July 29, 2025, 7:19 pm
ময়মনসিংহে বিশেষ ক্ষমতা আইনে যুবলীগ কর্মী মো: আল আমিনকে (৩২) গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠিয়েছে কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশ। তবে এই গ্রেপ্তারের ঘটনাকে পাশ কাটিয়ে ভিন্নভাবে নিতে ওসি শিবিরুল ইসলামকে নিয়ে মিথ্যা অপপ্রচার করে সংবাদ সম্মেলন করেছে গ্রেফতারকৃত আলামিনের মা তার পরিবারের সদস্যরা। তার এই সংবাদ সম্মেলনকে অনেকে ওসির বিরুদ্ধে একটা ষড়যন্ত্র হিসাবেই দেখছেন ময়মনসিংহের সাধারণ মানুষ।
স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীরা জানায়- ওসি শিবিরুল ইসলাম ময়মনসিংহর কোতোয়ালি মডেল থানায় যোগদানের পর থেকে নগরীর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়নে দিনরাত শ্রম দিয়ে যাচ্ছেন। অপরাধীদের গ্রেফতারের পাশাপাশি বিশেষ ক্ষমতা আইনে দায়ের হওয়ায় মামলার আসামিদের দেওয়া তথ্যমতে অন্যান্য আসামিদের গ্রেফতারের মাধ্যমে ময়মনসিংহে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখতে কাজ করছেন। বিভিন্ন নাশকতার মামলায় গ্রেফতার করছেন ফ্যাসিবাদের দোসরদের। অভিযোগ উঠেছে সেসব ফ্যাসিবাদের দোসররা বিভিন্নভাবে ওসির বিরুদ্ধে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে।
থানা-পুলিশ সূত্র জানায়, চলতি বছরের ১৮ ফেব্রুয়ারি সদর উপজেলার দাপুনিয়া এলাকায় সরকারবিরোধী শ্লোগান দিয়ে যানবাহন ভাংচুর ও নাশকতামূলক কর্মকান্ড করে যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। এ ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে নাশকতামূলক কর্মকান্ডে ব্যবহৃত মশাল, বাশের লাঠি ও ইটের টুকরা জব্দ করে থানায় একটি মামলা দায়ের করে। ওই মামলায় গ্রেপ্তার হওয়ায় আসামিদের দেওয়া তথ্যে গত ২৬ জুলাই যুবলীগ কর্মী আল আমিনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এর পরদিন গত ২৭ জুলাই ওই আসামিকে সংশ্লিষ্ট মামলায় আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
তবে এ ঘটনায় মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) দুপুরে ময়মনসিংহ প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে ছেলেকে নির্দোষ দাবি করেছেন মা মোছা: আনারা বেগম। সংবাদ সম্মেলনে তিনি দাবি করেন- আল আমিন নির্দোষ, সে কখনো রাজনীতির সঙ্গে জড়িত নয়। জমি সংক্রান্ত বিরোধে তাকে থানায় ডেকে এনে অন্যায়ভাবে গ্রেপ্তার করে মিথ্যা মামলায় কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এনিয়ে উল্টো অভিযোগ করেছেন স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীরা। তাদের দাবি- আল আমিন যুবলীগের সক্রিয় কর্মী এবং পলাতক সংসদ সদস্য মোহিত উর রহমান শান্তর ঘনিষ্ঠভাজন। বিগত ১৫ বছর সে আওয়ামী লীগের প্রভাব খাটিয়ে সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজী, জমি দখলসহ সব ধরনের অপরাধের সঙ্গে জড়িত ছিল।
ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: শিবিরুল ইসলাম বলেন, গ্রেপ্তার হওয়া আল আমিন একটি বিস্ফোরক মামলার সন্ধিগ্ধ আসামি। তবে আমি তাকে চেহারায় চিনতাম না। পরে সংশ্লিষ্ট সোর্সের দেওয়া তথ্যমতে ওই আসামিকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে, থানায় ডেকে আনার অভিযোগ মিথ্যা।
এবিষয়ে জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) কাজী আকতার উল আলম বলেন, আসামি আল আমিন যুবলীগের সক্রিয় কর্মী। বিশেষ ক্ষমতা আইনে দায়ের হওয়ায় একটি মামলার আসামিদের দেওয়া তথ্যমতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এনিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানোর সুযোগ নেই।
কোতোয়ালি মডেল থানা সুত্র জানা গেছে – গত ২৪ জুন দায়িত্ব গ্রহণ করেন দক্ষ ও মেধাবী ওসি মুহাম্মদ শিবিরুল ইসলাম।দায়িত্ব পালনের প্রথম দিন থেকেই তার কণ্ঠে ছিল দৃঢ় বার্তা,অপরাধী যতই প্রভাবশালী হোক, ছাড় নেই”। তার এই বার্তার কারণে অপরাধীরা এলাকা ছেড়ে পালাতে বাধ্য হচ্ছে।
ইতিমধ্যে ওসি শিবিরুল ইসলাম এর নেতৃত্বে পুলিশের অভিযানে নগরীর কেওয়াটখালীর মাদকরানী হামে ও সীমা গ্রেফতার, সুরমা গ্রেফতার,নগরীর রমেশসেন রোডের (নিষিদ্ধ পল্লী) একাধিক বাড়ী তল্লাশি করে ১০০০ লিটার বাংলা মদ উদ্ধার করাসহ ১৫ জন গ্রেফতার করা,তাজমহল মোড়ে অবস্থিত গেস্ট হাউস গুলোতে অভিযান করে অসামাজিক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকায় কিছু সংখ্যক নারী-পুরুষকে গ্রেফতার,
নগরীর দিগার কান্দা এলাকা থেকে বিপুল পরিমাণ ভারতীয় মদ (আনুমানিক দশ বস্তা) ও একটি প্রাইভেটকার জব্দ,৩০২ বোতল ভারতীয় মদ উদ্ধারসহ পাশাপাশি ময়মনসিংহে এবার নজীর বিহীন জননিরাপত্তা নিশ্চিত করেছেন। ,হারিয়ে যাওয়া মোবাইল ফোন উদ্ধার করে প্রকৃত মালিকের হাতে তুলে দেওয়া,ওয়ারেন্টের আসামী গ্রেফতারে ব্যাপক আলোচিত হওয়াসহ গত ৫ই আগস্টের পর ১হাজার লিটার মদ উদ্ধার, দশ বস্তা ভারতীয় মদ উদ্ধারসহ সর্বোচ্চ কিছু উদ্ধার অভিযান চালিয়ে তার দায়িত্ব পালনে নজির সৃষ্টি করে আলোচনার স্থান দখল করে নিয়েছেন ওসি শিবিরুল ইসলাম। তিনি থানায় যোগদানের পর থেকে থানায় কোন তদবির বাণিজ্যে সুবিধা করতে পারছেনা কিছু সংখ্যাক দালালেরা, অপরাধীদের আইনের আওতায় আনতে তার আপোষহীন নেতৃত্বের কারণে দালাল চক্রটি ওসির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে বলেও বিভিন্ন মহলে গুঞ্জন চলছে।