July 19, 2025, 5:19 pm

বিজ্ঞপ্তি :
বিশেষ সতর্কীকরন - "নতুন বাজার পত্রিকায়" প্রকাশিত সকল সংবাদের দ্বায়ভার সম্পুর্ন প্রতিনিধি ও লেখকের। আমরা আমাদের প্রতিনিধি ও লেখকের চিন্তা মতামতের প্রতি সম্পুর্ন শ্রদ্ধাশীল। অনেক সময় প্রকাশিত সংবাদের সাথে মাধ্যমটির সম্পাদকীয় নীতির মিল নাও থাকতে পারে। তাই যেকোনো প্রকাশিত সংবাদের জন্য অত্র পত্রিকা দায়ী নহে। নতুন বাজার পত্রিকা- বাংলাদেশের সমস্ত জেলা, উপজেলা, ক্যাম্পাস ও প্রবাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! বিস্তারিত: ০১৭১২৯০৪৫২৬/০১৯১১১৬১৩৯৩
শিরোনাম :
তানোরে ছাত্রদলের আয়োজনে দো-য়া মাহফিল বাবুগঞ্জের উন্নয়ন কাজ পরিদর্শনে মাধবপাশা আল আকসা জামে মসজিদে ইউএনও ফারুক আহমেদ পলাশবাড়ীতে খাদ্যবান্ধব ডিলার নিয়োগে অনি-য়ম ও দুর্নী-তির অভি-যোগ-খাদ্য কর্মকর্তা লাপা-ত্তা সেনবাগে কামুমিয়া মাদ্রাসায় ফল উৎসব ও পুরুষ্কার বিতরনী অনুষ্ঠিত সেনাবাহিনীর লোগো সম্বলিত যানবাহন বহির্ভূত উৎসের – সেনার ভা-বমূর্তি ক্ষু-ণ্ন করার অ-পচেষ্টা মাগুরায় শহী-দ পরিবারকে সঙ্গে নিয়ে ১০ জুলাই শ-হীদের স্মরণে বৃক্ষরোপণ আশুলিয়ার জামগড়ায় লটা-রি জুয়া-রি দুইজনকে আ-টক করেছে পুলিশ চারঘাটে লা-শবাহী অ্যাম্বুলেন্স ও বাসের মু-খোমুখি সংঘ-র্ষে আহ-ত ৪ নলছিটিতে তী-ব্র হচ্ছে সুগন্ধা নদীর ভা-ঙন, ক্ষ-তিগ্রস্তদের মানববন্ধন নলছিটিতে পৌর শ্রমিক দলের নব গঠিত কমিটি নিয়ে বিভ্রা-ন্তিমূলক প্রচারের প্রতি-বাদে সংবাদ সম্মেল
গোপালগঞ্জে কার-ফিউ শিথিল থাকলেও ব-ন্ধ ছিলো বেশিরভাগ ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান, জনমনে গ্রে-প্তার আ-তঙ্ক

গোপালগঞ্জে কার-ফিউ শিথিল থাকলেও ব-ন্ধ ছিলো বেশিরভাগ ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান, জনমনে গ্রে-প্তার আ-তঙ্ক

কে এম সাইফুর রহমান, নিজস্ব প্রতিনিধিঃ

গোপালগঞ্জে গত ১৬ জুলাই অনুষ্ঠিত জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সমাবেশকে কেন্দ্র করে হামলা, সংঘর্ষ ও প্রাণহানির ঘটনার পর গোপালগঞ্জ জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের আদেশে জারি করা কারফিউ শনিবার (১৯ জুলাই) ভোর ৬টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত ১৪ ঘণ্টার জন্য শিথিল করা হয়েছে। কারফিউ শিথিল হলেও জনমনে এখনো আতঙ্ক বিরাজ করছে। জরুরি প্রয়োজনেও ঘর থেকে বের হচ্ছেন না অনেকে। শহরের বেশিরভাগ দোকান বন্ধ রয়েছে, গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে মোতায়েন রয়েছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।

শনিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত জেলা শহরের বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে। লঞ্চঘাট এলাকায় গিয়ে দেখা যায় কিছু যানবাহন দাঁড়িয়ে আছে। তবে যাত্রী খুব একটা নেই। কিছু মানুষ এদিক-সেদিক যাচ্ছেন। লঞ্চঘাট এলাকায় দু-একটি দোকান ছাড়া বাকি দোকানগুলো বন্ধ দেখা গেছে। শহরের বড়বাজার, চৌরঙ্গী, বটতলা, কালিবাড়ী, বিসিক শিল্পনগরী সহ থানাপাড়া এলাকায়ও একই চিত্র দেখা গেছে। জরুরি প্রয়োজনে কিছু মানুষ আর কিছু দিনমজুর ঘর থেকে বের হয়েছেন। এর মধ্যে দিনমজুরের সংখ্যাই বেশি।

জেলা শহরের বড়বাজার এলাকায় বাজার করতে আসা এক গৃহিণীর সাথে কথা হলে তিনি বলেন, ৩ দিন পর অনেকটা নিরুপায় হয়েই আজ বাজার করতে এসেছেন তিনি, দোকানপাট খুব একটা খোলা নেই, বাজার করেছেন, পণ্যের সরবরাহ কম থাকায় তুলনামূলক ভাবে দাম কিছুটা বেশি তবুও কিনে নিয়েছি, যদি আবার কারফিউম শুরু হয় তাহলে তো সমস্যায় পড়বো।

বিসিক শিল্পনগরী এলাকার স্বনামধন্য ভাই ভাই বেকারির ম্যানেজারের সাথে কথা হলে তিনি আক্ষেপ করে বলেন, কারফিউ তুলে নিয়েছে ভেবে বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টার দিকে আমাদের কর্মচারী হাসিব চৌধুরী (১৬), শামীম শেখ (২০), কালীন শেখ (১৬), সাহেবুল শেখ (১৮) কাজ শেষ করে বেকারির ১০ গজ দূরে বিসিক শিল্পনগরী মসজিদের সামনে বসে একটু বিশ্রাম নিচ্ছিলো এর মধ্যেই আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা তাদেরকে গাড়িতে তুলে নেন। খবর পেয়ে তাদেরকে বুঝিয়ে বললেও কোন লাভ হয়নি পরবর্তীতে সদর থানায় প্রয়োজনীয় কাগজপত্র এবং প্রমাণাদি নিয়ে গেলেও তাদেরকে না ছেড়ে কোর্টে চালান করে দেয়। শ্রমিকেরা খুবই নিরীহ, পেটের দায়ে তারা পার্শ্ববর্তী জেলা থেকে এখানে কাজ করতে এসেছে। তাদের পরিবারের অবস্থাও খুব একটা ভালো নয়। কি একটা সমস্যায় পড়লো চারটা পরিবার যা খুবই দুঃখজনক। প্রকৃত দোষীদেরকে আইনের আওতায় নিক আমরাও সেটা চাই কিন্তু নিরীহ লোকজন ধরে হয়রানি তা কারোরই কাম্য নয়।

প্রবীণ এক ব্যক্তির সাথে বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে কথা হলে তিনি বলেন, কারফিউ নেই শহরে লোকজনের আনাগোনা একদমই নেই। বাজার করেছি, তবে ভেতরে ভেতরে আতঙ্ক বিরাজ করছে কখন কি হয়।

এক অটোবাইকের চালক বলেন, গত তিন দিন ধরে উদ্ভুত পরিস্থিতিতে গাড়ি বের করতে পারি নাই। কিস্তি ও সংসারের ব্যয় মেটাতে অনেকটা নিরুপায় হয়েই শহরে আজ গাড়ি নিয়ে। বেরিয়েছে। এসে জানলাম আজ কারফিউ নেই, ভেবেছিলাম তাহলে কিছু ইনকাম হবে কিন্তু শহরে লোকজন খুব একটা না থাকায় তেমন কোন ইনকামও নেই। কারফিউ চলাতে আমাদের মত খেটে খাওয়া গরিব মানুষদের খুব কষ্ট হচ্ছে।

এদিকে সংঘর্ষের ঘটনায় দায়েরকৃত একাধিক মামলায় জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে গ্রেফতারকৃতদেরকে কোথায় নিয়ে যাচ্ছে তা স্পষ্ট না করায় পরিবার ও স্বজনদের মাঝে তীব্র ক্ষোভ বিরাজ করছে। তাদের দাবি প্রকৃত দোষীদেরকে আইনের আওতায় নেওয়া হোক। কিন্তু অসহায় ও সাধারণ মানুষকে যেন কোনভাবে হয়রানি না করা হয়।

এদিকে জেলার সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সমস্ত জেলা জুড়ে বিশেষ বিশেষ স্থানে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নিয়োজিত রয়েছে। গোপালগঞ্জ শহরতলীর বিভিন্ন পয়েন্টেও নিয়োজিত রয়েছেন বিপুল সংখ্যক আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সদস্যরা। শহরের লঞ্চঘাট এলাকায় মোতায়েন রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। সেখানে নেতৃত্ব দিচ্ছেন জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ড. রুহুল আমিন সরকার। তার সঙ্গে সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে কথা হলে তিনি বলেন, পরিস্থিতি এখন অনেকটাই স্বাভাবিক। কারফিউ নেই, যার কারণে সাধারণ মানুষ অনেকেই ঘর থেকে বের হচ্ছেন। আমরা অভিযানও পরিচালনা করছি। তবে অভিযানে নিরপরাধ কেউ যেন আটক না হয় সে বিষয়ে খেয়াল রেখে কাজ করছি।

এদিকে গোপালগঞ্জ জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের আদেশক্রমে শনিবার (১৯ জুলাই) রাত ৮ টা থেকে আগামীকাল রোববার (২০ জুলাই) ভোর ৬টা পর্যন্ত কারফিউ বলবৎ থাকবে বলে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

Please Share This Post in Your Social Media






© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Design & Developed BY AMS IT BD