শীর্ষ সন্ত্রা-সী জলি-ল আদালত থেকে জা-মিনে এসে আবারও করছে বিভিন্ন অ-পরাধমূলক ক-র্মকাণ্ড

হেলাল শেখঃ বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ২০২৪ সালের ৫ আগষ্ট ছাত্র-জনতার উপর গুলি করে মানুষ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটিয়ে নিজে এসব মামলা থেকে কৌশলে বাঁচতে উল্টো ভুয়া বাদী সেজে অনেক সাধারণ মানুষের নামে মিথ্যা অভিযোগ এনে মিথ্যা মামলা করে সায়েব আলী জলিলসহ অনেকেই। কয়েকজন আটক হলেও অন্যদেরকে এখনো আটক করা হয়নি। এই সায়েব আলী জলিল শীর্ষ সন্ত্রাসী মুন্নার সহযোগী বলে পুলিশ জানায়।
শনিবার (৯আগষ্ট ২০২৫ই) জানা যায়, সায়েব আলী জলিল অস্ত্রসহ একাধিক মামলার আসামী। আশুলিয়ায় কে এই জলিল? মামলাবাজি, ফিটিংবাজি ও চুরি, ছিনতাই ও অস্ত্র মামলায় একাধিকবার পুলিশ ও র‍্যাব তাকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারা পাঠিয়েছেন, বর্তমানে এই জলিল কেরানীগঞ্জ কারাগারেই বন্দী রয়েছে। তার পরিবার তাকে জামিনের চেষ্টা করছেন বলে জানা গেছে, এই জলিল আশুলিয়াবাসী সাধারণ মানুষকে হয়রানি করে অতিষ্ঠ করে তুলেছে। তাই তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন ভুক্তভোগীরাসহ সচেতন মহল।
জানা গেছে, মোঃ আঃ জলিল, পিতা: মোঃ আঃ খলিল, মাতা: মোসাঃ কুলসুম বিবি, তার বর্তমান ঠিকানাঃ চারাবাগ,ডাকঘরঃ আশুলিয়া, বাসাইদ, ৪ নং ওয়ার্ড, আশুলিয়া ঢাকা। সিলেট বিভাগের সুনামগঞ্জ জেলার পৌরসভা’র ৭নং ওয়ার্ড রঙ্গার চর দর্পগ্রামে জলিল এর গ্রামের বাড়ি। সে কখনো আওয়ামীলীগ, কখনো বিএনপি, কখনো জামায়াত, কখনো আওয়ামীলীগ নেতা রাজু আহমেদ এর বাহিনীর লিডার, আরো অনেক পরিচয়ে বহুরূপী এই মোঃ আঃ জলিল তার অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড করে আসছে।
সূত্র-আশুলিয়া থানার মামলা নং ১৫, তারিখ ০৮/০৯/২০২৪ইং এই মামলার ভুয়া বাদী মোঃ সায়েব আলী জলিল মামলাবাজ প্রতারক চক্র, এরকম অনেক মামলার ভুয়া বাদী সেজে তারা সাধারণ মানুষের নাম দিয়ে অর্থনৈতিক ক্ষয়ক্ষতিসহ হয়রানি করার একাধিক অভিযোগ রয়েছে। এই সাহেব আলী জলিল ভুয়া বাদীর বিস্তারিত দেশ টিভি’র প্রায় ৫ মিনিটের সংবাদ ও যমুনা টিভি’র ৩৮ মিনিটের সংবাদ প্রকাশ হয়েছে, সেই সাথে বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হয়ে “বেড়িয়ে আসছে থলের বিড়াল”। জানা গেছে, এই সায়েব আলী জলিল এর বিরুদ্ধে অস্ত্র মামলা, ৫ আগষ্টের আন্দোলনে গুলি করা ও হত্যাচেষ্টা এবং হত্যা মামলাসহ ৫-৬টি মামলা রয়েছে, মোঃ আঃ জলিল অস্ত্র মামলায় হাজিরা দিতে গেলে ঢাকায় আদালত তাকে কারাগারে প্রেরণ করেছেন, এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত জলিল কারাগারে বন্দী আছেন।
উক্ত জলিলকে আবারও আশুলিয়া থানা পুলিশের হেফাজতে এনে একটু আদরযত্ন করলে তার কাছে ৫ আগষ্টের ছাত্র-জনতার হত্যার অনেক তথ্য পাওয়া যেতে পারে বলে অনেকেই অভিমত প্রকাশ করেন। তারা ৫ আগষ্টে গুলি করে সাধারণ ছাত্র-জনতাকে হত্যা কেন করছে ? আর এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা আড়াল করতে সাংবাদিক ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে বিভিন্নভাবে কেন হয়রানি করছে? তারা হত্যাচেষ্টা ও হত্যা মামলা এবং অস্ত্র মামলার আসামী, অনেকেই ধারণা করছেন যে, ৫ আগষ্ট থানার অস্ত্র লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের সাথে এই সায়েব আলী জলিল জড়িত থাকতে পারে। উক্ত ব্যাপারে সঠিকভাবে তদন্ত করে দোষীদেরকে আটকের পর তাদেরকে আইনের আওতায় আনার দাবী জানান ভুক্তভোগী পরিবার ও সচেতন মহল।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *