July 13, 2025, 7:17 pm

বিজ্ঞপ্তি :
বিশেষ সতর্কীকরন - "নতুন বাজার পত্রিকায়" প্রকাশিত সকল সংবাদের দ্বায়ভার সম্পুর্ন প্রতিনিধি ও লেখকের। আমরা আমাদের প্রতিনিধি ও লেখকের চিন্তা মতামতের প্রতি সম্পুর্ন শ্রদ্ধাশীল। অনেক সময় প্রকাশিত সংবাদের সাথে মাধ্যমটির সম্পাদকীয় নীতির মিল নাও থাকতে পারে। তাই যেকোনো প্রকাশিত সংবাদের জন্য অত্র পত্রিকা দায়ী নহে। নতুন বাজার পত্রিকা- বাংলাদেশের সমস্ত জেলা, উপজেলা, ক্যাম্পাস ও প্রবাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! বিস্তারিত: ০১৭১২৯০৪৫২৬/০১৯১১১৬১৩৯৩
শিরোনাম :
চট্টগ্রামে ‘নীরব ঝড়’ মোকাবেলায় প্রশাসনের টেকসই রূপরেখা বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড ও নৌ-বাহিনীর যৌথ অভি-যানে ইয়া-বা ও বিদেশী অ-স্ত্র, গু-লিসহ ১ জন আট-ক তারেক-খালেদা জিয়াকে ক-টূক্তির প্রতি-বাদে ময়মনসিংহ মেডিকেলে ড্যাবে ও ছাত্রদলের বিক্ষো-ভ কর্মসূচি নীলফামারী আদালতে ৭টি প্রতিষ্ঠানের বিরু-দ্ধে মাম-লা দায়ের আশুলিয়ায় অপহ-রণের পর শিশুকে গ-লাকেটে হ-ত্যা ২৪ ঘন্টার মধ্যে হ-ত্যাকারী গ্রে-ফতার ময়মনসিংহ জেলা আইন শৃঙ্খ-লা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত কুমিল্লা নগরীর রাজাগঞ্জে ভ্রাম্যমানে ব্যাবসায়ীকে ৫০ হাজার জরি-মানা পটিয়ায় হাইদগাঁও স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শ্যামল দে’র পদত্যা-গের দাবিতে লিফলেট বিতরণ ও প্রতি-বাদ বিএনপি নেতার বিরু-দ্ধে দলীয় প্রভাব খাটিয়ে জমি দ-খল, মা-মলা হাম-লার প্রতি-বাদে সংবাদ সম্মেলন ডুমুরিয়ায় জমিজমা সংক্রান্ত বিরো-ধে সুষ্ঠ বিচা-র পাওয়ার দাবি-তে সংবাদ সম্মেলন
আশুলিয়ায় কিশোর গ-্যাং জু-য়ারি ও মা-দক কারবা-রিদের কাছে সাধারণ মানুষ জি-ম্মি

আশুলিয়ায় কিশোর গ-্যাং জু-য়ারি ও মা-দক কারবা-রিদের কাছে সাধারণ মানুষ জি-ম্মি

হেলাল শেখঃ ঢাকার আশুলিয়ার বিভিন্ন এলাকায় কিশোর গ্যাং, জুয়ারি ও মাদক সন্ত্রাসীদের কাছে সাধারণ মানুষ জিম্মি হয়ে পড়েছে, এসবের টাকা জোগাড় করতে এলাকায় বাসা বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে চুরি ডাকাতি ছিনতাইসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকান্ড করছে এসবের সাথে জড়িতরা।
রবিবার (১৩ জুলাই ২০২৫ইং) জানা গেছে, ঢাকার আশুলিয়ার জামগড়া মোল্লা বাড়ি মোড়ে মোবাইলের ব্যবসায়ী সোহেল এর দোকান থেকে লক্ষাধিক টাকা চুরি হয়েছে। সোহেল বলেন, কিছুদিন আগে আমার দোকানের তালা ভেঙে নগদ প্রায় লক্ষাধিক টাকাসহ মালামাল চুরি হয়েছে। তিনি আরো বলেন, জুয়া ও মাদকের টাকা জোগাড় করতে চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, চাঁদাবাজি, অপহরণ, খুনসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকান্ড করছে জুয়ারিরা ও মাদক সেবনকারী মাদক সন্ত্রাসীরা। মাদক সন্ত্রাসীরা শক্তিশালী সিন্ডিকেটের মাধ্যমে নানারকম মাদকদ্রব্য অবাধে বিক্রি করছে আর এদের সহায়তা করে কিছু অসাধু পুলিশ সদস্য। মাদক সেবন করে অনেকেরই অকালে মৃত্যু হয়েছে।
অনেকেই জানান, মাদক ব্যবসায়ীরা শক্তিশালী তাই তাদের বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুলতে চায়না। অনুসন্ধান করে জানা যায়, আশুলিয়ার জামগড়ার মাদক কারবারি ফিরোজা বেগমকে টাঙ্গাইল জেলার গোপালপুর উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দড়িসয়া গ্রামে মোবাইল কোর্ট পরিচালনাকালে হাতে নাতে গাঁজাসহ আটকের পর দুই বছরের সাজা প্রদান করেন। গাঁজা সেবন ও নিজ হেফাজতে গাঁজা সংরক্ষণ যা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১৮ সালের ৩৬ (১) এর ২১ ধারা লঙ্ঘন ও দণ্ডনীয় অপরাধ। এই ধারা মতে তাকে দোষী সাব্যস্ত করে ২ (দই) বৎসর বিনাশ্রম কারাদন্ড ও অর্থদন্ডে দন্ডিত করা হয়। এদিকে আশুলিয়ার জামগড়া উত্তরপাড়ার শরিফুল ইসলাম শরিফকে ডিবি পুলিশ কতর্ৃক আটক করে তার হেফাজত থেকে বিপুল পরিমাণ ইয়াবা ট্যাবলেট জব্দ করা হয়। তিনি ওই মামলায় জামিনে এসে আবারও সক্রিয় মাদক ব্যবসা করছে এবং বিভিন্ন অপরাধের সাথে জড়িত। সেই সাথে জমি ক্রয়-বিক্রয় করা নিয়ে মানুষের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা প্রতারণা করে হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ রয়েছে জামগড়ার মাদক কারবারি শীর্ষ সন্ত্রাসী শরীফ মোল্লার বিরুদ্ধে। সে স্থানীয় প্রভাবশালী হওয়ায় তার সাথে আরও ৬-৭ জনের গ্রুপ রয়েছে, এর ভয়ে কেউ তাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার সাহস পায় না বলে এলাকাবাসী জানায়।
জানা গেছে, টাঙ্গাইল জেলার গোপালপুরের দড়িসয়া গ্রামের আলী আকবরের স্ত্রী মোছাঃ নুর জাহান ওরফে ফিরোজা বেগমের বিরুদ্ধে ঢাকার আশুলিয়া থানাসহ বিভিন্ন থানায় মাদকের একাধিক মামলা রয়েছে। এবারের গল্পটাই যেন ভিন্ন: স্বামী একজন রিক্সা চালক আর স্ত্রী বাসা বাড়িতে কাজের বোয়া থেকে এখন বিশাল প্রভাবশালী মাদক সিন্ডিকেটের পরিচালনাকারী নারী ফিরোজা বেগম। তিনি এখন টাঙ্গাইল জেলার গোপালপুরের দড়িসয়া গ্রামে ইটের দালানকোঠা তৈরি করে বাড়িতে চারসাইড দিয়ে লাগিয়েছে সিসিটিভি ক্যামেরা। এলাকাবাসীর দাবি-সিসি ক্যামেরা লাগিয়ে দেখে তার বাড়িতে কারা কখন আসছে, প্রতিবেশি কেউ তার বাড়িতে প্রবেশ করলে তাকে বিভিন্ন হুমকি প্রদান করাসহ মামলা দিয়ে হয়রানি করা হয়। অনেকেরই প্রশ্ন: কি তার উপার্জন আর কি বা তার ব্যবসা? দীর্ঘদিনের অনুসন্ধানে উঠে আসে কে এই নুর জাহান ওরফে ফিরোজা বেগম। জানা গেছে, একজন দিনমজুর আলী আকবরের অপ্রতিরোধ্য স্ত্রী ফিরোজা বেগম মানুষের বাসা বাড়িতে কাজ করেন, এরপর এখন ক্ষমতাধরের খাতায় নাম লিখেছে মাদক ব্যবসা ও অনৈতিক কর্মকান্ডকে পুঁজি করে। বেশিরভাগ মাদক কারবারির বাড়িতে সিসিটিভি রয়েছে।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, টাঙ্গাইলের দড়িসয়া পাড়া গ্রামের একবেলা খেয়ে আর অন্যবেলা না খেয়ে অনাহরে অর্ধাহারে থাকা সেই দিনমজুর স্বামী আলী আকববসহ পরিবারের সবাইকে নিয়ে ফিরোজা বেগম কাজের উদ্দেশ্যে ঢাকার আশুলিয়ার জামগড়া এলাকার মোশারফ ম্যানশন নামের একটি বাড়ির কক্ষ ভাড়া নিয়ে ওই বাড়ির মালিকের বিশাল ক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে প্রায় ১০বছর ধরে বিভিন্ন মাদক ব্যবসা করে আসছিলো। সিরাজগঞ্জ, টাঙ্গাইল, মানিকগঞ্জ, আশুলিয়াসহ বিভিন্ন এলাকায় তিনি এই মাদকের কারবার করে লাখ লাখ টাকার মালিক বনে গেছেন। এলাকাবাসী জানায়, ফিরোজা বেগমের মাদকের বিশাল শক্তিশালী সিন্ডিকেট রয়েছে, দেশের সীমান্ত দিয়ে আসা বিদেশী মদ, ইয়াবা ও গাঁজাসহ বিভিন্ন মাদক তার মাধ্যমে বিভিন্ন এলাকায় চালান পাঠানো হয়। ২০১২ সালে সিরাজগঞ্জ, ২০১৭ সালে আশুলিয়া, ২০২১ইং সালে টাঙ্গাইলে মাদকসহ হাতে নাতে আটক হয় ফিরোজা বেগম। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে অনেকবার গ্রেফতার হলেও আইনের ফাঁকফোকড় দিয়ে তিনি ও তার দুই ছেলে কৌশলে বেড়িয়ে এসে ক্ষমতা ও টাকার দাপটে অবাধে চালাচ্ছে তাদের বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকান্ড।
এলাকাবাসী-মাদককে না বলে পৃথক ভাবে একাধিকবার মাদক বিরোধী মিছিল ও মানববন্ধনসহ সাংবাদিক সম্মেলন করেন। মাদক নিমর্ূলের দাবিতে সামাজিক ভাবে অনেক চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছেন তারা। মাদক ব্যবসায়ীদের দ্বারা ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা বন্ধের জন্য সামাজিক প্রতিরোধে এলাকার যুবসমাজকে বাঁচাতে সবার সহযোগিতা চেয়েছেন এলাকাবাসী। এ বিষয়ে দড়িসয়া গ্রামের ইউপি সদস্য (মেম্বার) আব্দুস সামাদ বলেন, পূর্বের ইতিহাস তারা আগে জামগড়ায় থাইকা কাম কাজ করছে। ১৫-১৬ বছর যাবতসেখানেই থাকতো তারা। তার দুই ছেলে বিভিন্ন মাদকসহ পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছে একাধিকবার, ফিরোজা বেগমও গাঁজাসহ আটক হয়, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাকে দুই বছরের সাজা দেন। তিনি আরও বলেন, এই ফিরোজা বেগমের পরিবারের লোকজন সবাই এখন মাদক ব্যবসার সাথে জড়িয়ে পড়েছেন।
উক্ত বিষয়ে জানতে সরেজমিনে গিয়ে আশুলিয়ার জামগড়া ও টাঙ্গাইল জেলার গোপালপুরের দড়িসয়া গ্রামে মোছাঃ নুর জাহান ওরফে ফিরোজা বেগমের বাড়িতে তাকে পাওয়া যায়নি। পুলিশ ও র‍্যাব জানায়, অপরাধী সে যেই হোক না কেন তাদেরকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হবে। কিছু অসাধু পুলিশ সদস্য ও কিছু কথিত সাংবাদিক মাদকের সাথে জড়িত থাকার কারণে মাদক সন্ত্রাসীরা অবাধে চালিয়ে যাচ্ছে মাদক ব্যবসা। আশুলিয়ায় জুয়া কারবারি শাহিন, সাবু, নাঈমসহ অনেকেই জানায়, পুলিশকে ম্যানেজ করেই তারা জুয়া চালায়।
আশুলিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হান্নান বলেন, আমি আশুলিয়ায় নতুন আসছি, দেহব্যবসা, জুয়া ও মাদক কারবারি যেইহোক না কেন ছাড় দেয়া হবে না। তিনি আরো বলেন, অপরাধ করলে অপরাধীকে গ্রেফতার করা হবে। আমাদের অভিযান চলমান আছে।##

Please Share This Post in Your Social Media






© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Design & Developed BY AMS IT BD