July 24, 2025, 10:39 pm
আমিরুল ইসলাম কবির,
স্টাফ রিপোর্টারঃ
পলাশবাড়ীতে মুসুল্লীদের প্রসাব ও অযু’র দুর্গন্ধযুক্ত পানিতে পিয়ারী বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের চরম দুরাবস্থা বিরাজ করছে।
গাইবান্ধার পলাশবাড়ী পিয়ারী পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় এবং থানা কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে যাতায়াতের এই
গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাটি মাত্র কয়েকমাস আগে নির্মাণ করা হয়। কিন্তু, কামসাড়া-যেনোতেনো লোক দেখানো নির্মাণ করায় চরম দুরাবস্থার মধ্যে পথচারিরা।
মসজিদের মুসুল্লীদের প্রসাব এবং অযু’র পানি নিষ্কাশনের জন্য
মাত্র কিছুদিন আগে সংস্কারকৃত ড্রেনটিও এখন প্রায় অকার্যকর। বিদ্যালয়টির নতুন ভবন নির্মাণের জন্য মাটি অপসারণ করা হয়।ওইস্থানে সৃষ্ট গর্ত (ডোবা) মসজিদের মুসুল্লিদের প্রসাব ও অযু’র পানি একাকার হয়ে জলমগ্ন হয়ে পড়েছে ডোবাটি।
জমাটবাধা দুর্গন্ধযুক্ত পানির অসহনীয় দুর্গন্ধে স্কুলের শিক্ষক -কর্মচারী,শিক্ষার্থীরা নাসিকা বন্ধ করেও টিকতে পারছেন না। দুরূহ হয়ে উঠেছে স্কুল চত্বরে অবস্থান
করা।
যুগ পাল্টিয়েছে। আপনার সমস্যা-তাতে আমার কি।
কে শোনে কার কথা। দেখার যেন কেউই নেই। যাঁদের সমস্যা তাঁরাই বুঝেন। অন্যের তাতে কিচ্ছু আসে যায় না। মসজিদের নোংরা পানিতে ডোবাটি যেন মজা পুকুরে পরিণত হয়েছে। ফলে স্কুল চত্বরের স্বাস্থ্যকর
পরিবেশ অস্বাস্থ্যকর হয়ে উঠায় শিক্ষার্থীদের পড়ালেখাসহ সার্বিক কার্যক্রম বিপন্ন হয়ে পড়েছে।
পলাশবাড়ী পৌরসভার অর্থায়নে নির্মিত হেয়ারিং রাস্তাটিতে বিছানো ইটগুলো উঠে গিয়ে খানা-খন্দের
সৃষ্টি হয়েছে। স্কুল শিক্ষার্থী ও মুসুল্লীসহ ভূক্তভোগী মহল মারাত্মক বিব্রতকর পরিস্থিতির সম্মুখীন হযে পড়েছেন। সাধারন পথচারীরা বলছেন রাস্তাটি আগেই ভালো ছিল।আরো ভালো করতে গিয়ে বরং মরার উপর খাড়ার ঘাঁ হিসেবে দেখা দিয়েছে।
এক প্রশ্নের জবাবে পিয়ারী বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক
মাহবুবুর রহমান মিল্টন বড়ই আক্ষেপের সুরে বলেন,যাবো কোথায়। কে শোনে কার কথা।তদুপরি তিনি এ ব্যাপারে দায়িত্বশীল কর্তাব্যক্তির জরুরী মানবিক
হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।।