August 10, 2025, 9:32 pm
আনোয়ার হোসেন,
নেছারাবাদ উপজেলাসংবাদদাতা।।
নেছারাবাদে আরামকাঠী সঞ্চয় ও ঋনদান সমবায় সমিতির মাঠ কর্মীর নৃপেন মন্ডলের বাড়ি হামলা ও লুটপাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। গুয়ারেখা ইউপি সদস্য ৭নং ওয়ার্ড আওয়ামিলীগের সাধারণ সম্পাদক সুজিত বৈরাগী ও তার অধীনস্থ জয়দের বৈরাগী, অনুপ মন্ডল, অবনী মজল, মতি লাল মন্ডল, বিমল মন্ডল, নির্মল মন্ডল, গনদের বিরুদ্ধে। তবে সুজিত বৈরাগী এ অভিযোগ অস্বীকার করেন।
গত জুন মাসের ২ তারিখ নৃপেন তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে পিরোজপুর বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালতে
মামলা দায়ের করেন যার সি আর নং ১৩১০
।বিজ্ঞ আদালত মামলাটি পিআইবি কে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ প্রদান করেন।
নৃপেন মন্ডলের মামলার পরিপ্রেক্ষিতে জানা যায়, সে আরামকাঠী সঞ্চয় ও ঋনদান সমবায় সমিতির মাঠ কর্মী হিসাবে কাজ করতো। উক্ত প্রতিষ্ঠানের মালিক রহমতুল্লাহ আত্মগোপনে যাওয়ায় সদস্যরা সমিতির বিরুদ্ধে নেছারাবাদ থানায় মামলা করে এবং ঐ সময় নৃপেন অফিসে উপস্থিত ছিলেন তখন অন্যান্য সদস্যদের সাথে তাকেও জেল হাজতে প্রেরণ করে।
নৃপেন মন্ডল জানান, আমার অনুপস্থিতিতে ওয়ার্ড মেম্বর সুজিত বৈরাগী স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সেক্রেটারী তার দলীয় লোকজন নিয়া আমার স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি আত্মসাত করার জন্য। গত ২১শে এপ্রিল আমার স্ত্রী একা বাড়িতে থাকায় তার হাতপা বেঁধে মারধর করে ও ভয়ভীতি দেখায়। সুজিতের ঈশারায় তার দলীয় লোকজন আমার বসত ঘরে থাকা স্বর্নের হাতের একজোড়া চুরি, স্বর্নের চেইন দুটি যার ওজন ২ ভড়ি, স্বর্নের আংটি ২ টি ওজন ১ ভড়ি, নগদ গচ্ছিত আনুমানিক প্রায় ৫০,০০০/- টাকা, ২৫ বস্তা সুপারী, পিতলের হাড়ি, পাতিল, থালা বাসন এবং ঠাকুর ঘরে প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদী সহ ঘরের নিত্য ব্যবহার্য্য জিনিসপত্র লুট করিয়া নিয়া যায়। আমার স্ত্রীকে মেরে ফেলার হুমকি প্রদান করে এবং বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয়।
নৃপেম এর স্ত্রী সুমা মন্ডল জানান, আজ চার মাস পর্যন্ত আমি ঘরে যেতে পারিনা আত্মীয় স্বজনদের বাসায় বাসায় থাকি আমাকে হাত পা বেধে সব কিছু লুটপাট করে নিয়ে যায়।সুজিত বৈরাগী ও তার লোকজন। আমার পড়নের কাপড় চোপড় পর্যন্ত নিয়ে গেছে।
ছোট ভাই নিত্যানন্দ মন্ডল জানান, আমি ঢাকায় থাকি দাদা জেলে যাবার খবর পেয়ে বাড়িতে আসি। এবং গিয়ে দেখি ঘরের সব কিছু লুটপাট করে নিয়ে গেছে। ভাই জেল থেকে জামিনে বেরিয়ে একটা মামলা করে। সেজন্য পিবিআই থেকে সেদিন তদন্তে আসে। তদন্ত অফিসারদের সামনে সামনে বসেও আমাদের হুমকি দিয়ে যাচ্ছিলো। আমরা চরপ নিরাপত্তা হীনতায় ভুগতেছি। আমরা কেউ বাড়িতে যেতে পারিনা। আমরা এর সুষ্ঠু বিচার চাই।
প্রতিবেশী দীপঙ্কর বলেন, একজন জনপ্রতিনিধি বাড়িতে এই ধরনের নারকীয় ঘটনা ঘটবে এটা আশাকরা যায় না। যে খানে ইউপি সদস্য একটা দুর্ঘটনা ঘটলে যেখানে সে ঐ পরিবারকে প্রটেকশন দেয়ার কথা অথচ তার ইঙ্গিতে লুটপাট হয়েছে এটা দুঃখজনক।
এ বিষয়ে ইউপি সদস্য সুজিত বৈরাগীর কাছে জানতে চাইলে, তিনি বলেন, সদস্যরা যাতে টাকা না চায় সেজন্য নৃপেন একটা নাটক সাজিয়ে আমাকে সহ অনেকর নামে মিথ্যে মামলা দিয়েছে। আর ঘর লুটপাটের তো প্রশ্নই আসেনা নৃপেন জেলে যাওয়ার পরে তার স্ত্রী ঘরের মালামাল সরিয়ে ফেলেছে আর যাদের নামে মামলা দিয়েছে তারা কেউ স্টেশনে ছিলোনা ঘটনার দিন। সুতারং আমাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ মিথ্যে।
এ বিষয়ে নেছারাবাদ থানার তদন্তকারি অফিসার এস আই প্রকাশ জানান, নৃপেন এসপি স্যারের কাছে একটা অভিযোগ দিয়েছে। মুলত তার নিরাপত্তার বিষয়টি আমরা দেখতেছি। আর সে যে কোর্টে মামলাটি করেছে সেটি পিবিআই তদন্ত করতেছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করা হবে।