August 12, 2025, 6:34 pm

বিজ্ঞপ্তি :
বিশেষ সতর্কীকরন - "নতুন বাজার পত্রিকায়" প্রকাশিত সকল সংবাদের দ্বায়ভার সম্পুর্ন প্রতিনিধি ও লেখকের। আমরা আমাদের প্রতিনিধি ও লেখকের চিন্তা মতামতের প্রতি সম্পুর্ন শ্রদ্ধাশীল। অনেক সময় প্রকাশিত সংবাদের সাথে মাধ্যমটির সম্পাদকীয় নীতির মিল নাও থাকতে পারে। তাই যেকোনো প্রকাশিত সংবাদের জন্য অত্র পত্রিকা দায়ী নহে। নতুন বাজার পত্রিকা- বাংলাদেশের সমস্ত জেলা, উপজেলা, ক্যাম্পাস ও প্রবাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! বিস্তারিত: ০১৭১২৯০৪৫২৬/০১৯১১১৬১৩৯৩
শিরোনাম :
বানারীপাড়ায়  জাতীয় ও আন্তর্জাতিক যু-ব দিবস উদযাপন ইন্দোনেশিয়া থেকে রামপাল তাপ বি-দ্যুৎ কেন্দ্রের ক-য়লা নি-য়ে মোংলা বন্দরে ভি-ড়েছে এম,ভি রয়েল ইমেজ ব-জ্রাপাত থেকে র-ক্ষা পেতে তালগাছসহ উচ্চু বৃক্ষ রোপনের বি-কল্প নেই ঝিনাইদহে কি-ন্ডারগার্টেন এসোসিয়েশনের সংবা-দ স-ম্মেলন সুজানগরে বর্ণা-ঢ্য আয়োজনে জাতীয় যুব দি-বস পালিত ঝিনাইদহের প্রায় সাড়ে ৭ হাজার হেক্টর ফসলি জমি পানির নিচে দি-শেহারা কৃষক দোয়ারাবাজারে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক যুব দিব-স উপলক্ষে র‍্যালি ও আলো-চনা সভা অনুষ্ঠিত ধামইরহাটে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক যুব দি-বস পালিত তেঁতুলিয়ায় জাতীয় ও আন্তর্জাতিক যুব দি-বস পালিত লালমনিরহাট আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বা-হিনীর বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি উদ্বোধন
ঝিনাইদহের প্রায় সাড়ে ৭ হাজার হেক্টর ফসলি জমি পানির নিচে দি-শেহারা কৃষক

ঝিনাইদহের প্রায় সাড়ে ৭ হাজার হেক্টর ফসলি জমি পানির নিচে দি-শেহারা কৃষক

ঝিনাইদহ জেলা সংবাদদাতাঃ
ঝিনাইদহে টানা বৃষ্টিতে জেলার ছয়টি উপজেলার প্রায় সাড়ে ৭ হাজার হেক্টর ফসলি জমি পানির নিচে তলিয়ে গেছে। বৃষ্টির পানি নিষ্কাশনের উপযুক্ত ব্যবস্থা না থাকায় জমিতে জলাবদ্ধতা তৈরি হয়েছে। এতে ফসল ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। অনেক কৃষক এখনো জমিতে নতুন করে ধান রোপণ করতে পারছেন না। ফলে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন ঝিনাইদহের কৃষকরা। ঝিনাইদহ সদর, কোটচাঁদপুর, মহেশপুর, কালীগঞ্জ, হরিণাকু-ু ও শৈলকূপা উপজেলায় সবজি ক্ষেত, ধানের বীজতলা ও সদ্য রোপণ করা আমন ধান ডুবে গেছে। ঝিনাইদহ কৃষি বিভাগ জানিয়েছে, জেলার ছয়টি উপজেলায় এ পর্যন্ত প্রায় ৭ হাজার ৫০০ হেক্টর ফসলি জমি পানিতে তলিয়ে গেছে।

ঝিনাইদহ সদর উপজেলার মহারাজপুর ইউনিয়নের তেতুলতলা, বিষয়খালী, মহারজপুরসহ বেশ কয়েকটি গ্রামের জমিতে এখনো পানি জমে থাকায় নতুন করে ধান রোপণ করতেও পারছেন না।

সদর উপজেলার ভাদালিয়াডাঙ্গার কৃষক আনিছুর রহমান জানান আমদের মাঠে ধান বলতে আর কিছু নেই সব পানির নিচে তলিয়েগেছে। তিনি আরও বলেন কিছু মানুষ যারা বিলে পুকুর কেটে মাছ চাষ করছে তাদের জন্যও মাঠের পানি খাল দিয়ে বের হচ্ছে না যার ফলে মাঠে পানি জমেছে বেশি।

শৈলকূপা উপজেলার চড়িয়ারবিল গ্রামের আলমগীর হোসেন জানান, আমার ১০ কাঠা মরিচ, দশ কাঠা পটল, পাঁচ কাঠা বেগুন আবাদ ছিল। টানা বৃষ্টির কারণে সব পানির নিচে তলিয়ে আছে। পানি নেমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে গাছগুলো মরে যাবে। আমি এ ক্ষতি কীভাবে পুষিয়ে উঠব বুঝ
তে পারছি।

কালীগঞ্জ উপজেলার তেতুলবাড়িয়া গ্রাামের কৃষক জাহিদ হাসান জানান, আমার ১০ কাঠা মরিচ ও ১০ কাঠা পটল পানিতে তলিয়ে আছে। পানি সরার সঙ্গে সঙ্গে গাছগুলো মরতে থাকবে। কোটচাঁদপুর উপজেলার গুড়পাড়া গ্রামের কৃষক শাহাজান আলী জানান, গত কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে আমার এক বিঘা জমির ধান পানিতে ডুবে আছে। কম বেশি সব কৃষকের ক্ষতি হয়েছে। আমন ধান আদৌ ঘরে তুলতে পারব কি না জানি না।

মহেশপুর উপজেলার জলিলপুর গ্রামের মিজানুর রহমান জানান, আমার চার বিঘা জমির ধান পানির নিচেই তলিয়ে গেছে। আবারও নতুন করে ধানের চারা রোপণ করতে হবে। কিন্তু ধানের চারা পাব কোথায়।

ঝিনাইদহ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ষষ্ঠি চন্দ্র রায় বলেন, ‘কিছু এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড ও প্রশাসনের সহায়তায় বাঁধ অপসারণের কাজ চলছে। বেশ কিছু জায়গায় সমস্যা সমাধান করা হয়েছে, বাকি অংশেও কাজ চলছে। যেখানে যেখানে বাঁধের কারণে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছিল ইতিমধ্যে সেগুলো অপসারণ করা হয়েছে। বাকি সে সব বাঁধ এখনো অপসারণ করা হয়নি, সেগুলোও অপসারণের চেষ্টা করে যাচ্ছি।

আতিকুর রহমান
ঝিনাইদহ।

Please Share This Post in Your Social Media






© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Design & Developed BY AMS IT BD