাতে শাওন, কৈলাইল ইউনিয়ন যুবলীগের সেক্রেটারি ডয়েসের ভাগিনা, ফোন দিয়ে জাহিদকে ডেকে নেয়। সে জানায়, “আমার মামার দোকানে সিমেন্ট নামাতে হবে।” জাহিদ ও তার বন্ধু নাফিজ বেপারী ওরফে জান্নাত সায় দিলে তাদের বিল্ডিংয়ের কাছে নিয়ে যায়। সেখানেই জানানো হয়, “এই বাড়িতে আগুন দিতে হবে।”
কাজের মানুষ জাহিদ ও জান্নাত সাফ জানিয়ে দেয়—“আমরা খেটে খাওয়া মানুষ, এই কাজ করতে পারবো না।” এ কথার পরপরই শাওনসহ মুখোশধারী আরও কয়েকজন জাহিদের শরীরে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। জান্নাত পালাতে সক্ষম হলেও জাহিদ পাশের আমবাগানে দগ্ধ অবস্থায় লুটিয়ে পড়ে। পরে বড় ভাই ও জান্নাত তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করে। ১৪ সেপ্টেম্বর মৃত্যুর সাথে লড়াই করে মারা যায় জাহিদ।
পুলিশি তদন্তে গড়িমসি ও অসঙ্গতি,
শুরু থেকেই মামলার তদন্তে অসংখ্য প্রশ্ন উঠে আসে। দায়িত্বপ্রাপ্ত তদন্ত কর্মকর্তা লুৎফর রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে প্রভাবশালী আসামীদের সাথে আঁতাতের। নিহত জাহিদের পরিবার দাবি করেছে—
প্রধান আসামী শাওনকে গ্রেপ্তার না করে চার্জশীট প্রহসনের মতো তৈরি করা হয়েছে।মূল হোতাদের বাদ দিয়ে মামলার দুর্বল চার্জশীট দাখিল করা হয়েছে।
যেসব ব্যক্তি হত্যাকাণ্ড প্রত্যক্ষ করেছে তাদের বাদ দিয়ে ভুয়া সাক্ষী বানানো হয়েছে।
স্থানীয়রা বলছে, আওয়ামী লীগ নেতা মালেক দেওয়ানের ছেলে কায়েতের শ্বশুর বাড়িতে আগুন দেওয়ার ফাঁদ তৈরি করেছিল রতন ও এমদাদুল। তাদের “ডান হাত” শাওনের মাধ্যমে জাহিদকে ফাঁদে ফেলা হয়।
নিহতের পরিবারের অভিযোগ
জাহিদের মা রহিমা খাতুন কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন—
আমার ছেলে খেটে খাওয়া মানুষ ছিল। অন্যায় করতে রাজি হয়নি বলেই তাকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করা হয়েছে। এক বছরেও আসামী ধরা হলো না। পুলিশ টাকা খেয়ে প্রভাবশালীদের বাদ দিয়ে চার্জশীট দিয়েছে। আমার ছেলে মারা গেছে, এখন আবার বড় ছেলেকে হত্যার হুমকি দিচ্ছে। আমি প্রধানমন্ত্রীর কাছে আকুল আবেদন জানাই— আমার জাহিদের হত্যার সঠিক তদন্ত ও বিচার চাই।
হুমকি ও আতঙ্কপরিবারের দাবি, জাহিদ হত্যার পর একাধিকবার স্থানীয় প্রভাবশালী মহল থেকে ভয়ভীতি ও সমঝোতার চাপ এসেছে। এমনকি বলা হয়েছে—“এক ছেলে গেছে, যদি মীমাংসা না করো তাহলে বড় ছেলেকেও মরতে হবে।এ মাসের ১৯ তারিখে জামিনে মুক্ত হয়ে এমদাদুল ও রতন স্থানীয় কিশোর গ্যাং নিয়ে জাহিদের বাড়ির সামনে বিজয় মিছিল করে প্রকাশ্যে হুমকি দিয়েছে।
তদন্তে প্রভাবশালীদের নাম বাদ!
জাহিদের পরিবারের দাবি, মামলার চার্জশীটে যেসব নাম বাদ দেওয়া হয়েছে তাদের মধ্যে রয়েছে:মালেক দেওয়ান নাজমা বেগম,এমদাদুল দেওয়ান,রতন দেওয়ান,মোতালেব শিকদার,রুমন আলী,চয়ন রাব্বি দেওয়ান,মোসলেম উদ্দিন পায়েল
এছাড়া আরও অনেককে বাদ দিয়ে চার্জশীট দুর্বল করা হয়েছে।গ্রামবাসীর বক্তব্যগ্রামবাসী বলেন—এমন জঘন্য হত্যাকাণ্ডের বিচার না হলে ভবিষ্যতে আরও জাহিদ এভাবে প্রাণ হারাবে। প্রভাবশালীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।
অনুসন্ধানী পর্যবেক্ষণ প্রমাণ, সাক্ষ্য, ও পারিবারিক বক্তব্যে স্পষ্ট— মামলার তদন্তে চরম গাফিলতি ও প্রভাব খাটানো হয়েছে। প্রধান আসামী শাওন দেশেই থেকে অবাধে ঘুরে বেড়াচ্ছে, অথচ পুলিশ তাকে ধরছে না। স্থানীয় প্রশাসন ও রাজনৈতিক প্রভাবশালীদের যোগসাজশে বিচার প্রক্রিয়া ভেস্তে যাওয়ার আশঙ্কা প্রবল।

জাহিদের মা রহিমা খাতুনের আর্তি আজ শুধু একটি পরিবারের নয়, বরং রাষ্ট্রের আইন-শৃঙ্খলা ও বিচার ব্যবস্থার প্রতি এক বড় প্রশ্ন।
তিনি ও গ্রামবাসীর দাবি একটাই—
“জাহিদ হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত হোক, প্রকৃত আসামীদের ফাঁসি হোক।”

Please Share This Post in Your Social Media






© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Design & Developed BY AMS IT BD