July 29, 2025, 7:21 pm
আনোয়ার হোসেন,
নেছারাবাদ উপজেলা সংবাদদাতা ।।
পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় পলিথিন ও প্লাস্টিক বর্জনের উদ্যোগ হিসেবে নেছারাবাদ উপজেলার ব্যবসায়ীদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে পাটের তৈরি ব্যাগ। ‘পলিথিন-প্লাস্টিক প্রতিরোধে বাজার কমিটি ও ব্যবসায়ীদের করণীয়’ শীর্ষক এক কর্মশালায় পৌর শহরের ৩০ জন ব্যবসায়ী ও স্থানীয় ব্যবসায়ীদের মাঝে পাঁচ হাজার পাটের ব্যাগ বিতরণ করা হয়।
মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) নেছারাবাদ উপজেলার তৃণা কমিউনিটি সেন্টারে অনুষ্ঠিত এই কর্মশালার আয়োজন করে। সুন্দরবন প্রকল্পের পক্ষে কর্মশালাটির বাস্তবায়নে সহযোগিতা করে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা রূপান্তরের প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সাহিদা বানু সোনিয়া।
কর্মশালার প্রধান অতিথি ছিলেন নেছারাবাদ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. জাহেদুল ইসলাম ।এ সময় তিনি বলেন, এখানে ব্যবসায়ীরা যারা উপস্থিত আছেন আপনারা পলিথিনে মালামাল না দিয়ে কাগজের ঠোঙা অথবা পরিবেশ বান্ধব ব্যাগ ক্রেতাদের ধরিয়ে দিবেন এবং তাদের সচেতন করবেন। পলিথিনের সৃষ্ট মাইক্রো প্লাস্টিক আমাদের পরিবেশ ও স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হুমকি স্বরুপ। তাই আমাদের সকলের উচিত বিকল্প উপকরণ ব্যবহারে পথ দেখানো।”
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, শহীদ স্মৃতি ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যক্ষ মোঃ মাহমুদুর রহমান খান। এ সময় সহকরী অধ্যক্ষ বলেন,মায়ের দুধে মাইক্রো প্লাস্টিকের উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে প্লাস্টিক আমাদের জীবনের সাথে মিশে গেছে। সকাল বেলা টুথব্রাসটি হাতে নিয়ে দেখি প্লাস্টিক, সেম্পুর প্যাকেটটি প্লাস্টিকের, চিরুনিটি প্লাস্টিকের, পানির গ্লাসটি পর্যন্ত প্লাস্টিকের। সুতারং আমাদের এই প্লাস্টিক থেকে বাচার উপায় আমাদেরকেই করতে হবে। প্লাস্টিকের বিকল্প আমাদের ব্যাবহার করতে হবে পাটের ব্যাগ ব্যাবহার করতে হবে।
সাংবাদিক আনোয়ার হোসেন বলেন, “মানুষকে বোঝাতে হবে, শুধু পরিবেশ নয়—প্লাস্টিকের ক্ষতি তাদের নিজের জীবনেও পড়ছে। একমাত্র সম্মিলিত উদ্যোগই পারে এই ভয়াবহতা থেকে আমাদের মুক্তি দিতে।
নেছারাবাদ উপজেলা যুব ফরাম এর আহবায়ক সূবর্না আক্তার এর সভাপতিত্বে ও হারিসুল ইসলাম এর সঞ্চালনায় আরো উপস্থিত ছিলেন যুব ফোরাম এর সদস্যরা এবং বন্দর ব্যবসায়ীরা পরিশেষে ব্যবসায়ীদের মাঝে পরিবেশ বান্ধব পাটের ব্যাগ বিতরণ করা হয়।
উল্লেখ্য, এ ধরনের উদ্যোগ পরিবেশবান্ধব জীবনযাপনে সাধারণ মানুষকে উৎসাহিত করবে বলেও মনে করছেন স্থানীয় সচেতন মহল।