উল্লাপাড়ায় গৃহবধু রিনা হ-ত্যা মা-মলার আ-সামীদের গ্রে-ফতার করতে পারেনি পুলিশ

এম এ সালাম,
সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি :
সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার পশ্চিম মহেশপুর গ্রামের আলোচিত গৃহবধূ রিনা খাতুন (৪০) কে পিটিয়ে ও শ্বাসরোধ করে হত্যার ঘটনার দুই সপ্তাহ পার হলেও মামলার প্রধান আসামিসহ কোন আসামিকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। এতে ক্ষুব্ধ নিহত ব্যক্তির স্বজন ও পরিবারের লোকজন। পুলিশ বলছে, প্রধান আসামিসহ বাকিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

গৃহবধূ রিনা খাতুনকে পিটিয়ে ও শ্বাসরোধ করে হত্যার ঘটনায় স্বামীসহ ৭ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেছে রিনা খাতুনের সহোদর বড় ভাই আছাদুল আকন্দ। মামলার আসামিরা হলো- উপজেলার পশ্চিম মহেশপুর গ্রামের গোলবার মন্ডলের ছেলে আছাদুল মন্ডল (৪৮), শহিদুল মন্ডল (৫৫), জলিল মন্ডল (৫৮), শহিদুল মন্ডলের স্ত্রী জিহানুর বেগম (৫০), ছেলে জেলহক (৩২), রাকিব (২০), জলিল মন্ডলের স্ত্রী মেরজাহান (৫৫)।

মামলার বাদী নিহত গৃহবধূ রিনা খাতুনের সহোদর বড় ভাই আছাদুল আকন্দ সংবাদ কর্মীদের কাছে অভিযোগ করে বলেন, আমার সহোদর ছোট বোন রিনা খাতুনের ২৫/২৬ বছর পুর্বে একই গ্রামের আসামি আছাদুল মন্ডলের সঙ্গে পারিবারিক ভাবে বিবাহ হয়। বিবাহের পর বেশকিছু দিন ভালোই চলছিল তাদের সংসার। বছর দশেক পর থেকে কর্মে বিমুখ হয়ে পরে আছাদুল। খারাপ লোকদের সঙ্গে মিশতে শুরু করে। আমার বোন রিনা সহ আমার পরিবারের লোকজন আছাদুলকে সংশোধন করার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হই। ঘটনার দিন ২৩ জুলাই বুধবার স্ত্রী, ছেলে ও মেয়ের সাথে কোন রকম পরামর্শ ছাড়াই আছাদুল তার বসত বাড়ীর ৪ শতাংশ জায়গা ভাইদের নিকট বিক্রি করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। তার স্ত্রী রিনা এতে বাঁধা দিলে ক্ষিপ্ত হয়ে প্রথমে রিনাকে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। পরে আহত রিনাকে তার স্বামী ও পরিবারের লোকজন মিলিতভাবে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে তার ছেলের দক্ষিণ দুয়ারী ঘরের ধর্নার সাথে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে রাখে। এ ঘটনায় ২৪ জুলাই থানায় মামলার এজাহারে ৭ জনের বিরুদ্ধে বাদী হয়ে মামলা দায়ের করি। তিনি আরও বলেন, মামলা তদন্তের দায়িত্ব পান উল্লাপাড়া মডেল থানার তদন্ত ওসি নিয়ামুল হক। মামলা দায়েরের দুই সপ্তাহ পেরুলেও কোন আসামিকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।

এব্যাপারে মামলা তদন্ত কর্মকর্তা ও উল্লাপাড়া মডেল থানার তদন্ত ওসি মোঃ নিয়ামুল হক জানান, নিহতের পোস্ট মডেম রির্পোট এখনো পাইনি। তবে আসামি গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

উল্লাপাড়া সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার আসাদুজ্জামান শাকিল এ ব্যাপারে জানান, মামলাটি হত্যা নাকি আত্মহত্যা? এ ব্যাপারে পুলিশ অধিক তদন্ত করে দেখছে এবং ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেফতারেও চেষ্টা করছে।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *