তারাগঞ্জে ভোক্তা অধিকার ও যৌথ বাহিনীর অভিযানে ৫ প্রতিষ্ঠানকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা

খলিলুর রহমান খলিল, নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
সরকারের নির্ধারিত ভাড়ার অতিরিক্ত ও যাত্রীর ক্রয়কৃত টিকেটে ভাড়া উল্লেখ না করার দায়ে তিনটি পরিবহন কাউন্টার এজেন্টকে এবং খাবার হোটেলে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ ও ক্ষতিকর রাসয়নিক দ্রব্য ব্যবহারের দায়ে ব্যবসায়ীকে জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর রংপুর।

রোববার (১৫ জুন) সন্ধ্যা আনুমানিক ৬টা থেকে উপজেলার নতুন চৌপথি বাস স্ট্যান্ডে সেনাবাহিনী, পুলিশ ও জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর এর যৌথ অভিযান পরিচালিত হয়। তারাগঞ্জ সেনা ক্যাম্প কমান্ডার ক্যাপ্টেন তাসফিন ইসলাম ফাহিম এর নেতৃত্ব জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর রংপুরের বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মোছা. মমতাজ বেগম এবং জেলা সহকারী পরিচালক মো. মোস্তাফিজুর রহমান অভিযান পরিচালনা করেন।

অভিযানের শুরুতে ঢাকাগামী যাত্রী পরিবহন বাসের কাউন্টার গুলোর বিরুদ্ধে আসা টিকেটের বাড়তি ভাড়া ও নামে বেনামে টিকেট বিক্রির অভিযোগ গুলো যাচাই করা হয়। সেখানে দেখা যায়, কাউন্টার গুলোতে সরকার নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে অতিরিক্ত ভাড়া ও ভিন্ন নামের গাড়ীর টিকেট বিক্রির মাধ্যমে যাত্রীদের সাথে প্রতারণা করা হয়। সরকারি নির্দেশনা তোয়াক্কা না করে যাত্রীর কাছ থেকে বাড়তি ভাড়া আদায় ও প্রতারণাকারী দোয়েল ক্লাসিক, বিপুল এন্টারপ্রাইজ ও অপু ক্লাসিক পরিবহনের ৩টি কাউন্টার এজেন্টের প্রত্যেকে ৫০০০/-(পাঁচ হাজার) করে মোট ১৫০০০/-(পনেরো হাজার) টাকা জরিমানা এবং আদায় করা হয়। পাশাপাশি তাদেরকে কড়া বার্তায় সতর্কতা মুলক নির্দেশনা দেন।
পরে নিউ মিষ্টিবন নামের একটি খাবার হোটেলে দেখা যায়, হোটেলে কোনো প্রকার লেবেল এবং মূল্য ও মেয়াদের কোন প্রকার লেবেল ছাড়াই মিষ্টজাত পণ্য দই উৎপাদন ও বিক্রি করছে হোটেল কর্তৃপক্ষ। এছাড়াও হোটেলে নিম্ন মানের লবন ও অন্যান্য ক্ষতিকর উপাদান ব্যবহার করে খাদ্য তৈরি করা হয়। যা ভোক্তা অধিকার টীম ও সেনা অভিযানে ধরা পরে। মানুষ্য খাদ্যে ভেজাল, খাদ্য তৈরিতে পরিছন্নতা ঘাটতি ও ক্ষতিকর উপাদান ব্যবহারের দায়ে হোটেল মালিককে ৩০০০০/- (ত্রিশ হাজার) টাকা জরিমানা ও আদায় করে ভোক্তা অধিকার।
অন্যদিকে, আজমেরী নামে পাশের একটি বেকারিতে নিজ নামীয় মোড়ক ব্যবহার না করে ৪টি ভিন্ন নামের মোড়কে বেকারী খাদ্য পণ্য বাজারজাতকরণ এবং অস্বাস্থ্যকর নোংরা পরিবেশে বেকারী পণ্য উৎপাদনের দায়ে আজমেরী বেকারীকে ৫০০০/-(পাঁচ হাজার) টাকা জরিমান ও আদায় করা হয়।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর সহকারী পরিচালক মোছা. মমতাজ বেগম বলেন, যাত্রী ভোগান্তি ও যাত্রীদের কাছ থেকে বাড়তি ভাড়া গ্রহণ, ভিন্ন নাম ব্যবহার করা নামে বেনামে টিকেট বিক্রেতা ৩টি অসাধু কাউন্টার এজেন্টকে জরিমানা করা হয়েছে। এক যত্রীর কাছ থেকে নেওয়া বাড়তি ৬০০ টাকা ফেরৎ নিয়ে দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি একটি হোটেলে উৎপাদন ও মেয়াদ সংক্রান্ত স্টিকার ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাদ্য সামগ্রী উৎপাদন বাজারজাতকরণের প্রমাণ পাওয়ায় হোটেল ও বেকারীকে জরিমানা ও আদায় করা হয়। জনস্বার্থে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে। আজকের দেয়া সতর্কতা ও নির্দেশনা অমান্য করলে পরবর্তীতে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *