August 23, 2025, 6:25 pm
গীতি গমন চন্দ্র রায় গীতি।।
স্টাফ রিপোর্টার।।
ঠাকুরগাঁওয়ে সদর উপজেলার সুক নদীর প্রায় ৫০ একর জমির উপর নির্মিত আখানগর বুড়ির বাঁধ মৎস্য অভয়াশ্রম।আর এই বুড়ি বাঁধের মৎস্য অভয়াশ্রমে নিষিদ্ধ জাল পাতানো হয়েছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালানো হয়। অভিযান ৭০ টি অবৈধ চায়না রিং জাল ও কারেন্ট জাল জব্দ করেছে জেলা মৎস্য বিভাগ ও ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা প্রশাসন।জানা যায়, ২১-শে আগস্ট রোজ শনিবার ভোর ৫ থেকে দুপুর ১ পর্যন্ত প্রায় ৮ ঘন্টা বুড়ি বাঁধ মৎস্য অভয়াশ্রমের বিভিন্ন এলাকায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার খাইরুল ইসলামের নেতৃত্বে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়।
সে লঅভিযানে ছিলেন জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আরাফাত উদ্দিন আহম্মেদ, সদর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আয়েশা আক্তার, সদর থানার অফিসার োইনচার্জ সারোয়ার আলম খান প্রমুখ।তব জানা গেছে, সুক নদীর উপর অবস্থিত বুড়ির বাঁধ মৎস্য অভয়াশ্রমে আশেপাশের বিভিন্ন স্থানে অসংখ্য অবৈধ রিং জাল ও কারেন্ট জাল পাতানো হয়েছে। এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে প্রায় আট ঘন্টা অভিযান চালিয়ে ৭০ টি অবৈধ চায়না রিং জাল ও কারেন্ট জাল জব্দ করা হয়।জব্দকৃত অবৈধ রিং জালগুলোর আনুমানিক বাজার মূল্য প্রায় ৪ লক্ষ টাকা।পরবর্তী জব্দকৃত জাল গুলো মৎস্য সংরক্ষণ আইন অনুযায়ী স্থানীয়দের উপস্থিতিতেই আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া হয়।এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার খাইরুল ইসলাম জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ভোর থেকেই বুড়িরবাঁধ এলাকায় অভিযান চালানো হয়। এ সময় নদীতে এবং নদীর আশে পাশে পাতানো মাছ ধরার নিষিদ্ধ ৭০টি রিং জাল ও কারেন্ট জাল জব্দ করা হয়। আমাদের উপস্থিতি টের পেয়ে জাল মালিকেরা আগেই পালিয়ে যায়। পরে জব্দকৃত জালগুলো মৎস্য সংরক্ষণ আইন অনুযায়ী পুলিশ, মেম্বার ও স্থানীয়দের উপস্থিতিতে ঘটনাস্থলেই পুড়িয়ে ফেলা হয়।জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আরাফাত উদ্দিন আহম্মেদ বলেন, রিং জাল ও কারেন্ট জাল সব ধরনের মাছের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। বিশেষ করে দেশীয় ছোট মাছ ও মাছের পোনা সহজেই আটকা পড়ে মারা যায়। এজন্য এসব জাল ব্যবহার বন্ধে আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।