ত্রিশালে স্বর্ণের পুতুল নিয়ে প্রচারিত সংবা-দের নি-ন্দা ও প্র-তিবাদ জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন

আরিফ রব্বানী।
স্টাফ রিপোর্টারঃ
ত্রিশাল উপজেলার হরিরামপুর ইউনিয়নের
মাগুর জোড়া গ্রামে স্বর্ণের পুতুল পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে প্রতারণা করে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার ব্যাপারে
হারিসা খাতুন এর অভিযোগকে মিথ্যা, বানোয়াট ও সাজানো ঘটনা বলে দাবী করে এর প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে একই এলাকার ফয়জুর রহমান।

বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) দুপুরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি দাবী করেন- আমার একই গ্রামের বাসিন্দা হারিসা খাতুনের বক্তব্যের প্রেক্ষিতে
বিভিন্ন ইউটিউব চ্যানেলে আমার বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করে। সংবাদে হারিসা খাতুন তার বক্তব্যে বলে স্বর্ণের পুতুল পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে আমি তার কাছ থেকে প্রতারণা করে টাকা নিয়েছি বলে অভিযোগ করেছেন। অভিযোগকারী হারিসা এক এক চ্যানেলে এক এক তথ্য প্রদান করেছেন। অর্থাৎ আইবিএম টেলিভিশনে বলেছে ২০ লাখ টাকা নিয়েছে জাগ্রত টিভিতে বলেছে ৪৫ লাখ আবার ফেসবুকে বলেছেন ৪০ লাখ। মহিলার দেওয়া তথ্য ও বিষয় বস্তুটি নিয়ে এবং বিভিন্ন ব্যক্তির কমেন্ট থেকে ভিন্ন তথ্য উঠে এসেছে । সুনির্দিষ্ট তথ্য ছাড়া প্রচারিত সংবাদের বিষয়টি আপত্তিকর বলে দাবী করে এর প্রতিবাদ জানিয়ে তিনি বলেন- মুলতঃ বেশ কয়দিন পুর্বে আমার পাশের বাড়ির একটি শিশু পানিতে পড়ে মৃত্যুবরণ করার পর পাশের বাড়ির লোকজন তাকে কবর স্থানে মাটি দিতে বাধা প্রদান করলে আমি মৃত অসহায় পরিবারের পক্ষে কথা বলি এবং সাংবাদিকদের কাছে সাক্ষাতকার প্রদান করি এতে এলাকার কিছু রাজনৈতিক ব্যক্তিরা তাদের আধিপত্য হারানোর ভয়ে আমার প্রতি ক্ষুব্ধ হয় এবং আমাকে বিভিন্নভাবে হুমকি দেয়। তারা এলাকায় সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজী ও জুয়ার বোর্ড পরিচালনাসহ বিভিন্ন অবৈধকাজে লিপ্ত। এসব রাজনৈতিক ব্যক্তিরা আমার উপর প্রতিশোধ নিতে ষড়যন্ত্র করে হারিসা খাতুনকে দিয়ে আমার উপর মিথ্যা বানোয়াট অভিযোগ তুলে বিভিন্ন গণমাধ্যম প্রচার করেছে। তিনি হারিসার এই নাটকীয় ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ারও দাবী করেন।

এনপিএস মানবাধিকার সংস্থা ত্রিশাল উপজেলা শাখার সভাপতি সাংবাদিক এটিএম মনিরুজ্জামান জানান- ফয়জুরের সাথে সংবাদে এনপিএসের নাম জড়নো হয়েছে। যেহেতো ফয়জুর আমাদের এনপিএসের সদস্য তাই এর সত্যতা যাচাইয়ের মাধ্যমে
ব্যবস্থা নিতে এনপিএস মানবাধিকার সংস্থা ত্রিশাল শাখা পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত টিম গঠন করেছেন যাকে আগামী চার কর্ম দিবসের মধ্যে সঠিক অনুসন্ধানের মাধ্যমে তদন্ত পূর্বক রিপোর্ট প্রদানের জন্য বলা হয়েছে। তিনি আরো জানান-যদি প্রকৃত সত্য ঘটনা হয় এর সাথে ফয়জুর রহমান জড়িত থাকে তবে তার ব্যাপারে মানবাধিকার সংস্থা তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় গ্রহণ করিবে। আর যদি বিষয়টি মিথ্যা বানোয়াট ভিত্তিহীন হয় তবে মহিলা এবং তার সাথে জড়িত ব্যক্তিবর্গদের ও মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করায় তাদের বিরুদ্ধে সংস্থাটি আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করিবে বলেও জানান এনপিএসের নেতৃবৃন্দ ।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *