August 2, 2025, 5:53 pm
এম এ আলিম রিপন,সুজানগর ঃ পাবনার সুজানগর উপজেলার স্বাস্থ্য ও পরিবার-পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ আলী মাজরুই রহমানকে অপসারণের দাবি জানানো হয়েছে। অব্যবস্থাপনা, দায়িত্বে অবহেলাসহ নানা ধরনের অনিয়মের অভিযোগ এনে শনিবার(০২ আগস্ট) মানববন্ধন থেকে তঁাকে অপসারণের দাবি করেছেন স্থানীয় বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ।
এদিন বেলা সাড়ে ১১টায় সুজানগরের সচেতন নাগরিকের ব্যানারে সুজানগর পৌর শহরের পাবনা-নাজিরগঞ্জ সড়কের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে এ মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়। মানববন্ধনে অংশ নিয়ে বক্তব্য দেন রুবেল শেখ, রিপন মোল্লা ও সন্টু শেখ প্রমুখ।
মানববন্ধনে অংশ নেওয়া রুবেল শেখ বলেন, কর্তব্য রোগীদের সেবা দেওয়া হলেও তিনি রাজশাহীতে থাকেন এবং প্রতি সপ্তাহের বেশিরভাগ দিনই কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকেন সুজানগর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ আলী মাজরুই রহমান, শুধু তাই নয় কর্মস্থলে মাসের বেশিরভাগ দিন অনুপস্থিত থাকলেও তিনি প্রতিমাসে নিয়মিত পুরো বেতন-ভাতা তুলছেন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের আদেশকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে এভাবে দিনের পর দিন দায়িত্বে অবহেলা করায় ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, নিম্ন আয়ের মানুষদের জন্য একমাত্র ভরসা সরকারি এ হাসপাতালে আসা রোগীরা সেবাবঞ্চিত হওয়ায় তার অপসারণ দাবি করছি। সন্টু সেখ নামে অপর এক ব্যক্তি বলেন, বর্তমান উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ আলী মাজরুই রহমানের পিতা রাজশাহী-৫ আসনের আওয়ামীলীগের শাসনআমলে সংসদ সদস্য ছিলেন এ কারণে আ.লীগের দোষর অভিযোগ করে তিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার অপসারণ দাবি জানান। এসব অভিযোগের বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার-পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ আলী মাজরুই রহমান তঁার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সঠিক নয় দাবি করে তিনি বলেন, মহলবিশেষের ষড়যন্ত্র ছাড়া আর কিছুই নয়। আমি মানুষকে সাধ্যমতো চিকিৎসা দিতে সব সময় চেষ্টা করি।
উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার বিরুদ্ধে এসব অভিযোগের বিষয়ে পাবনা সিভিল সার্জন ডাঃ আবুল কালাম আজাদ শনিবার
বলেন, সরকারি পদে বহাল থেকে কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকা এবং জনগণকে সেবা না দিয়ে বেতন-ভাতা তোলা সম্পূর্ণভাবে বেআইনি। কর্মস্থলে নিয়মিত উপস্থিত না থাকায় সুজানগর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তাকে পর পর ২ বার কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করা হয়েছে। এবং বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ অবগত করা হবে বলেও জানান তিনি।
প্রসঙ্গত, ১০টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা নিয়ে গঠিত সুজানগর উপজেলার তিন লাখ ৩২ হাজার মানুষের কাঙ্ক্ষিত চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে এ একটিমাত্র হাসপাতালকে ২০০২ সালে ৩১ শয্যা থেকে ৫১ শয্যায় উন্নীত করা হয়। এ হাসপাতালে ১০ জন জুনিয়র কনসালটেন্টের পদ থাকলেও বর্তমানে এ হাসপাতালে একজন জুনিয়র কনসালটেন্ট খাতা কলমে থাকলেও তিনি বর্তমানে পাবনা সদর হাসপাতালে ডেপুটেশনে রয়েছেন এবং মেডিকেল অফিসার ৯ জন থাকার কথা থাকলেও বর্তমানে রয়েছেন ৫ জন এবং ডেপুটেশনে ঢাকাতে রয়েছে অপর ৫ জন চিকিৎসক। এ কারণে চিকিৎসা সেবা না পেয়ে বেশিরভাগ রোগী নিয়ে ফিরে যেতে হয়।
খেঁাজ নিয়ে জানা গেছে, গত বছরের নভেম্বর মাসে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা হিসেবে যোগদান করেন ডাঃ আলী মাজরুই রহমান।
সুজানগর(পাবনা)প্রতিনিধি।।