July 18, 2025, 1:16 am
আরিফ রববানী ময়মনসিংহ।।
ভালুকা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও পৌরসভার দায়িত্ব প্রাপ্ত প্রশাসক হাসান আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ
বলেছেন, দেশের প্রতিটি মানুষকে পুষ্টিকর খাবার পৌঁছে দিতে সরকার নানা পদক্ষেপ নিচ্ছে। বর্তমানে একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষের দৈনিক ফলের চাহিদা যেখানে ২০০ গ্রাম, সেখানে আমরা খাচ্ছি মাত্র ৫৫-৬০ গ্রাম। এই ব্যবধান কমাতে ফলের উৎপাদন বাড়ানোর পাশাপাশি জনগণকে ফল খাওয়ায় অভ্যস্ত করতে হবে। তিনি আরও বলেন, চালের উৎপাদনে আমরা যেমন বিপ্লব করেছি, তেমনি ফল উৎপাদনেও বিপ্লব ঘটাতে চাই। দেশি ফল যাতে বিলুপ্ত না হয়, সে জন্য এর জার্মপ্লাজম সংরক্ষণের কাজও চলছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
‘দেশি ফল বেশি খাই, আসুন ফলের গাছ লাগাই’ প্রতিপাদ্যে বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) বেলা ১২টায়
ভালুকা উপজেলা প্রশাসনের সহযোগীতায় উপজেলা কৃষি অফিসের উদ্যোগে উপজেলা পরিষদ চত্বরে আয়োজিত ৩ দিনব্যাপী জাতীয় ফল মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন। এই মেলা আগামী শনিবার পর্যন্ত চলবে। এর আগে উপজেলা নির্বাহী অফিসার হাসান আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ মেলার স্টল ঘুরে ঘুরে দেখেন।
ইউএনও বলেন, মেলায় দেশীয় বিলুপ্ত প্রায় ফল ছাড়াও বাণিজ্যিক ভিত্তিতে যেসকল ফল উৎপাদিত হচ্ছে সেগুলোও মেলায় স্থান পেয়েছে। যারা ভোক্তা এবং চাষী রয়েছেন তারা এই মেলা থেকে উপকৃত হবেন এবং দেশীয় ফল চাষাবাদে আরো উদ্বুদ্ধ হবেন।
উপজেলা কৃষি অফিসার নুসরাত জামান জানান, তাদের ওই মেলাতে আম, জাম, কাঁঠালসহ দেশী ও বিদেশী, উচ্চফলনশীলসহ প্রায় ৩০টি ফল মেলায় প্রদর্শিত হচ্ছে। ইতোমধ্যে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে কৃষকসহ তরুণ উদ্যোক্তারাও ফলের চাষ করছেন। এই মেলার মাধ্যমে দেশীয় ফল চাষে কৃষকদের আগ্রহ আরো বাড়বে বলে তিনি মনে করেন তিনি। এ সময় উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা, প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা, নির্বাচন কর্মকর্তা, সমবায় কর্মকর্তাসহ উপজেলা কৃষি অফিসের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা কর্মচারিগন উপস্থিত ছিলেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মেলার বিভিন্ন স্টল ঘুরে দেখেন এবং ফল উৎপাদনে প্রযুক্তিগত অগ্রগতির প্রশংসা করেন।
মেলায় দর্শনার্থীরা বিভিন্ন ধরনের দেশি ফল ও ফল চাষ প্রযুক্তি সম্পর্কে জানার পাশাপাশি রাসায়নিকমুক্ত ফল ক্রয়ের সুযোগ পাচ্ছেন। ভালুকা ছাড়াও জেলার ১১টি উপজলায় স্থানীয় পর্যায়েও ফল মেলা আয়োজন করা হয়েছে।