July 15, 2025, 11:07 pm
আরিফ রববানী ময়মনসিংহ।।
ভালুকা উপজেলা নির্বাহী অফিসার হাসান আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বলেন, পরিকল্পিত পরিবার একটি সুখী ও সমৃদ্ধ জাতি গঠনের অন্যতম পূর্বশর্ত।আজকের তরুণ প্রজন্মকেই পরিবার গঠনের ক্ষেত্রে সচেতন সিদ্ধান্ত নিতে হবে। ছেলে হোক, মেয়ে হোক—২টি সন্তান যথেষ্ট—এই বার্তাটি শুধু স্লোগানে সীমাবদ্ধ না রেখে আমাদের জীবনে বাস্তবায়ন করতে হবে। জন্মনিয়ন্ত্রণ একটি সামাজিক ও মানবিক দায়িত্ব। জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান ও সচেতনতা না থাকলে অনাকাঙ্ক্ষিত গর্ভধারণ ও জনসংখ্যা বিস্ফোরণ আমাদের সামনে এক বিরাট চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াতে পারে। আমরা চাই, প্রতিটি পরিবার সুস্থ হোক, শিক্ষিত হোক, এবং ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুত হোক। এজন্য তারুণ্যকে সচেতন, দক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক করে গড়ে তুলতে হবে।
ন্যায্য ও সম্ভাবনাময় বিশ্বে পছন্দের পরিবার গড়তে প্রয়োজন তারুণ্যের ক্ষমতায়ন” এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে সোমবার (১৪ জুলাই-২০২৫) উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স প্রাঙ্গণে অবস্থিত পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের মিলনায়তনে বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস ২০২৫ উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. আসিফ আহমেদ রাজীব এর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায়
স্বাগত বক্তব্য রাখেন সহকারী উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ও উপজেলার ১১ নং রাজৈ ইউনিয়ন পরিষদ এর দায়িত্ব প্রাপ্ত প্রশাসক মোঃ রতন মিয়া।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপস্থিত সকল অতিথি ও সহকর্মীদের আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। আলোচনা শেষে চারটি ক্যাটাগরিতে শ্রেষ্ঠ পারফর্মারদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হলে পুরস্কার তুলে দেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার হাসান আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ।
অনুষ্ঠানে পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের কর্মকর্তাবৃন্দ, মাঠকর্মী, জনপ্রতিনিধি ও গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। সভাপতির সমাপনী বক্তব্যে উপস্থিত সকল অতিথি ও সহকর্মীদের আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. আসিফ আহমেদ রাজীব।
এবার বিশ্ব জনসংখ্যা দিবসের প্রতিপাদ্য ‘ন্যায্য ও সম্ভাবনাময় বিশ্বে পছন্দের পরিবার গড়তে প্রয়োজন তারুণ্যের ক্ষমতায়ন’।
এসময় উপজেলা নির্বাহী অফিসার হাসান আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ আরো বলেন-ন্যায্য ও সম্ভাবনাময় বিশ্ব গঠনে তরুণদের ক্ষমতায়ন জরুরি। তারা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের প্রতিনিধিত্ব করবে এবং ন্যায়ভিত্তিক সমাজ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, “তরুণদের প্রজনন স্বাস্থ্য-সংশ্লিষ্ট চাহিদা, পছন্দ-অপছন্দ ও প্রতিবন্ধকতা চিহ্নিত করে তাদের পাশে দাঁড়ানো প্রয়োজন। এতে ন্যায্যতা, সামাজিক শান্তি এবং টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করা সহজ হবে।”