নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহীঃ রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে প্রকাশ্যে হামলা চালিয়ে মনিরুল ইসলাম (৪৭) নামের এক ডেকোরেটর ব্যবসায়ীকে পিটিয়ে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষের লোকজন। সোমবার (৬ জুলাই) রাত ৯ টার দিকে উপজেলার আইহাই গ্রামের সাগরাম মোড়ে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। নিহত মনিরুল ইসলাম গোদাগাড়ী উপজেলার নারায়নপুর গ্রামের মৃত তসলিম উদ্দিনের ছেলে। তিনি স্থানীয়ভাবে ডেকোরেটর ব্যবসার পাশাপাশি জমি কেনাবেচার কাজও করতেন।
এ হত্যার ঘটনায় নিহতের স্ত্রী বাদী হয়ে ১৩ জনকে আসামী করে গোদাগাড়ী মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়েরের করেছে ।
হত্যা মামলার আসামীরা হলেন, মোঃ আশরাফুল ইসলাম (৬০), পিতা-মৃত আব্দুস সামাদ, গ্রাম : দেলশাদপুর (শিয়ালমারা), মোঃ মফিজুল ইসলাম (৫০), পিতা-মৃত আব্দুস সামাদ, গ্রাম: নারায়নপুর, মোঃ সাদ্দাম হোসেন (৩৭), পিতা-মৃত আব্দুস সামাদ, গ্রাম: নারায়নপুর, মোঃ আকবর আলী (২৮), পিতা-মোঃ আশরাফুল ইসলাম, গ্রাম: দেলশাদপুর, মোঃ বাবর আলী (১৯), পিতা-মোঃ আশরাফুল ইসলাম, গ্রাম: দেলশাদপুর, মোঃ হানিফ (২৯), পিতা-মোঃ মফিজুল ইসলাম, গ্রাম: নারায়নপুর, মোঃ রমজান আলী (২০), পিতা-মোঃ মফিজুল ইসলাম, গ্রাম: নারায়নপুর , এছাড়া অজ্ঞাতনামা আরও ৫-৬ জন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বিকেলে জমি সংক্রান্ত কাজে মনিরুল ইসলাম আমনুরায় গিয়েছিলেন। সেখান থেকে কাজ শেষে রাত ৯টার দিকে মোটরসাইকেলে বাড়ি ফেরার পথে সাগরাম মোড়ে আব্দুল হাকিমের চায়ের দোকানের সামনে পৌঁছালে আগে থেকে ওত পেতে থাকা প্রতিপক্ষের ১০-১২ জন সন্ত্রাসী লাঠি, রড ও লোহার পাইপ নিয়ে তার ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। তারা মনিরুলকে এলোপাথাড়ি পিটিয়ে গুরত্বর আহত অবস্থায় রাস্তায় ফেলে রেখে পালিয়ে যায়।
স্থানীয়রা গুরত্বর আহত মনিরুলকে উদ্ধার করে প্রথমে গোদাগাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে তার অবস্থা আশংখাজনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে দায়িত্বরত চিকিৎসক রাতেই তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
হত্যার পেছনে পুরনো মামলা ও শত্রুতা :
নিহতের পরিবার জানায়, মনিরুল ইসলাম এর আগে একটি মারামারির ঘটনায় প্রতিপক্ষের কয়েকজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন। সেই মামলায় অভিযুক্তদের মধ্যে ছিলেন সাদ্দাম হোসেনসহ কয়েকজন, যা নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। এরই জেরে পরিকল্পিতভাবে তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ পরিবারের।
গোদাগাড়ী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ রুহুল আমিন জানান, খবর পেয়ে রাতেই পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়েরের করেছে । আসামিদের গ্রেফতারের জন্য অভিযান শুরু করেছে পুলিশ। দ্রুত সময়ের মধ্যে আসামিদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হবে বলে ওই পুলিশ কর্মকর্তা।
মোঃ হায়দার আলী
নিজস্ব প্রতিবেদক,
রাজশাহী ।
Leave a Reply