July 14, 2025, 9:57 pm
স্টাফ রিপোর্টারঃ
ময়মনসিংহের ভালুকার এক বাড়ি থেকে দুই সন্তানসহ মায়ের গলা কাটা মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
সোমবার (১৪ জুলাই) সকালে পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের খারুয়ালি এলাকায় এক বাড়ি থেকে মরদেহ ৩টি উদ্ধার করে পুলিশ।রোববার রাতে এই ঘটেছে বলে জানা গেছে। সোমবার সকালে স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে ঘর থেকে তাদের তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
ভালুকা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ুন কবীর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। নিহতরা হলেন— স্থানীয় রফিক রফিকুল ইসলামের স্ত্রী ময়না বেগম (২৫), কন্যা রাইসা (৪) ও পুত্র নীরব (২)। রফিকুল ইসলাম নেত্রকোণা জেলার কেন্দুয়া উপজেলার সেনের বাজার গ্রামের সন্তু মিয়ার ছেলে। ঘটনার পর থেকে রফিকুল এর ছোট ভাই নজরুল ইসলাম পলাতক রয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
পুলিশ জানায়, রফিকুক ইসলাম তার স্ত্রী ও দুই শিশু সন্তানকে নিয়ে ওই বাড়িতে বসবাস করতেন।
গত দেড় মাস পূর্বে রফিকুল ইসলাম ও তার ছোট ভাই নজরুল ইসলাম খারুয়ালি এলাকার ফাইয়ুম মিয়ার দুই রুম বিশিষ্ট একটি বাসা ভাড়া নেন। রফিকুল ইসলাম ভাড়া থেকে কাঠালি এলাকার রাসেল মিলে চাকরি করতেন। আর নজরুল ইসলাম অটোরিক্সা চালাত। রোববার রাত আটটার সময় রফিকুল ইসলাম কর্মস্থলে চলে যান।সকালে ডিউটি শেষে বাসায় এসে দেখেন তার বাসার বারান্দার গেটে তালা লাগানো। বেশ ক্ষণ ডাকাডাকি পরও ভিতর থেকে কোনো সাড়া শব্দ না পেয়ে বাসার মালিক এবং তার স্ত্রীকে ডেকে আনেন। পরে বারান্দার দরজা ভেঙে ভিতরে ঢুকে দেখেন তার স্ত্রী ময়না,মেয়ের রাইসা বেগম ও ছেলে নিরবকে জবাই করে হত্যা করা হয়েছে। নিহতদের লাশ গুলো খাটের উপর পড়ে রয়েছে। খবর পেয়ে ভালুকা মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত দা ও রক্তমাখা একটি বিছানার চাদর জব্দ করেছে। তবে কী কারনে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত পুলিশও স্থানীয়রা এ ব্যাপারে কিছুই বলতে পারেনি।
ভালুকা মডেল থানার ওসি হুমায়ুন কবীর আরো জানান, সকালে স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে গলাকাটা অবস্থায় তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে কীভাবে হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তদন্তের পর এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে।