July 26, 2025, 7:26 am
গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধিঃ গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার কেতাব উদ্দিনের কাকুতি মিনতি কেউ কানেই তুলছে না।
জানা গেছে, কেতাব উদ্দিন উপজেলার শান্তিরাম ইউনিয়নের মধ্য পরাণ গ্রামের মৃত হাছিম উদ্দিনের ছেলে। সে পেশায় একজন দিন মজুর। কেতাব উদ্দিন দীর্ঘদিন থেকে তার বাবার রেখে যাওয়া পৈতৃক সম্পত্তি উদ্ধারের জন্য চেয়ারম্যান, মেম্বার ও জনপ্রতিনিধিদের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন। কিন্তু দুঃখের বিষয় হলেও সত্য অসহায় কেতাব উদ্দিনের কথা কেউই কানেই তুলছে না। তার বর্ণনা মতে সিএস ও এসএ খতিয়ান অনুযায়ী তার বাবা মৃত হাছিম উদ্দিন ৪ একর ৮৮ শতক জমি রেখে মারা যান। কিন্তু পরবর্তীতে তার ভাগি শরীক বশিরের ছেলেরা ও হাকিমের ছেলেরা বর্তমান হাল খতিয়ান সৃজন করে ওইসব জমি ভোগ দখল করে আসছে। কেতাব উদ্দিন একাধিকবার গ্রাম শালিশ ডেকে পেপারস দেখতে চাইলে বশীর ও হাকিমের ছেলেরা কোন সাড়া দেয় নি। অপরদিকে হাকিমের বড় ছেলে আব্দুল জব্বারকেও পৈতৃক সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। এমনকি জব্বারের ছেলে মুজাফফরকে বিভিন্নভাবে লাঞ্ছিত করা হচ্ছে। কেতাব উদ্দিন তার পৈতৃক সম্পতি উদ্ধারের জন্য স্থানীয় চেয়ারম্যান, মেম্বার, জনপ্রতিনিধি ও বিভিন্ন দলের নেতাকর্মীদের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন।কিন্তু দুঃখের বিষয় হল অসহায় কেতাব উদ্দিন এর কথা কেউই শুনছে না। তাই তিনি এই প্রতিনিধিকে জানান, আমি দীর্ঘদিন থেকে আমার বাবার সম্পত্তি বশির ও হাকিমের ছেলেরা কোন সূত্রে ভোগ দখল করে খাচ্ছে। তারা কোন প্রকার পেপার দেখাচ্ছে না। খালি বলে তারা জমি কিনছে। এ নিয়ে আদালতে মামলা করা হলে কাগজ দেখাতে তারা ব্যর্থ হয়েছে। যার মামলাননং-১১৫/৯৮। বশিরের ছেলে মনসুর চেয়ারম্যান হওয়ায় বিষয়টি সকলে এড়িয়ে যান। এ নিয়ে কেতাব উদ্দিন শান্তিরাম ইউনিয়নের গঙ্গসারহাট বাজারে গত ১৯/৭/২৫ইং তারিখে সকাল ১০ ঘটিকার সময় একটি সালিস ডাকেন পেপারস উপস্থিত করার জন্য। কিন্তু প্রতিবারের মত এবারও তারা মিটিংয়ে উপস্থিত হয় নাই।এ ব্যাপারে স্থানীয় চেয়ারম্যান এবিএম মিজানুর রহমান খোকনের সাথে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি। বিষয়টি উদ্ধতন মহলের নিকট খতিয়ে দেখার দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগী কেতাব উদ্দিন।