July 23, 2025, 3:52 am
হেলাল শেখ ঃ ঢাকার আশুলিয়ার ইয়ারপুর ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের (ফকির বাড়ি বটতলা) এলাকার জাকির হোসেনের মেয়ে প্রবাসী বাবুল হোসেনের স্ত্রী মোছাঃ নিলুফা বেগম বাড়িতে একা থাকার সুযোগে এলাকার মাদক সন্ত্রাসী মোঃ সুজন (৩০) বিভিন্ন সময় তাকে বিরক্ত করে এবং ১৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে আর সেই দাবিকৃত চাঁদার টাকা না দেয়ায় বাড়ি ঘর ভাংচুর করে সুজনসহ তার লোকজন।
মঙ্গলবার (২২ জুলাই ২০২৫ইং) জানা গেছে, ঢাকার আশুলিয়া থানা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও ইয়ারপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শামীম আহমেদ সুমন ভুঁইয়া ছাত্র জনতা হত্যা মামলার আসামী হয়ে ভারতে পালিয়ে আছেন, তার বাহিনীর সদস্য থেমে নেই মোঃ সুজন (৩০), পিতা মৃতঃ হাবিব স্থানীয় (ফকির বাড়ি বটতলা), জামগড়া, আশুলিয়া ঢাকাগং আরো ৪-৫জন মাদক সন্ত্রাসী চাঁদাবাজ মাদকের টাকার জন্য বিভিন্ন সময় চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকান্ড করে। এসবের টাকা না পেয়ে মানুষের বাড়ি ঘর ভাংচুর করে। কেউ এসব ব্যাপারে প্রতিবাদ করলে তাদেরকে হত্যা করে গুম করার হুমকি প্রদান করে সন্ত্রাসীরা।
এ ব্যাপারে প্রবাসী বাবুল হোসেনের স্ত্রী ভুক্তভোগী মোছাঃ নিলুফা বেগম আশুলিয়া থানায় মামলা করার জন্য একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। এই অভিযোগে নিলুফা বেগম জানান, আমি গৃহিনী, আমার স্বামী প্রবাসী মোঃ বাবুল হোসেন (৪৫) এর আশুলিয়া থানাধীন ইয়ারপুর ইউনিয়ন জামগড়া ফকির বাড়ি বটতলা এলাকায় ক্রয় করা ৫ শতাংশ জমি আছে। উক্ত জমি সম্পত্তির উপর ৮টি রুম আছে, সেখানে আমিসহ আমার পরিবার সুখে শান্তিতে বসবাস করে আসছি। উক্ত বিবাদী মোঃ সুজন এলাকার স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা সুমন ভুঁইয়ার বাহিনীর সদস্য সুজন প্রতিনিয়ত মাদকদ্রব্য সেবন করে এবং বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত। সে কোনো অপরাধ করলেও তার ভয়ে মানুষ কেউ মুখ খুলে না। সুজন আমার অতিরিক্ত বিরক্ত করে এবং ১৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে, তার দাবিকৃত টাকা দিলে সে আর বিরক্ত করবে না বলে। আমি একজন প্রবাসীর স্ত্রী বাড়িতে একা থাকি এখন নিরাপত্তাহীনতায়। আমি তাকে টাকা না দেয়ায় আমার বাড়ি ঘর ভাংচুর করেছে, আমি এ ঘটনার সঠিক বিচার চাই। বিবাদী সুজন এর কাছে এ বিষয়ে জানতে তার সাথে যোগাযোগ করে তাকে পাওয়া যায়নি।
আশুলিয়া থানার (এসআই) আকরাম বলেন, নিলুফা বেগমের অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত করে চাঁদাবাজদের আটক করে আইনের আওতায় আনা হবে বলে তিনি জানান।##