July 26, 2025, 8:40 am
আনোয়ার হোসেন,
নেছারাবাদ উপজেলা সংবাদদাতা।।
আটঘর কুড়িয়ানা ইউপি সদস্যের নেতৃত্বে আন্দাকুল গ্রামে একটি বাণিজ্যিক খালের মোহনা ও পর্যটনকেন্দ্রের খাল দখল করে দুটি দোকানঘর নির্মাণের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
অভিযুক্ত সবুজ মজুমদার নেছারাবাদ উপজেলার ৪নং আটঘর কুড়িয়ানা ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান (দায়িত্বপ্রাপ্ত) হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
জানা গেছে, উপজেলার আটঘর কুড়িয়ানা ইউনিয়ন দক্ষিণাঞ্চলের বাংলার আপেলখ্যাত পেয়ারা এবং বিখ্যাত আমড়ার রাজ্য হিসেবে পরিচিত। এ কারণে ওই ইউনিয়নটি একটি অঘোষিত পর্যটন এলাকা হিসেবে পরিচিত। গ্রামের ভেতর থেকে বয়ে যাওয়া প্রধান খালের সঙ্গে সংযুক্ত ওইসব খাল। খাল দিয়ে চাষিরা নৌকা করে পেয়ারা বেচাকেনা করেন এবং দেশি-বিদেশি পর্যটকরা ট্রলার ও নৌকায় এই খালটি চলাচলের জন্য ব্যবহার করে থাকেন।
এমনকি যাতায়াতের জন্য নৌকা ও ট্রলারে করে আদমকাঠি, ভীমরুলি, সহ সাত আটটি গ্রামের মানুষ ঐ খালটি ব্যবহার করে । পেয়ারা ও আমড়া মৌসুমে ওই খাল দিয়ে নৌকা এবং পর্যটকদের ট্রলার চলাচল করে। খালের দুই পাড় দখল করে দোকানঘর নির্মাণে অস্তিত্ব হারানোর মুখে পড়বে খাল ও পর্যটনকেন্দ্রটি।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত ইউপি সদস্য ও প্যানেল চেয়ারম্যান সবুজ মজুমদার বলছেন, তার জমিতে সরকার খাল কেটেছে। তাই খাল সরকারি হলেও জমি তার। এখন জায়গাটি দরকার হচ্ছে বলে দুজন গরিব মানুষকে ওই দোকানঘর তুলতে দেওয়া হয়েছে।
স্থানীয়রা বলছেন, আন্দাকুল ও জিন্দাকাঠি গ্রামের সংযোগকৃত ওই খাল আমাদের অতি দরকারি। খাল দিয়ে পেয়ারা ও আমড়া মৌসুমে শত শত নৌকা এবং ব্যবসায়ী ও পর্যটকদের ট্রলার চলাচল করে। এভাবে খালের মুখ আটকে দখল করলে খালটি শিগগির অস্তিত্ব হারাবে। ভোগান্তিতে পড়বে হাজার হাজার মানুষ। তারা বলেন, ইউপি সদস্য ও দায়িত্বপ্রাপ্ত প্যানেল চেয়ারম্যান সবুজ মজুমদার ক্ষমতাবলে তার নেতৃত্বে ওই দোকানঘর নির্মাণ করছেন।
সরেজমিন বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) দুপুরে দেখা গেছে, খালের একপাশে একটি দোকানঘর নির্মাণ সম্পন্ন হয়েছে। অন্য একপাশ দিয়ে নতুন আরও একটি দোকানঘর তৈরি হচ্ছে। স্থানীয় সমরেশ মজুমদার ও শ্যামল মজুমদার নামে দুজন লোক ওই দোকানঘর তুলছেন।
এ বিষয়ে আটঘর কুড়িয়ানা ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তা মো. খালেদ হোসেন সাউথ বাংলা নিউজকে জানান, বিষয়টি আমি জানি না। অভিযোগের সত্যতা থাকলে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
নেছারাবাদ উপজেলা সংবাদদাতা।