বিশেষ সংবাদদাতাঃ
কানাডা থেকে ফিরেই হৃদয়বিদারক এক ঘটনা শুনে স্থির থাকতে পারলেন না চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। এক মুহূর্ত দেরি না করে তিনি ছুটে গেলেন হালিশহরের আনন্দিপুর এলাকায়, খোলা নালায় পড়ে মৃত্যুবরণ করা শিশু হুমায়রা আক্তারের শোকাহত পরিবারের পাশে দাঁড়াতে।
গত শুক্রবার (২৫ জুলাই) বিকেলে মেয়র স্ব-শরীরে হাজির হন ওই পরিবারে, ছোট্ট হুমায়রার বাবা-মা ও স্বজনদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাতে। মেয়রের চোখেও ছিল বিষাদ ও আবেগ। তিনি বলেন,“এই মর্মান্তিক ঘটনার পরপরই আমি উদ্ধার কার্যক্রম তদারকির নির্দেশ দিয়েছি। চসিকের পক্ষ থেকে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ অনুসন্ধান করা হয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “এ ধরনের হৃদয়বিদারক ঘটনা আর যেন না ঘটে, সে লক্ষ্যে নগর পরিকল্পনার আওতায় সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞ ও সংস্থার পরামর্শ নিয়ে সুপারিশমালা প্রণয়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।” মেয়রের মতে, এসব সুপারিশ কার্যকরভাবে বাস্তবায়ন করা গেলে নগরবাসীর জীবন অনেকটাই নিরাপদ হবে।
শিশু হুমায়রার মৃত্যু যে নগরবাসীর হৃদয়ে গভীর ক্ষত তৈরি করেছে, তার প্রমাণ মিলল মেয়রের এই সহমর্মীতা-ভরা উদ্যোগে। পুরো আনন্দিপুর এলাকায় এক অনির্বচনীয় নীরবতা, যেন সকলে হুমায়রার শোক ভাগ করে নিচ্ছে।
সাক্ষাৎকালে মেয়রের সঙ্গে ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও সাবেক কাউন্সিলর আবুল হাশেম, মো. কামরুল ইসলাম, হালিশহর থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি মোশারফ হোসেন ডিপটি, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক জিয়াউর রহমান জিয়া প্রমুখ।
উল্লেখ্য, গত ৯ জুলাই বিকেলে হালিশহর থানাধীন আনন্দিপুর এলাকায় খোলা নালায় পড়ে মৃত্যু হয় শিশু হুমায়রা আক্তারের। এ ঘটনা চট্টগ্রামবাসীর মনে গভীর দুঃখ ও ক্ষোভের জন্ম দেয়।
ছবির ক্যাপশন:
নালায় পড়ে নিহত শিশু হুমায়রার শোকাহত পরিবারের পাশে দাঁড়িয়ে সমবেদনা জানান চসিক মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন।
Leave a Reply