July 13, 2025, 6:32 am
রাজশাহী থেকে মোঃ হায়দার আলী
:আগামী সংসদ নির্বাচনের দিন-তারিখ এখনো নির্দিষ্ট হয়নি। তবে রাজশাহীর ছয় আসনেই বিভিন্ন দলের সম্ভাব্য প্রার্থীরা নেমে পড়েছেন মাঠে। ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকেই তারা নানাভাবে নির্বাচনি এলাকায় নিজেদের উপস্থিতি জানান দিচ্ছেন।
রাজনৈতিক নানা কর্মসূচিতে যোগদানের পাশাপাশি অংশ নিচ্ছেন নানা সামাজিক কর্মকাণ্ডে। বিতরণ করছেন শীতবস্ত্র, অতিথি হচ্ছেন ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেও। এলাকার মানুষের সমর্থন চাইছেন। দলীয় নেতাকর্মী ছাড়াও সাধারণ মানুষের সঙ্গে বিভিন্ন উপায়ে যোগাযোগ বাড়িয়েছেন তারা। ব্যানার-পোস্টার সাঁটিয়ে চাইছেন দোয়া। অবশ্য আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের কোনো সাংগঠনিক বা দলীয় তৎপরতা রাজশাহীর কোনো নির্বাচনি এলাকায় নেই।
রাজশাহীর ছয়টি আসনের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ দুটি আসন রাজশাহী – ১ ও রাজশাহী – ৪ (বাগমারা) এবার বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যশ্যা করছেন অবসরপ্রাপ্ত দুই উচ্চপদস্থ সেনা কর্মকর্তা। তারা হলেন- মেজর জেনারেল (অব.) শরীর উদ্দীন ও ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) জহুরুল আলম বাবু।
জানা গেছে, রাজশাহী-১ (গোদাগাড়ী-তানোর) আসনে বিএনপির মনোনয়ন চাইছেন মেজর জেনারেল (অব.) শরীর উদ্দীন। তিনি বিএনপির প্রয়াত নেতা ও সাবেক মন্ত্রী ব্যারিস্টার আমিনুল হকের ছোট ভাই। তাছাড়া তিনি সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সামরিক সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এবং বর্তমানে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য।
শরীর উদ্দীন বলেন, ‘‘আমি বরাবরই রাষ্ট্র ও দলের প্রতি আনুগত্য রেখে দায়িত্ব পালন করেছি। বিএনপিকে সংগঠিত করা, তৃণমূলে নেতৃত্ব তৈরি করা এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের সংগ্রামে সক্রিয় হতে চাই। আমি বিশ্বাস করি, রাজশাহী-১ আসনের জনগণ এক সময় আমার বড় ভাইয়ের সঙ্গে ছিলেন এখন তারা আমার পাশে থাকবেন।’’
অপরদিকে, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) জহুরুল আলম বাবু বাগমারা উপজেলার বাগমারা গ্রামের প্রয়াত নুরুল ইসলাম মাস্টারের সন্তান। সেনাবাহিনীতে কর্মরত অবস্থায় তিনি শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ঘনিষ্ঠ সহচর ছিলেন। তাছাড়া বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের গৃহশিক্ষক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। বর্তমানে তিনি রাজশাহী-৪ (বাগমারা) আসন থেকে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশা করছেন। এর আগে ২০১৮ সালেও তিনি বিএনপির মনোনয়ন চেয়েছিলেন।
মনোনয়ন প্রত্যাশা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘আমি জাতির প্রয়োজনে জীবন উৎসর্গ করেছি সেনাবাহিনীতে। এখন রাজনৈতিকভাবে দেশ ও জনগণের পাশে থাকতে চাই। বাগমারা অঞ্চলের উন্নয়ন এবং জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠায় আমি জীবনভর কাজ করতে চাই। বিএনপির আদর্শই আমার প্রেরণা। দল যদি দায়িত্ব দেয়, জনগণকে সঙ্গে নিয়ে ঐক্যবদ্ধ প্রয়াসে রাষ্ট্র মেরামতে বিএনপির ৩১ দফা বাস্তবায়নে কাজ করব।’’
বিএনপির একাধিক সূত্র বলছে, এই দুই অভিজ্ঞ ও সুপরিচিত মনোনয়নপ্রতাশী ইতোমধ্যে কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করছেন এবং নিজ নিজ এলাকায় নির্বাচনী প্রস্তুতিও চালিয়ে যাচ্ছেন। তারা দুইজনেই এলাকায় ব্যানার ফেস্টুন টাঙ্গানোসহ গণসংযোগ, সভা-সমাবেশ ও নানা কর্মসূচীর মাধ্যমে নিজেদের অবস্থান জানান দেওয়ার চেষ্টা করছেন।
মোঃ হায়দার আলী
নিজস্ব প্রতিবেদক,
রাজশাহী।