দোয়ারাবাজারে নিরীহ পরিবারকে ইউপি সদস্যের হুম-কি” জীবনের নি-রাপত্তা চেয়ে সংবাদ সম্মেলন

হারুন অর রশিদ।।
দোয়ারাবাজার (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ
সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার বোগলাবাজার ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্য জামিল খাঁন কর্তৃক হত্যার হুমকিতে জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে ওয়াহাব আলীর পরিবার।

সোমবার (২৮ জুলাই) দুপুর ১ টায় দোয়ারাবাজার উপজেলা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন বোগলাবাজার ইউনিয়নের নোয়াডর গ্রামের ওয়াহাব আলী’র স্ত্রী ও পুত্র সন্তানেরা। এর আগে ঘটনার দিন শনিবার দুপুরে দোয়ারাবাজার থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ওয়াহাব আলী’র পুত্র সজিব মিয়া

লিখিত সংবাদ পাঠে সজিব মিয়া বলেন,
শনিবার (২৬ জুলাই) সকাল ১০ টার দিকে একই গ্রামের বর্তমান ইউপি সদস্য জামিল খাঁন’র গরু ওয়াহাব আলী’র পুত্র সজিব খাঁন’র ফসলি জমিতে রোপন করা ধানের চারা খেয়ে ফেলে। এতে সজিব মিয়া গরুটির মালিকের পরিচয় জানতে চাইলে জামিল খাঁনের ছোট ভাই আল-আমিন খাঁন গরুটি তাদের নয় বলে অস্বীকার করেন। পরে সজিব মিয়া একটি পাইপ দিয়ে গরুর শরীরে আঘাত করলে গরুটি জামিল খাঁনের বাড়িতে চলে যায়। পরবর্তীতে সজিব মিয়া বাড়িতে চলে গেলে কিছুক্ষণ পর আল আমিন খাঁন উল্টো গিয়ে জিজ্ঞেস করে যে গরুর শরীরে আঘাত করলে কেনো! এবং আল-আমিন খাঁন অকাট্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। এসময় সজিব মিয়া গালিগালাজ করতে বারন করলে আল-আমিন খাঁন হুমকি দিয়ে চলে যায়। হুমকি দিয়ে বলে এর পরিনাম বুঝতে পারবি। এর কিছুক্ষণ পর ইউপি সদস্য জামিল খাঁন এবং আল -আমিন খাঁনের নেতৃত্বে তার ভাই লিটন খাঁন ও জামিল খাঁনের পুত্র রনি খাঁনসহ বাড়ির লোকজন দেশীয় অস্ত্র, দা,ছুরি ও লাঠিসোঁটা দিয়ে সজিব মিয়া’র বাড়িতে হামলা ও ভাংচুর করে নগদ ৫ লাখ টাকা, স্বর্নালংষ্কার ও বসত ঘরে আসবাবপত্র লুটপাট করে নিয়ে যায়। অভিযোগ করে বলেন, এবিষয়ে শনিবার বিকালে দোয়ারাবাজার থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করলেও থানা পুলিশের কোন তৎপরতা পায়নি ভুক্তভোগী পরিবার।

সংবাদ সম্মেলনে তারা আরও বলেন, জামিল খাঁনের একটি সিন্ডিকেট বাহিনী আছে। তাদের দিয়ে সীমান্ত চোরাচালান ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করে। নিরীহ মানুষের জমিজমা দখল করে। দল ক্ষমতায় না থাকলেও জামিল খাঁনের ভয়ে এলাকায় কেউ তাদের বিরোধিতা করতে সাহস পায়না।
এঘটনায় থানায় অভিযোগ দায়ের করায় জামিল খাঁন তার ছেলে এবং পুত্ররা ভুক্তভোগী পরিবারকে হুমকি প্রদান করে, যদি থানায় দায়ের করা অভিযোগ তুলে না নেওয়া হয়। তাহলে তাদেরকে এর খেসারত দিতে হবে। তাদেরকে প্রানে বাঁচতে দিবেনা। জামিল খাঁন কর্তৃক এমন হুমকির অভিযোগে নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছে নিরীহ এই পরিবার। নিজেদের নিরাপত্তা পেতে প্রশাসনের সঠিক ভূমিকা ও হস্তক্ষেপ চেয়ে এই সংবাদ সম্মেলন করে ভুক্তভোগী পরিবার।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, ভুক্তভোগী আব্দুল ওয়াহাব মিয়া’র পুত্র মামলার বাদী সজিব খাঁন,শরিফ খাঁন, আব্দুল ওয়াহাব মিয়া’র স্ত্রী জমিলা খাতুন।
এসময় নোয়াডর গ্রামের নুরান খানের পুত্র এমেল খাঁন,মোজাম্মেল খাঁন এর স্ত্রী বিলকিস আক্তার, মোশাররফ খাঁন এর স্ত্রী সগিতা আক্তার ও উপজেলায় কর্মরত বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিকস মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।

থানায় দায়ের করা অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এএসআই আশরাফ উদ্দিন বলেন,রবিবার ঘটনাস্থলে গেলে বাদী সজিব মিয়াকে বাড়িতে না পাওয়ায় তদন্ত করা হয়নি। আজ আবারও যাবো।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *