July 25, 2025, 11:11 pm
এস.এম. সাইফুল ইসলাম কবির :প্রয়োজনীয় রাষ্ট্রসংস্কার, গণহত্যার বিচার এবং সুষ্ঠু-নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত করতে প্রোপোরশনাল রিপ্রেজেন্টেশন (সংখ্যানুপাতিক) পদ্ধতি চালুর দাবি জানিয়ে এবং দেশ ও ইসলাম বিরোধী সকল ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর, চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম।
বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) বিকেল ৫টায় বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলার কাপুড়িয়া পট্টিতে আয়োজিত এক বিশাল গণসমাবেশে তিনি বলেন, ‘বিদেশী প্রেসক্রিপশন বাস্তবায়নকারী তাবেদার ও চাঁদাবাজ দখলদারদের এদেশের মাটিতে কোনো ঠাঁই নেই। আমরা ফ্যাসিস্টদের তাড়িয়েছি, আর তাদের ফিরে আসার পথ রুদ্ধ করবো।’
গণসমাবেশের সভাপতিত্ব করেন ইসলামী আন্দোলন মোরেলগঞ্জ উপজেলার সভাপতি মাওলানা এইচএম সাইফুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন নায়েবে আমির হাফেজ মাওলানা আব্দুল আউয়াল, কেন্দ্রীয় নেতা প্রিন্সিপাল মাওলানা আব্দুল মজিদ এবং জামায়াতে ইসলামীর বাগেরহাট-৪ (মোরেলগঞ্জ-শরণখোলা) আসনের প্রার্থী অধ্যক্ষ আব্দুল আলীম।
এছাড়া বক্তব্য রাখেন বাগেরহাট জেলা ইসলামী আন্দোলনের সভাপতি হাফেজ মাওলানা মাহফুজুর রহমান, সেক্রেটারি হাফেজ মাওলানা মোশাররফ হোসাইন, মাওলানা ইউসুফ ইকবাল, মনোনীত প্রার্থী মাওলানা ওমর ফারুক বিন নূরী, শিক্ষক রুহুল আমীন সরদার, উপজেলা সেক্রেটারি মাওলানা আসাদুল্লাহসহ আরও অনেকে।
সমাবেশ শুরুর আগে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে নেতাকর্মীরা খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে উপস্থিত হলে কাপুড়িয়া পট্টি জনসমুদ্রে রূপ নেয়। প্রবল বৃষ্টি উপেক্ষা করে নেতাকর্মীরা সমাবেশস্থলে দীর্ঘক্ষণ অবস্থান করেন এবং চরমোনাই পীর সাহেবের বক্তব্য মনোযোগ দিয়ে শ্রবণ করেন। পীর সাহেব চরমোনাই আরও বলেন, “ইসলামী শাসন ব্যবস্থার মাধ্যমেই দেশে প্রকৃত শান্তি প্রতিষ্ঠা সম্ভব। তাই আগামী নির্বাচনে হাতপাখা প্রতীকে ভোট দিয়ে ইসলামী শাসন প্রতিষ্ঠায় সকলকে একযোগে কাজ করতে হবে।”
গণসমাবেশ শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হলেও এর প্রভাব এলাকায় ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করে। স্থানীয়ভাবে এ সমাবেশকে ইসলামী আন্দোলনের সাংগঠনিক শক্তির বড় বহিঃপ্রকাশ হিসেবে দেখা হচ্ছে।